০১. রাজবৃত্তি – প্রথম অধ্যায় – ০১. বিনয়াধিকারিক – প্রথম অধিকরণ – কৌটিলীয় অর্থশাস্ত্র – রাধাগোবিন্দ বসাক অনুবাদিত
ওঁ শুক্রাচার্য্য ও আচার্য্য বৃহস্পতিকে নমস্কার জানাইতেছি। পৃথিবীর (মনুষ্যব্রতী ভূমির) লাভ ও ইহার (লব্ধ ভূমির) রক্ষণবিষয়ে পূর্ব্বাচার্য্যগণ যতগুলি অর্থশাস্ত্র রচনা করিয়া প্রবর্ত্তিত করিয়া গিয়াছেন, প্রায়শঃ সেগুলি সংগ্রহ করিয়া, এই অর্থশাস্ত্রখানি (আমরা) প্রণয়ন করিয়াছি।
এই অর্থাশাস্ত্রখানির প্রকরণ (খণ্ড বিষয়-বিভাগের) ও অধিকরণের (বৃহত বিষয়-বিভাগের) সংক্ষিপ্ত নির্দ্দেশ করা হইতেছে।
(এই স্থলে বলা আবশ্যক যে, নিম্নলিখিত অধিকরণ ও প্রকরণের যে যে নাম মূলগ্রন্থে দেওয়া আছে, তাহার অবিকল বঙ্গানুবাদ এখন সন্নিবেশিত করা কঠিন। দ্বিতীয় অধ্যায় হইতে আরম্ভ করিয়া গ্রন্থের শেষ পর্য্যন্ত সব বিষয়গুলির বিস্তৃত নিরূপণ ও বিবরণ জানা হইয়া গেলে এই সব অধিকরণ ও প্রকরণের সামের সম্যক ব্যাখ্যা হৃদয়াঙ্গম হইবে। কাজেই বাধ্য হইয়া আমাকে এই অধ্যায়ে মূলগ্রন্থের শব্দগুলিকেই অধিকাংশ স্থলে রক্ষা করিয়া সংক্ষিপ্ত ভাবেই বঙ্গানুবাদ লিপিবদ্ধ করিতে হইয়াছে।)
(বিনয়াধিকরণ-নামক প্রথম অধিকরণে নিম্নলিখিত ১৮টি প্রকরণ নিরূপিত হইয়াছে, যথা–)
(১) বিদ্যাসমুদ্দেশ (অর্থাৎ আম্বীক্ষিকী, ত্রয়ী, বার্ত্তা ও দণ্ডনীতি এই চার বিদ্যার নিরূপণ)। (২) বৃদ্ধ-সংযোগ (অর্থাৎ জ্ঞানবৃদ্ধদিগের সহিত বিদ্যার্থী রাজকুমারের সংযোগ)। (৩) ইন্দ্রিয় জয়। (৪) অমাত্যোৎপত্তি (অর্থাৎ অমার্ত্যবর্গের নিয়োগ)। (৫) মন্ত্রী ও পুরোহিতের নিয়োগ। (৬) উপধা বা ছলরীতিতে অমাত্যগণের শৌচ ও অশৌচ পরীক্ষা। (৭) গূঢ়পুরুষদিগের নিয়োগ। (৮) গূঢ়পুরুষদিগের প্রণিধি বা কার্য্যে ব্যাপৃতি। (৯) স্বরাজ্যে কৃত্যপক্ষ ও অকৃত্যপক্ষের রক্ষণ। (১০) শত্রুরাজ্যে কৃত্যপক্ষ ও অকৃত্যপক্ষের সংগ্রহ। (১১) মন্ত্রাধিকার। (১২) দূতপ্রণিধি (অর্থাৎ দূতের কর্ম্ম সম্প্রধারণ)। (১৩) রাজপুত্ররক্ষণ (অর্থাৎ রাজপুত্রগণ হইতে রাজার আত্মরক্ষা)। (১৪) অবরুদ্ধ রাজপুত্রের (পিতার প্রতি) ব্যবহার। (১৫) অবরুদ্ধ রাজপুত্রের প্রতি পিতার ব্যবহার। (১৬) রাজপ্রণিধি বা রাজার কার্য্যব্যবপৃততা। (১৭) নিশান্তপ্রণিধি বা রাজভবনের অনুষ্ঠান। (১৮) আত্মরক্ষা।
