শ্রীকৃষ্ণের আপ্তদূতী

শ্রীকৃষ্ণের আপ্তদূতী ।। তিরোতা ধানশী ।।

সে যে নাগর গুণধাম। জপয়ে তোহারি নাম।।
শুনিতে তোহারি বাত। পুলকে ভরয়ে গাত।।
অবনত করি শির। লোচনে ঝরয়ে নীর।।
যদি বা পিছয়ে বাণী। উলট করয়ে পাণি।।
কহিয়ে তোহারী রীতে। আন না বুঝতে চিতে।।
ধৈরজ নাহিক তায়। বড়ু চণ্ডীদাসে গায়।।
————–
জপয়ে – জপ করে। তোহারি – তোমার। ভরয়ে – পরিপূর্ণ হয়। গাত – গাত্র।

শ্রীকৃষ্ণের আপ্তদূতী ।। শ্রীরাগ ।।

 এধনি      এধনি      বচন      শুন।
নিদান      দেখিয়া     আইনু     পুন।।
নাবাঁধে     চিকুর      নাপরে     চীর।
নাখায়      আহার      নাপিয়ে    নীর।।
দেখিতে     দেখিতে      বাঢ়ল     ব্যাধি।
যত তত    করি        নহিয়ে    সুধি।।
সোণার     বরণ        হইল     শ্যাম।
সোঙরি     সোঙরি      তোহার    নাম।।
নাচিহ্নে      মানুখ       নিমিখ    নাই।
কাঠের      পুতলি       রহিছে    চাই।।
তুলাখানি     দিলে       নাসিকা   মাঝে।
তবে সে     বুঝিনু       শোয়াস   আছে।।
আছয়ে      শ্বাস        নারহে    জীব।
বিলম্ব      নাকর       আমার    দিব।।
চণ্ডীদাস     কহে        বিরহ    বাধা।
কেবল      মরমে       ঔখদ    রাধা।।

————–
চীর – বস্ত্র। সোঙরি – স্মরণ করিয়া। নাচিহ্নে – চিনিতে পারে না। মানুখ – মানুষ। শোয়াস – শ্বাস। ঔখদ – ঔষধ।

Super User