কাটামুণ্ডু

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে আয়ারল্যাণ্ডের ডাবলিনের উত্তর অংশে। দুইশো বছরের বেশি আগের কথা। তরুণ এক সরকারী কর্মকর্তাকে ডাবলিনে পাঠানো হয়। ভদ্রলোক একটা বাড়ি ভাড়া করেন নিজের আর পরিবারের জন্য। শুরুতেই স্ত্রী আর দুই সন্তানকে ওখানে পাঠিয়ে দেন। কয়েক দিন পর নিজে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন।

একজন নার্স আর ছেলেমেয়ে দুটোসহ তাঁর স্ত্রী ওখানে গিয়ে দেখলেন বাড়িটাতে একজন বুড়ো আয়া ছাড়া আর কেউ নেই। তারা এখানে পৌঁছার একটু পরেই আয়াটি বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। টুকিটাকি কিছু জিনিস কিনতে নার্স বাড়ি থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে এসে মহিলাটির কাছে জানতে চায় বাচ্চারা ঠিক আছে কিনা। কারণ ভুভুড়ে দুটো কাঠামো দরজার দিয়ে বের হয়ে যেতে দেখেছে সে। মহিলাটি জানালেন তার ধারণা বাচ্চারা ভালই আছে। কিন্তু তাদের কামরাটায় গিয়ে দেখলেন দুটো বাচ্চারই গলা কেটে রেখে গেছে কেউ। খুনিকে কখনওই খুঁজে বের করা যায়নি। এমনকী কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তারও কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। হতভাগী মা পাগল হয়ে যান বাচ্চাদের শোকে। বলা হয় এর পরে অনেক বছর পর্যন্ত এই বাড়িটাতে ঢুকলেই অজানা একটা আতংক আর অস্বস্তি পেয়ে বসত লোকেদের। এমনকী যে কামরাটায় হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে। তার জানালায় নাকি মাঝেমাঝেই দেখা যেত ছোট্ট দুটো মাথা।

<

Super User