বিনয়াধিকরণ-নামক প্রথম অধিকরণে এই অষ্টাদশ প্রকরণ বিরচিত হইয়াছে।
[পরের ৩টি পেজ মিসিং। এখানে অধ্যক্ষপ্রচার-নামক দ্বিতীয় এবং ধর্ম্মস্থীয়-নামক তৃতীয় অধিকরণের প্রকরণগুলো কথা বলা হয়েছিল। তাতে যথাক্রমে ৩৮ এবং ১৯টি প্রকরণ থাকার কথা। পেজগুলো উদ্ধার করতে পারলে এই প্রকরণের লিস্ট পরে টাইপ করে দেয়া হবে। এটা অবশ্য জরুরী কিছু নয় আপাতত।]
(কণ্টকশোধন-নামক চতুর্থ অধিকরণে ব্যাখ্যাত ১৩টি প্রকরণের নাম প্রদত্ত হইতেছে, যথা–)
(১) কারুকদিক হইতে রক্ষণ। (২) বৈদেহক বা বাণিজকদিক হইতে রক্ষণ। (৩) উপনিপাত বা দৈবী বিপদের প্রতিকার। (৪) গূঢ়ভাবে জীবিকাকারীর প্রতীকার। (৫) সিদ্ধবেশধারী গূঢ়পুরুষদ্বারা দুষ্টজনের প্রকাশন। (৬) শঙ্কা, চুরির মাল ও কর্ম্মদ্বারা চোরধরা। (৭) আশু বা অকাণ্ডে মৃত জনের পরীক্ষা (৮) বাক্য ও কর্ম্মস্বারা অনুযোগ (বা তদন্ত-করণ)। (৯) সর্ব্বপ্রকার অধিকরণের রক্ষণ বা নিয়ন্ত্রণ। (১০) একাঙ্গবধ ও ইহার নিষ্ক্রয়। (১১) শুদ্ধ ও চিত্র দণ্ডের বিধান। (১২) কন্যাপ্রকর্ম্ম। (১৩) অতিচারের দণ্ড।
কণ্টকশোধন-নামক চতুর্থ অধিকরণে এই ত্রয়োদশ প্রকরণ বিরচিত হইয়াছে।
(এখানে যোগবৃত্ত-নামক পঞ্চম অধিকরণে, অর্থাৎ যাহাতে সত্রিপ্রভৃতি গূঢ়পুরুষদিগের অনুষ্ঠান বর্ণিত আছে তাহাতে ব্যাখ্যাত ৭টি প্রকরনের নাম লিপিবদ্ধ করা হইতেছে, যথা–)
(১) দণ্ড প্রয়োগের বিধি। (২) কোষের অত্যধিক সংগ্রহ। (৩) ভৃত্যদিগের ভরণ। (৪) রাজোপজীবিগণের বৃত্তি বা ব্যবহার। (৫) সময় বা ব্যবস্থার আচরণ। (৬) রাজ্যের প্রতিসন্ধান (অর্থাৎ রাজব্যসনের উৎপত্তিতে মন্ত্রীদিগের করণীয়-চিন্তন)। (৭) একৈশ্বর্য্য (অর্থাৎ এক রাজপুত্রের ঐশ্বর্য্যে স্থাপন)।
যোগবৃত্ত নামক পঞ্চম অধিকরণে এই সাতটি প্রকরণ নির্দ্ধারিত হইয়াছে।
(সম্প্রতি মণ্ডলযোনি-নামক ষষ্ঠ অধিকরণে ব্যাখ্যাত ২টি প্রকরণের নাম প্রদত্ত হইতেছে, যথা–)
(১) রাজাকি প্রকৃতির সম্পৎ। (২) শম ও ব্যায়াম (বা উদ্যোগ)।
