কফিনে কে?

এবারের ঘটনাটিতে আগের ঘটনাটির সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাবেন। এটি বর্ণনা করেছেন ইংল্যাণ্ডের ক্ল্যাপটনের ব্লারটন রোডের মিসেস ক্রফটস।

তাঁর স্বামীর মৃত্যুর সপ্তাহখানেক আগের ঘটনা এটি। মিসেস ক্রফটস, আর তাঁর স্বামী ঘুমাতে গিয়েছেন বিছানায়। কিন্তু অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও ঘুম এল না ভদ্রমহিলার। কিছুক্ষণ এপাশওপাশ করে উঠে বসলেন। এভাবে কিছুক্ষণ বসে থাকার পরই অদ্ভুত একটি বিষয় নজর কাড়ল তাঁর। হঠাত্র সদর দরজাটা খুলে গেল। এখান থেকে ওটা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন। কারণ তাঁদের শোবার ঘরের দরজা খোলাই থাকে সবসময়। দরজা খোলার একটু পরই দুজন লোক ঢুকল বাড়িতে। তবে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো একটা কফিন বয়ে আনছে তারা। অবাক হলেও কেন যেন সেরকম ভয় হলো না মিসেস ক্রফটসের। তারপরই কফিনটা নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে এল লোক দুজন। মি. আর মিসেস ক্রফটস যে কামরায় আছেন সেখানে চলে এল তারা। ফ্লায়ারপ্লেসের মেঝেতে নামিয়ে রাখল ওটা। তারপর নীচে নেমে সামনের দরজা ভেজিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। পুরো সময়টায় একটা কথাও বেরোল না মিসেস ক্রফটসের মুখ থেকে। তারপরই যেন একটা ঘোর থেকে বের হয়ে এলেন মিসেস ক্রফটস। কফিনটারও কোনো নাম-নিশানা পেলেন না।

রাতে আর ঘুমাতে পারলেন না। সকালে নাস্তার টেবিলে স্বামীকে খুলে বললেন গোটা ঘটনাটা। মি. ক্রফটস হেসে স্ত্রীকে বললেন, স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। ভদ্রমহিলাও মন থেকে ঝেড়ে ফেললেন ওটাকে। এক সপ্তাহ পর হঠাৎ মারা গেলেন তার স্বামী। সন্ধ্যার পর ওপর তলার একটা কামরায় কাজ করছিলেন মিসেস ক্রফটস। এসময় দরজায় টোকা পড়ল। তিনি ওপরে কাজ করতে থাকায় তার মা দরজা খুলে দিলেন। তারপরই দরজায় পদশব্দ শুনলেন। মুখ তুলে চাইতেই শিউরে উঠলেন। কফিন হাতে দুজন লোক, আর তিনি এক সপ্তাহ আগে যে লোকদুজনকে দেখেছেন তারাই। তারপর এগিয়ে এসে যেখানে আগেরবার রাখতে দেখেছিলেন মিসেস ক্রফটস সেখানেই নামিয়ে রাখল কফিনটা। মিসেস ক্রফটস শুধু আতংক আর বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইলেন কফিনটার দিকে।

<

Super User