ইদানিং কখনও কখনও হঠাৎ কী-যে হয়,
আমার চোখের সামনে কিছু
ছবি ঝলসে ওঠে, যেগুলো বড় বেখাপ্পা, বেগানা।
সেসব ছবি আমাকে ঘিরে ঘুরতে থাকে
বেশ কিছুক্ষণ। তখন আমার বেহুঁশ হওয়ার
উপক্রম। নিজেকে সামলে রাখি কোনও মতে।

ক্ষণিক পরে নিজেকে দেখতে পাই একটি বাগানে।
বাগানের সৌন্দর্য এমনই, যা’
বর্ণনা করা আমার সাধ্যাতীত, শুধুউ অসামান্য
কোনও শিল্পী তার চিত্রে ফোটাতে সক্ষম
সেই সৃষ্টি। আমার বিস্ময় মুছে যাওয়ার
আগেই দেখি আমি পড়ে আছি এক হতশ্রী ভাগাড়ে।

কে আমাকে মুক্তি দেবে এই ভয়ঙ্কর
পরিবেশ থেকে? আমি কি এখানে পচতে থাকবো?
অবিরাম বমি কি আমাকে বেহুঁশ করে ফেলবে?
দুশ্চিন্তায় অবসন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই
একটি প্রফুল্ল সারস আমাকে তার ডানায়
আশ্রয় দিয়ে উড়িয়ে নিয়ে গেলো মেঘলোকে।

কখন যে মেঘলোক থেকে অপরূপ এক উদ্যানে
এসে গাছতলায় ঠাঁই পেলাম,
টের পাইনি। নিজেকে কেমন পরিবর্তিত মনে হলো।
একি! আমার ভেতর এক পরিবর্তিত ব্যক্তিকে
অনুভব করি। অজানা কে যেন আড়াল থেকে
আমাকে কবির আভায় জ্বলজ্বল্ব করে!
১৯.০৯.২০০৪

Shamsur Rahman।। শামসুর রাহমান