গিরিপথটার দিক ঘেঁষে এগোচ্ছে ওরা। ঘোড়াদুটোকে হটিয়ে নিচ্ছে রস। কিছুক্ষণের মধ্যে একটা লম্বা দৌড় শুরু হবে।

কপালের ঘাম মুছল ইয়াসীন। তার ঘোড়াটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছে বিপদের আশঙ্কায়। কীভাবে যেন আগেই বিপদ বুঝতে পারে অবোলা প্রাণীগুলো। ওটার কানের কাছে ফিসফিস করে কথা বলল সে। ভয় নেই, সাগরেদ। আমি জানি, তুমি পারবে।

কাছে চলে এসেছে বাঁদিকের চিরুনি-চূড়া। ওটা পার হলে সংকীর্ণ পথের শুরু। সম্ভবত ওই চূড়ায় লুকিয়ে আছে ওরা। এখনও গুলি শুরু করেনি। হয়তো আরও কাছ থেকে শত্রুকে ঘায়েল করতে চায়। নাকি নেই ওখানে?

উরুর কাছে ট্রাউজারে ঘেমে যাওয়া হাতের তালু মুছল ইয়াসীন। হ্যাটটা আর একটু টেনে দেওয়ার জন্য মাথা উঁচু করেছিল। সরাসরি ইন্ডিয়ানটার চোখে চোখ পড়ল তার। উপর থেকে সোজা তাকিয়ে আছে।

গোড়ালি দিয়ে ঘোড়ার পেটে আঘাত করল ও। বাঁ ঘেঁষে দৌড়াও, পিছনে ফিরে বলল রসকে। কথা শেষ হবার আগেই পাথরে লেগে বি শব্দে ঘুরে গেল প্রথম বুলেট। ছুটতে শুরু করেছে ঘোড়াগুলো। মুহুর্মুহু গুলির বিকট ধ্বনি প্রতিধ্বনিতে চমকে উঠল নির্জন গিরিপথ।

বাঁ ঘেঁষে দৌড়াচ্ছে ঘোড়াগুলো। এতে ফায়ারিং অ্যাঙ্গেল পেতে অসুবিধা হবে উপরের ইন্ডিয়ানদের। তবু ফায়ার করে চলল তারা। ইয়াসীনের ডানদিকে পথের ধুলো লাফিয়ে উঠল গুলিতে। সামনে চলকে উঠল পাথরের টুকরো। একটা ঘোড়া তারস্বরে চিঁহি ডাকল। চকিতে পিছনে তাকাল ও। না, ভয় পেয়েছে কেবল।

সংকীর্ণ সুড়ঙ্গের মত পথে ঢোকার মুখে ব্যাপারটা টের পেল ইয়াসীন। আতঙ্কের শিহরণ নেমে গেল তার মেরুদণ্ড বেয়ে। আরও বেশি ফায়ার আসা উচিত ছিল ওদের কাছ থেকে। আসেনি, কারণ বড় দলটা এখনও সামনে ওত পেতে আছে। গিরিপথের মোহনায়!

একটা দমকা বাতাসের মত খোলা মরুভূমিতে বেরিয়ে গেল ঘোড়াগুলো। গুলি এবং ঘোড়ার ক্ষুরের আওয়াজ পেয়ে প্রস্তুত ছিল ইন্ডিয়ানরা। ওদের ধারণা ছিল বেরিয়েই ট্র্যাক ধরে বাঁয়ে মোড় নেবে স্টেজ। সেই অনুযায়ী আক্রমণ সাজিয়েছে ওরা। অথচ দ্রুতগতিতে খোলা মরুভূমিতে বেরিয়ে গেল স্টেজ। হতাশ হয়ে ওটাকে নাগালের বাইরে চলে যেতে দেখল মোযেভদের দল। দুজন রাইফেল তুলে আন্দাজে ফায়ার করল। বড় চতুর স্টেজের সাথের ওই ঘোড়সওয়ারটা!