মণ্ডলযোনি-নামক ষষ্ঠ অধিকরণে এই দুই প্রকরণ নিরূপিত হইয়াছে।
(এখন ষাড্গুণ্য-নামক সপ্তম অধিকরণে ব্যাখ্যাত ২৯টি প্রকরনের নাম সন্নিবেশিত হইতেছে, যথা–)
(১) ষাড্গুণ্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয়। (২) ক্ষয়, স্থান, (তদবস্থতা) ও বৃদ্ধির নিশ্চয় (অর্থাৎ ইহাদের স্বরূপ-নিরূপণ)। (৩) সংশ্রয়-বৃত্তি। (৪) সম, হীন ও অধিকের গুণস্থাপনা। (৫) হীনের করণীয় সন্ধি। (৬) বিগ্রহ করিয়া আসন (স্বদেশে অবস্থান)। (৭) সন্ধি করিয়া আসন। (৮) বিগ্রহ করিয়া অভিযান। (৯) সন্ধি করিয়া অভিযান। (১০) হীনাদির সহিত মিলিত হইয়া একসঙ্গে প্রয়াণ। (১১) যাতব্য ও অমিত্রের প্রতি অভিগ্রহ বা অভিযানের চিন্তন। (১২) প্রকৃতিবর্গের ক্ষয়, লোভ ও বিরাগের হেতু। (১৩) সামবায়িক রামগণের গুরু-লঘু-ভাব বিচার। (১৪) সন্ধিবদ্ধ (শত্রু ও বিজিগীযু) রাজার প্রয়াণ। (১৫) পরিপণিত, পরিগণিত ও অপসৃত সন্ধি। (১৬) দ্বৈধীভাবসম্বন্ধীয় সন্ধি ও বিক্রম (বা বিগ্রহ)। (১৭) যাতব্য-বৃত্তি (অর্থাৎ যাতব্য বিজিগীয়ুর সামবায়িকদিগের প্রতি ও শেষোক্তদিগের যাতব্যের প্রতি বৃত্তি)। (১৮) অনুগ্রাহ্য মিত্র-বিশেষগণ। (১৯) মিত্র-সন্ধি, হিরণ্য-সন্ধি, ভূমি-সন্ধি ও কর্ম্ম-সন্ধি। (২০) পাষ্ণিগ্রাহচিন্তা। (২১) হীনশক্তির পূরণ। (২২) প্রবলশত্রুর সহিত বিগ্রহ করিয়া উপরোগের (দুর্গপ্রবেশের) হেতু। (২৩) দণ্ডোপনতের বৃত্তি। (২৪) দণ্ডোপনায়ীর বৃত্তি। (২৫) সন্ধিকর্ম্ম। (২৬) সন্ধিমোক্ষ। (২৭) মধ্যমের প্রতি বৃত্তি। (২৮) উদাসীনের প্রতি বৃত্তি। (২৯) মণ্ডলের প্রতি বৃত্তি।
ষাড্গুণ্য-নামক সপ্তম অধিকরণে এই উনত্রিশ প্রকরণ আলোচিত হইয়াছে।
(সম্প্রতি ব্যসানাধিকারিক-নামক অষ্টম অধিকরণে ৮টি প্রকরণের নাম প্রদত্ত হইতেছে, যথা–)
(১) প্রকৃতিসমূহের ব্যসনবর্গ। (২) রাজা ও রাজ্যের ব্যসনসম্পর্কীয় চিন্তা। (৩)পীড়নবর্গ। (৫) স্তম্ভবর্গ (অর্থাৎ বিঘ্নের কথাদ্বারা রাজকার্য্যের উপরোধের হেতুনির্ণয়। (৬) কোষসঙ্গবর্গ (অর্থাৎ রাজার্থের অপ্রদানের হেতুচিন্তা)। (৭) বল বা সৈন্যের ব্যসনবর্গ। (৮) মিত্রব্যসনবর্গ।
