শেষ ঠিকানায়
এবারের অভিজ্ঞতাটি রেভারেণ্ড হেনরি মর্টনের। আয়ারল্যাণ্ডের একটি গির্জার যাজক তখন তিনি। গির্জার লাগোয়া একটা পুরানো সমাধিক্ষেত্রও আছে। এক চাঁদনী রাতে একজন অসুস্থ মানুষকে দেখতে যেতে হল রেভারেণ্ড মর্টনকে। সঙ্গে তার ভাইও আছেন, যিনি আবার একজন চিকিৎসক। অসুস্থ লোকটিকে দেখে বাড়ি ফেরার সময় গির্জার সমাধিগুলোর ভিতর দিয়ে যেতে হলো তাঁদের। কথা বলতে-বলতে হাঁটছেন দুজন। এমন সময় তাঁদের বিস্মিত দৃষ্টির সামনে একটি কাঠামো অতিক্রম করে গেল, দুজনেই দেখলেন একে। তারপরই রাস্তা ছেড়ে সমাধি ফলকগুলোর ভিতরে ঢুকে পড়ল লোকটা, আর একটা জায়গায় অদৃশ্য হয়ে গেল।
অদ্ভুত ঘটনাটা রীতিমত চিন্তায় ফেলে দিল তাদের। আগামাথা কিছু বুঝতে না পেরে যেখানে লোকটি অদৃশ্য হয়েছে। সেদিকে এগিয়ে গেলেন। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ভালমত খুঁজেও কাউকে পেলেন না। পরের দিন সকালে তারা জানতে পারলেন গত রাতে যে অসুস্থ লোকটিকে দেখতে গিয়েছিলেন তারা চলে আসার পরপরই তিনি মারা যান। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো লোকটিকে সমাধিস্থ করা হয়েছে ঠিক সে জায়গায়, যেখানে সেই রহস্যময় কাঠামোটিকে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেছেন।
<