প্রাণপণ ছুটছে ঘোড়াগুলো। ছোটবড় বোল্ডার নিমেষে ডাইনে-বাঁয়ে কাটিয়ে ছুটে চলেছে স্টেজ। ভিতরে আসন আঁকড়ে ধরে ঝাঁকি সামলাচ্ছে আরোহীরা। হঠাৎ চারদিক আলোকিত হয়ে উঠেছে দেখে পিস্তল হাতে জানালায় মুখ বাড়াল ফাউলার। সামনে খা-খা মরুভূমি। কোথাও ইন্ডিয়ান নেই!

মাইলখানেক এসে ঘোড়া থামাল ইয়াসীন। ধাওয়া করে কেউ আসছে না। পিছনে পাহাড়টার কাছেও কাউকে দেখা যাচ্ছে না। পাথর আর পাথরের মত শক্ত

ইন্ডিয়ানদের বাদামী দেহ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।

স্টেজটা পাশে এসে থামল। তোমার প্ল্যান চমৎকার কাজ দিয়েছে। আর একটু হলে ওদের ফাঁদে আটকাতাম আমরা, বলল রস।

আবার ফাঁদ পাতবে ওরা, বলল ইয়াসীন। এতক্ষণে হয়তো রওনা হয়েছে মার্ল স্প্রিং-এর দিকে।

চারপাশে বিক্ষিপ্ত বোন্ডার আর ক্যাকটাসের ঝোঁপ। হাতের ডাইনে অর্থাৎ দক্ষিণে কেলসো পাহাড়। বাঁয়ে ঘুরল ওরা। সামনে কোথাও মার্ল স্প্রিং-এর ট্রাকে উঠবে।

স্টেজের কয়েকগজ সামনে মন্থরগতিতে চলেছে ইয়াসীন। মোযেভদের কথা ভাবছে সে। আপন হাতের তালুর মত এই মরুভূমিকে চেনে ওরা। জন্মাবধি দেখছে। শৈশবে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলেছে এখানে, বড় হয়ে নেমেছে জীবনমরণের ভয়ঙ্কর খেলায়। জিতবার জন্যে।

আমরা মার্ল প্রিং যাচ্ছি এটা এখন ওদের কাছে পরিষ্কার, মাথা ঘুরিয়ে রসকে বলল ইয়াসীন।

যদি ফৌজী ছোঁকরাদের আগেই কান ধরে বের করে দিয়ে থাকে ওরা? প্রশ্ন করল রসের পাশে বসা টমাস।

তা হলে, নির্বিকার ভাবে বলল সে, ওদেরও কান ধরে বের করে দেব আমরা।

তেষ্টা পেয়েছে। সূর্য মাথার উপর প্রায়। সামনে সামান্য চড়াই। মরুভূমির চেহারা পাল্টে যাচ্ছে দ্রুত। বিক্ষিপ্ত লাভার টুকরো সবদিকে। আর যোশুয়ার মলিন ঝোঁপ। আরও এগিয়ে কয়েক সারি সিন্ডার কোণ। এলাকাটা আগ্নেয়গিরি সমৃদ্ধ। এককালে জীবন্ত ছিল এগুলো। বড়বড় জ্বালামুখ দিয়ে সবেগে উৎক্ষিপ্ত হত তখন লাভা। ছোট্ট গর্তগুলো দিয়ে উপচে উঠত তরল লাভা। সিন্ডার কোণগুলোর সৃষ্টি হয় সেই উপচানো লাভা জমাট বেঁধে। আকৃতিতে এক একটা বিশাল চুলোর মত ওগুলো।

বন্ধুর পাথুরে জমির উপর দিয়ে ঝাঁকি খেতে খেতে চলেছে স্টেজ। চলতি পথে পাশ কাটাচ্ছে ছোটবড় লাভার বোল্ডার আর সিন্ডার কোণ। একসময় সামনে দেখা গেল মার্ল স্প্রিং–এর রুট। সমতল পথে উঠে এল ওরা।