ব্যসনাধিকারিক নামক অষ্টম অধিকরণে এই আট প্রকরণের ব্যাখ্যা করা হইয়াছে।
(এখন অভিযাস্যৎকর্ম-নামক নবম অধিকরণে ১২টি প্রকরণের নাম দেওয়া হইতেছে, যথা–)
(১) শক্তি, দেশ ও কালের বলাবলজ্ঞান। (২) যাত্রার কালনির্ণয়। (৩) সেনার উদ্যোজনকাল। (৪) সন্নাহ-গুণ। (৫) প্রতিবলের উত্থাপন। (৬) পশ্চাৎকোপের চিন্তা। (৭) বাহ্য ও আভ্যন্তর প্রকৃতিবর্গের কোপ প্রতীকার। (৮) ক্ষয়, ব্যয় ও লাভের বিচারণ। (৯) বাহ্য ও আভ্যন্তর আপৎ। (১০) দুষ্য ও শত্রুসংসযুক্ত আপৎ। (১১) অর্থ, অনর্থ ও সংশয়সম্বন্ধীয় আপৎ। (১২) আপৎসমূহের প্রতীকারার্থ উপায়-সমূহের প্রয়োগভেদজনিত সিদ্ধি।
অভিযাস্যৎকর্ম-নামক নবম অধিকরণে এই দ্বাদশ প্রকরণ নিরূপিত হইয়াছে।
(সম্প্রতি সাংগ্রামিক-নামক দশম অধিকরণে ১৩টি প্রকরণের নাম সন্নিবেশিত হইতেছে, যথা–)
(১) সন্ধাবারনিবেশ। (২) স্বন্ধাবারের প্রয়াণ। (৩) বলব্যসন ও অবস্কন্দনকাল হইতে সেনারক্ষণ। (৪) কূটযুদ্ধের ভেদসমূহ। (৫) স্বসৈন্যের উৎসাহ প্রদান। (৬) শত্রুসেনা অপেক্ষায় নিজ সেনার বিশেষ ব্যবস্থা। (৭) যুদ্ধভূমি। (৮) পদাতি, অশ্ব, রথ ও হস্তীর কর্ম্ম। (৯) পক্ষ, কক্ষ ও উরস্যের বলপরিমাণানুসারে ব্যূহ-বিভাগ। (১০) সার ও ফল্গু সেনার বিভাগ। (১১) পত্তি, অশ্ব, রথ, ও হস্তীর যুদ্ধ। (১২) দণ্ডব্যূহ, ভোগব্যূহ। মণ্ডলব্যূহ ও অসঙ্ঘতব্যূহসমূহের রচনা। (১৩) পূর্ব্বোক্ত ব্যূহাদির প্রতিব্যূহ-সংস্থাপন।
সাংগ্রামিক-নামক দশম অধিকরণে ত্রয়োদশ প্রকরণ ব্যাখ্যাত হইয়াছে।
(এখন সঙ্ঘবৃত্ত-নামক একাদশ অধিকরণে ২টি প্রকরণ ব্যাখ্যাত হইতেছে, যথা–)
(১) সঙ্ঘভেদের প্রয়োগ। (২) উপাংশুদণ্ড (বা নিগূঢ়বধ)।
সঙ্ঘবৃত্ত-নামক একাদশ অধিকরণে এই দুইটি প্রকরণ সন্নিবেশিত হইয়াছে।
(সম্প্রতি আবলীয়স-নামক দ্বাদশ অধিকরণে, অর্থাৎ যাহাতে দুর্ব্বলতর বিজুগীষু রাজার করণীয় বর্ণিত আছে তাহাতে ৯টি প্রকরণের নাম প্রদত্ত হইতেছে, যথা–)
(১) দূতকর্ম। (২) মন্ত্রযুদ্ধ। (৩) সেনামুখ্যদিগের বধ। (৪) মণ্ডলপ্রোৎসাহন। (৫) শস্ত্র, অগ্নি ও বিষের গূঢ়প্রয়োগ (৬) বিবধ (ধান্যদি পর্য্যাহার), আসাব (সুহৃদ্বল) ও প্রসাবের (বনাদি হইতে আহৃত ইন্ধনাদির) নাশ। (৭) যোগ বা কপটোপায়-দ্বারা অতিসন্ধান (প্রবঞ্চন)। (৮) দণ্ডদ্বারা অতিসন্ধান। (৯) একবিজয় (অর্থাৎ অসহায় বিজিগীষুকর্তৃক শত্রুর অতিভব)।
