নামকরণ
নামধেয়ং দশম্যান্ত দ্বাদশাং বাস্য করয়েৎ।
পুণ্যে তিথৌ মুহূর্ত্তে বা নক্ষত্রে বা গুণান্বিতে।। ৩০।।
মঙ্গল্যং ব্রাহ্মণস্য স্যাৎ ক্ষত্রিয়স্য বলান্বিতম্।
বৈশ্বস্য ধনসংযুক্তং শূদ্ৰস্য তু জুগুপ্সিলতম্।। ৩১।।
শৰ্ম্মবদ্ব্ৰাহ্মণস্য স্যাদ্রাজ্ঞো রক্ষাসমন্বিতম্।
বৈশ্যস্য পুষ্টিসংযুক্তং শূদ্ৰস্য প্ৰৈষ্যসংযুতম্।। ৩২।।
স্ত্ৰীণাং সুখোদ্যমক্রূরং বিস্পষ্টাৰ্থং মনোহুরম্।
মঙ্গল্যং দীর্ঘবৰ্ণান্তমাশীৰ্ব্বাদাভিধানবৎ।। ৩৩।।
একাদশ বা দ্বাদশ দিবসে জাতবালকের নামকরণ করিবে, এই নির্দিষ্ট সময়ে না পারিলে, জ্যোতিঃশাস্ত্রোক্ত প্রশস্ত তিথি, প্রশস্ত মুহূৰ্ত্ত ও প্রশস্ত নক্ষত্রে করিতে হইবে। ৩০
ব্রাহ্মণের মঙ্গলবাচক, ক্ষত্রিয়ের বলবাচক, বৈশ্যর ধনবাচক এবং শূদ্রের নিন্দাবাচক নাম রাখিবে। ৩১
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রাদির নাম যথাক্রমে শৰ্ম্ম, বৰ্ম্ম, ভূতি, দাসাদি, মঙ্গল, বল, সম্পত্তি ও সেবকসূচক উপপদ যুক্ত করিবে; যেমন শুভশর্ম্মা, বলবর্ম্মা, বসুভূতি, দীনদাস ইত্যাদি। ৩২
যে নাম মুখে উচ্চারণ করিতে পারা যায়, ক্রূরার্থের বাচক না হয়, অনায়াসে যে নামের অর্থবোধ হয়, যাহাতে মনের প্রীতি জন্মে, যে নাম মঙ্গলের বাচক হয়, যাহার অন্তে দীর্ঘস্বর থাকে, যাহা উচ্চারণে আশীৰ্ব্বাদ বুঝায়, স্ত্রীলোকের এই প্রকার নাম কৰ্ত্তব্য, যেমন যশোদা দেবী। ৩৩
<