কয়েক মাইল পর আর একটা গিরিপথ। মার্ল পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। এখানে ইন্ডিয়ানদের আগেই আসা গেছে হিসাব মত। তবু সংকীর্ণ পথটা পেরোতে ভয় আর শঙ্কায় বারবার চমকে উঠল ওরা। অবশেষে ওপাশে পৌঁছে মোড় নিল ডাইনে। সামনে মার্ল স্প্রিং।

বছরখানেক আগে তৈরি করা হয় মার্ল স্প্রিং–এর সৈনিক ফাড়ি। চতুর্দশ পদাতিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ফস্টার তখন ছিল ক্যাম্পকেডির কমান্ডে। পুবের সিডার ক্যানিয়ন থেকে সিডার গাছ কাটিয়ে আনায় সে। সারিসারি গাছের কাণ্ড পুঁতে বেড়া বানায় সৈন্যরা। চারপাশে চারটে পাথুরে কেবিন ওঠায়। মাঝখানে তৈরি করে ঘোড়ার খোয়াড়।

কেবিনগুলো দৈর্ঘ্যেপ্রস্থে বারো ফুট আর উচ্চতায় আট ফুট। চাল ছাওয়া হয়েছে সিডারের ডালপাতা দিয়ে। পানির উৎস পিছনের পাহাড় থেকে নেমে আসা সরু একটা ঝরণা। বেড়াঘেরা ফাড়ির ভিতরে এসে ছোট্ট একটা বালির গামলায় তলিয়ে গেছে সেটা।

গেটের ভিতরে একফালি নীল ইউনিফর্ম দেখতে পেল ইয়াসীন। একজন সৈনিক বাইরে এল গেট খুলে। সার্জেন্ট ম্যাকহার্ডি!

আরে, এ যে দেখছি নবাব ইয়াসীন বেগ! এসো, এসো। তা কী এনেছ সাথে? পিছনে এগিয়ে আসা স্টেজটার দিকে ইশারা করল ম্যাকহার্ডি। পেয়াদা? কিন্তু খাজনার উপায় কী? আমাদের ধানপান যে ফুরোবার পথে! আর কটা দিন সবুর করেও রসুনের ওয়্যাগন আসছে না। চলো, ভিতরে চলো।

বেশ নাটুকে কায়দায় কথা বলে ম্যাকহার্ডি। অনেকদিন ছিল ভারতে। সেখানেই ইয়াসীনের সাথে প্রথম পরিচয়।

স্টেজটা ভিতরে ঢুকলে বন্ধ হলো গেট। রস নামল ড্রাইভারের আসন থেকে। অন্যরাও নামছে।

ভেগাস স্প্রিং যাচ্ছিল ওটা। ইন্ডিয়ানরা তাড়িয়ে এনেছে এদিকে, ম্যাকহার্ডিকে বলল ও।

আমাদেরও জ্বালিয়ে মারছে ব্যাটারা, জানাল ম্যাকহার্ডি। একটা ঘোড়া চুরি করে নিয়ে গেছে কয়েকদিন আগে। আর একটা ঘোড়া নিয়ে পালিয়েছে একজন সৈনিক। সে-ও হয়তো পড়েছে ওদের খপ্পরে। স্টেজ থেকে মেয়েদের নামতে দেখে ওদিকে এগোল সে।

টমাস এল ইয়াসীনের কাছে। কৃতজ্ঞতা জানাল, ধন্যবাদ। তোমার জন্যে বেঁচে গেলাম এ যাত্রা।

বেলিন্দা আর মিসেস ম্যাকডোনাল্ডকে সাদর সম্ভাষণ জানাল ম্যাকহার্ডি। এখানে খুব কষ্ট পাবেন আপনারা। তবে যত্নে ত্রুটি থাকবে না আমাদের।