আবলীয়স-নামক দ্বাদশ অধিকরণে এই নয় প্রকরণ ব্যাখাত হইয়াছে।
(এখন দুর্গলম্ভোপায়-নামক ত্রয়োদশ অধিকরণে ৬টি প্রকরণের নাম দেওয়া হইতেছে, যথা–)
(১) উপজাপ। (২) যোগ বা গূঢ়পুরুষ-প্রয়োগ দ্বারা বামন (অর্থাৎ নিষ্ক্রামণ)। (৩) অপসর্প বা গূঢ়পুরুষদিগের (শত্রুদেশে) নিবাসবিধি। (৪) পর্য্যুপাসনকর্ম (অর্থাৎ সেনাদ্বারা শত্রুদুর্গের বেষ্টনকার্য্য)। (৫) অবমর্দ্দ (অর্থাৎ শত্রুদুর্গ গ্রহণ)। (৬) লব্ধপ্রশমন (বিজিত শত্রুদুর্গাদিতে শান্তিস্থাপন)।
দুর্গলম্ভোপায়-নামক ত্রয়োদশ অধিকরণে এই ছয় প্রকরণ সন্নিবেশিত আছে।
(সম্প্রতি ঔপনিষদ-নামক চতুর্দ্দশ অধিকরণে ৩টি প্রকরণের নাম বলা হইতেছে, যথা–)
(১) শত্রুঘাতের উপায়-প্রয়োগ। (২) প্রলম্ভন (অর্থাৎ মন্ত্রৌষধীপ্রয়োগ-দ্বারা শত্রুবঞ্চন)। (৩) স্বসেনার উপর শত্রু-প্রযুক্ত উপঘাতের প্রতীকার।
ঔপনিষদ-নামক চতুর্দ্দশ অধিকরণে এই তিন প্রকরণ আলোচিত হইয়াছে।
সর্ব্বশেষে তন্ত্রযুক্তি-নামক পঞ্চদশ অধিকরণে ১টি প্রকরণের নাম করা হইতেছে, যথা–)
(১) তন্ত্রযুক্তি (অর্থাৎ এই অর্থশাস্ত্ররূপ তন্ত্রের ব্যাখ্যান্যায়সমূহ)।
তন্ত্রযুক্তি-নামক পঞ্চদশ অধিকরণে এই এক প্রকার প্রকরণ ব্যাখ্যাত হইয়াছে।
এই শাস্ত্রের বিষয়সূচী আছে এইরূপ :–ইহাতে ১৫টি অধিকরণ, ১৫০টি অধ্যায় ও ১৮০টি প্রকরণ এবং ৬০০০টি শ্লোক আছে (অর্থাৎ ইহাতে সন্নিবেশিত অক্ষর-সমূহদ্বারা ৬ হাজার ৩২ অক্ষর-বিশিষ্ট শ্লোক বা গ্রন্থের রচনা সম্ভবপর হইতে পারে)।
গ্রন্থবাহুল্য বর্জ্জন করিয়া কৌটিল্য এই শাস্ত্র প্রণয়ন করিয়াছেন; ইহা সুকুমার-বুদ্ধি লোকেরাও সহজে বুজিতে পারে, এবং ইহাতে এমনভাবে তত্ত্ব (অর্থশাস্ত্রের বিষয়), ইহার অর্থ ও অর্থোপযোগী পদ প্রযুক্ত হইয়াছে যদ্দারা নিশ্চয় জ্ঞান-বিষয়ে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নাই।।১।।
কৌটিনীয় অর্থশাস্ত্রে বিনয়াধিকারিক-নামক প্রথম অধিকরণে রাজবৃত্তি-নামক প্রথম অধ্যায় সমাপ্ত।