আলমারিতে কঙ্কাল
এই কাহিনিটি শুনিয়েছেন সিঙ্গাপুরের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তাঁর এক বান্ধবীর অভিজ্ঞতা এটা।
আমার বান্ধবী তার মার সঙ্গে থাকে। আন্টি আবাসিক একটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দেখভাল করেন।
মধ্যবয়স্ক এক মহিলা ওখানের একটা কামরায় থাকতেন। একদিন হঠাৎ মারা গেলেন তিনি। কামরাটা পরিষ্কার করতে গিয়েই আলমারির মধ্যে একটা কংকাল আবিষ্কার করলেন আন্টি আর অন্যরা। কঙ্কালটা কীভাবে আসল সেখানে তা কেউই বলতে পারবে না।
এরপর থেকে মহিলাটির মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে ওই কামরাটা থেকে অদ্ভুত একটা বদ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। প্রথম বছর ওটার কারণ খুঁজতে আন্টি গিয়েছিলেন ভিতরে। কিন্তু ওটা এতটাই তীব্র যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় তার। কোনো মতে পালিয়ে বাঁচেন। পরের বছর থেকে গন্ধটা একটু হালকা হয়, কিন্তু মৃত্যুবার্ষিকীর দিন নিয়ম করে ওটার উপস্থিতিতে কোনো ছেদ পড়েনি।
গত বছর মহিলাটির মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে আমার বান্ধবী ওই কামরার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সিঁড়ি বেয়ে নামতে যাবে এমন সময় মনে হলো পিছন থেকে তার নাম ধরে ডাকছে কেউ। কণ্ঠটা তার মায়ের আর ওটা আসছে ওই ভুতুড়ে কামরাটার ভিতর থেকে!
কিন্তু সে নিশ্চিত মিনিট কয়েক আগেও তার মা ছিলেন নীচের তলায়। আবার বান্ধবীটির নাম ধরে ডাকল। সন্দেহ নেই। কামরাটার ভিতর থেকেই আসছে ওটা। ধীরে ধীরে দরজার দিকে এগিয়ে যেতে লাগল সে। তাকে যেন কেউ টেনে নিয়ে চলেছে। যতই কাছে যাচ্ছে গন্ধটা তত তীব্র হচ্ছে। এসময়ই শুনল তার মা তাকে ডাকছেন। কণ্ঠটা চড়া আর পরিষ্কার।
তবে আসছে নীচের তলা থেকে!
সঙ্গে সঙ্গে ঘোর কেটে গেল। দৌড়ে নীচে নেমে মাকে সেখানে পেল। তাকে ঘটনাটা খুলে বলতেই দারুণ একটা ধাক্কা খেলেন। তবে যতটা না ভয় পেলেন তার চেয়ে বেশি রেগে গেলেন। কিন্তু অশরীরীর বিরুদ্ধে কী-ই বা করার আছে তাঁর।
যতদূর বোঝা যাচ্ছে মৃত মহিলাটি সেদিন ওই কামরার মধ্যে ঢুকাতে চেয়েছিল আমাকে। আমার বান্ধবীটি আমাকে বলল, ভাগ্য ভাল। একেবারে ঠিক সময়ে মা আমাকে ডাকটা দিয়েছেন।
<