ধন্যবাদ, সার্জেন্ট, উত্তর দিল বেলিন্দা খুব বেশি যত্ন প্রয়োজন হবে না আমাদের। এখানে আপনি যেটুকু করবেন-বাইরের মরুভুমিতে একটা খোলা ক্যাম্পের তুলনায় তা ঢের ভাল হবে।

বেলিন্দাকে একনজর দেখল ম্যাকহার্ডি। মনে হচ্ছে পশ্চিমে অভ্যস্ত আপনারা। ভাল। পুবের ভদ্রমহিলারা খুব বেশি আরামপ্রিয় হয়। ওদেরে কেউ কালেভদ্রে এখানে এলে খুব বিব্রত বোধ করি আমরা।

ঘোড়াগুলোর জন্য পানি দরকার, সার্জেন্ট। জানাল রস।

ওখানে। আঙুল তুলে দেখাল ম্যাকহার্ডি। গামলাটায় খুব ধীরে পানি জমে। তবে একঢোক খেতে পারবে সবাই। কাল ভোরে হয়তো আরও এক ঢোক।

ফাড়িটা খুঁটিয়ে দেখছে ইয়াসীন। যথেষ্ট মজবুত আর উঁচু বেড়া। তবে পিছনের ওই পাহাড়টা একটু বেশি কাছে। কোনও স্নাইপার সুযোগ নিতে পারে ওখান থেকে।

কতজন আছ তোমরা? ম্যাকহার্ডিকে প্রশ্ন করল ও।

থাকার কথা আটজনের। তবে আছি মাত্র চারজন। তার মধ্যে একজন সৈনিক রানার। সরকারী ডাক নিয়ে যাচ্ছিল ফোর্ট মোযেভে। পথে ইন্ডিয়ানদের দেখে এগোয়নি আর।

ভালই করেছে। একটা মেইল ব্যাগের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। কিন্তু তোমার ব্যাপার কী? মেজর সাইককে নিয়ে যা শুনলাম, সত্যি নাকি?

কী শুনেছ জানি না। তবে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আমার। ছাড়পত্র পেলেই চলে যাব।

আর এক মরুভূমিতে? ম্যাকহার্ডির কণ্ঠে কৌতুক না বিদ্রূপ বোঝা গেল না। বেলিন্দাকে আসতে দেখে চলে গেল ম্যাকহার্ডি।

হিসাব করছে ইয়াসীন। চারজন সৈন্য, দুজন মহিলা, রস, টমাস, সঙ্গী সহ ফাউলার, মোকাটো…সে নিজে। মোট বারোজন। সাথে পর্যাপ্ত পানি ও বুলেট। চান্স নেবে না ইন্ডিয়ানরা। তবে খাবার ফুরিয়ে গেছে, তাই অপেক্ষায় থাকবে।

আমরা কি কাল ভোরে রওনা হব? তাকে শুধালো বেলিন্দা।

না।

আক্রমণের আশঙ্কা করছ?

না। তবে কাছেই অপেক্ষায় থাকবে ওরা।

কিন্তু এভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করবে ওরা?

বেলিন্দা অধৈর্য হয়ে উঠছে দেখে হাসল ইয়াসীন। যতদিন ওদের জীবন-যতদূর এই মরুভূমির সীমানা। হয়তো যারা আমাদের তাড়া করেছিল, তারা ফিরে গেছে। পরিবর্তে অন্য একটা দল এসেছে। প্রয়োজনে আরও একটা দল আসবে! গায়ের জোরে আমরা মালিকানা দাবি করলেও এ দেশটা আসলে তো ওদের বেলিন্দা। ওরাই মুক্ত, আমরা অবরুদ্ধ এখানে। মেয়েটাকে বোঝাতে চেষ্টা করছে সে।

বলে চলল, এ বছর অনেক বেশি ইন্ডিয়ান দেখছি আমি মরুভূমিতে। শুধু খুনের নেশায় ওরা খুঁজে ফিরছে না আমাদের। ওদেরও আছে পরিকল্পিত জীবনযাত্রা। আছে আবাদ, শিকার কিংবা পশুপালনের নিজস্ব নিয়ম। হয়তো পর্যাপ্ত ফসল ঘরে তুলতে পারেনি ওরা এ বছর। হয়তো ঠিক সময়ে আসেনি পলিসমৃদ্ধ কলোরাডোর প্লাবন!

মায়ের শুকনো স্তনের ফাঁকি বুঝতে পেরে কাঁদছে ওদের অভুক্ত শিশু। চোখে মৃত্যুর কুয়াশা নিয়ে রাতের শীতে কাঁপছে বুড়ো মা-বাবা। সহ্য করতে না পেরে, সশস্ত্র যুবকেরা তোলপাড় করে ফিরছে মরুভূমি।

যদি স্টেজটা লুট করতে পারে, বাঁচার জন্যে প্রচুর ঘোড়ার মাংস আর শীতবস্ত্র পাওয়া যাবে। যে সবচেয়ে বেশি নিয়ে যেতে পারবে সে পাবে বীরের সম্মান। গোত্রের সবচেয়ে সুন্দরী রমণীটি অমাতৃষ্ণায় ভরা নদী হয়ে ধরা দেবে তার কাছে!

বেলিন্দা! স্বপ্নীল চোখে চোখ রেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল ইয়াসীন। ইন্ডিয়ান মানেই কিছু বর্বর খুনী নয়। ওরা একটা সম্পূর্ণ সমাজ বিজাতীয় সংস্কৃতির চাবুকে জর্জরিত এক উপদ্রুত জনপদ। অপেক্ষায় অপেক্ষায় টিকে আছে এখনও।

নিজেদের কথাই ভেবে দেখো। সার ফ্রান্সিস ড্রেক যখন সোনা বোঝাই একটা স্প্যানিশ জাহাজ দখল করে আনল, এলিজাবেথীয় ইংল্যান্ড বীরের মর্যাদা দিল তাকে। যেন রসদ বোঝাই একটা ওয়্যাগন কিংবা একটা স্টেজ লুট করে ফিরেছে কোনও মোযেভ যোদ্ধা!

তোমাকে অনেক সময় আমি বুঝি না, ইয়াসীন। বিপন্ন কণ্ঠে বলল বেলিন্দা। বুঝি না শত্রুর প্রতি তোমার এই দরদ। অথচ গুলি ফসকায় না তোমার।

এসব দরদের কথা নয়। উপলব্ধির কথা। একজন প্রকৃত যোদ্ধাই উপলব্ধি করতে পারে আর একজন যোদ্ধার জীবন।

তুমি কি মনে করো যুদ্ধই জীবনের শেষ সমাধান? হাল ছেড়ে দিল ও। ব্যাপারগুলো আসলেই বুঝছে না বেলিন্দা। বুঝবে না! এটা ওর বোঝার বয়স নয়, স্বপ্ন দেখার বয়স!

আনমনে পুবে তাকায় ইয়াসীন। দিগন্তে কুয়াশাময় পর্বতের হাতছানি। মাঝখানে বিস্তীর্ণ উপত্যকা। এখানে বেলিন্দা নামের সেই মেয়ে!

কীসে যে জীবনের সমাধান, বেলিন্দার প্রতিধ্বনি তুলে বলে ও, কেউ জানে না। তবে এটুকু বলা যায় সুখ আর শান্তি আচ্ছন্ন করে মানুষকে। যুদ্ধ এবং টিকে থাকার অন্যান্য প্রতিযোগিতা করে বিকশিত। যে কোনও ইতিহাস বইয়ের যে কোনও অধ্যায়ে যুদ্ধের কাহিনি পাবে তুমি, বীর যোদ্ধাদের অমর গাথা পাবে। মানব সভ্যতাটাই তাই। যুদ্ধের বীজ হতে অঙ্কুরিত এক বিশাল মহীরুহ!

<

Super User