ফিরে এসে ধপ করে বিছানায় বসে পড়ল ক্লিফ। সেল থেকে তীক্ষ্ণ স্বরে চিৎকার করছে ল্যুক রেগান। পাত্তা দিল না। ভুরুজোড়া কুঁচকে আছে ওর। সন্ধ্যায় খাওয়া মারগুলো হজম করার চেষ্টা করছে। জীবনে কখনও এত ক্লান্ত বোধ করে নি। সাধারণ ব্যাপারগুলোও এখন ঘোলাটে লাগছে, মনে হচ্ছে স্মৃতি হারিয়েছে। শহরবাসী আর রেগানের পাঁচ ভাইয়ের চাপের মুখে অবিচল থেকে ল্যুককে আটকে রেখে আদালতে হাজির করা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছে না।

ডেস্কে পা তুলে আয়েশ করে বসে চোখ বুজল জ্যাকব, ফ্যারেল।

আজই টেলিগ্রাম করলে এখানে আসতে জাজের কতক্ষণ লাগবে? জিজ্ঞেস করল ক্লিফ।

করেই দেখো।

ঠিক আছে যাচ্ছি। তুমি দরজা আটকে হুড়কো বসিয়ে দাও। ঘাড় নেড়ে সায় দিয়ে উঠে দাঁড়াল ক্লিফের বাবা!

মাথায় টুপি চাপিয়ে বাইরে, এল ক্লিফ! দরজায় হুড়কো বসানোর শব্দ শুনল। পকেট হাতড়ে তামাক আর কাগজ বের করল। এক টুকরো কাগজ সমান করে সিগারেট বানিয়ে ঠোঁটে ঝোলাল ও, দেশলাই জ্বেলে ধরিয়ে টান দিল। দ্রুতপায়ে এগোল টেলিগ্রাফ অফিসের দিকে।

বাবার আজকের ভূমিকায় ও সন্তুষ্ট। আত্মবিনাশের পিচ্ছিল পথ থেকে তাকে সরিয়ে আনার জন্যে এরকম কিছুর প্রয়োজন ছিল, ভাবল ক্লিফ। হয়তো সাময়িক, তবু বাবার আত্মবিশ্বাসী চেহারা দেখে ভালো লাগছে।

টেলিগ্রাফ অফিসে এখনও আলো জ্বলছে। টেলিগ্রাফারের মাথার ওপর দেয়াল ঘড়ি সাড়ে এগারটা বাজার ঘোষণা দিচ্ছে। মাঝরাতের আগে জাজের কাছে টেলিগ্রাম করার বুদ্ধি মাথায় আসায় শোকর করল ক্লিফ।

কাউন্টারে দাঁড়াতেই টেলিগ্রাফার উইল অ্যাংগারম্যান, মাথা তুলে তাকাল, সোনালি রিমের চশমা আর সবুজ আই-শেড পরেছে, হাতে কালো স্লিভ প্রোটেক্টর, ইলাস্টিকের সাহায্যে বাহুর সঙ্গে আটকানো। টেবিলের ওপর বোবা টেলিগ্রাফ যন্ত্রটা পড়ে আছে। কাগজ আর পেন্সিল তুলে নিল ক্লিফ। জাজের নাম ঠিকানা লিখে তারপর। আসল খবর বসাল: ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক। পরিস্থিতি বিস্ফোরোখি। তাড়াতাড়ি আসা দরকার। সম্ভব? বার্তার নীচে স্বাক্ষর করল।

অ্যাংগারম্যানকে চিরকুটটা দিল ও। এখুনি পাঠাও। জবাবের অপেক্ষা করছি আমি।

 জানালার সামনে দাঁড়িয়ে বাইরে অকাল ক্লিফ। বার্তা পাঠাতে শুরু করেছে উইল, টেলিগ্রাফ কী টেপার কটকট শব্দ হচ্ছে। হঠাৎ নীরব হলো যন্ত্রটা, ক্লিক করে অপর প্রান্তের প্রাপ্তি সংবাদ জানাল। জেলহাউসের দিকে চোখ রেখে আবার একটা সিগারেট তৈরি করল ক্লিফ। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। জাজ কেনেডি বার্তা পাবে, উত্তর তৈরি করার পর আবার টেলিগ্রাফের সাহায্যে পাঠানো হবে-সময় লাগা স্বাভাবিক, একঘণ্টার কম নয়।

 ডাক্তার ঘুমিয়ে পড়ার আগে কাজটা শেষ করতে পারলে ভালো হত। নিঃশ্বাস নিতে গেলেই সুচের মতো বিধছে পাঁজরের ভাঙা হাড়, ব্যথায় জ্বর এসে যাচ্ছে। দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে ওর অবস্থা।

এখনই ডাক্তারের কাছে গেলেজাজের জবাব আসার আগেই বোধ হয় ফিরে আসা যেত

আধ ঘণ্টা পর আসছি আমি, অ্যাংগারম্যানকে বলল ও, জবাব আসতে দেরি হলে একটু খবর নিয়ো।

আচ্ছা। আইশেড ঠেলে ওপরে তুলে বলল অ্যাংগারম্যান। কিছুক্ষণ আগে বেশ হৈ-চৈ হয়ে গেল, তাই না?

হ্যাঁ।

তাড়ালে কীভাবে?

কাঁধ ঝাঁকাল ক্লিফ ফ্যারেল। আর কীভাবে, বললাম, জেলে ঢোকার চেষ্টা করলে কপালে খারাবী আছে, চলে গেল!

কাজটা সত্যিই রেগানের?

তার হবার সম্ভাবনাই বেশি। আবার হেলম্যানও হতে পারে।

টেলিগ্রাফ অফিস থেকে বেরিয়ে ডাক্তার বাড়ির দিকে এগোল ক্লিফ। বাট স্যালুন পেরোনোর সময় কে যেন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করল ওকে। শুনেও শোনার ভান করল ও। মোড়ে পৌঁছে সামনে তাকাল, ডাক্তারের ঘরে আলো জ্বলছে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল ও। দরজায় এসে কড়া নাড়ল। একটু পর দরজা খুলল ডাক্তার বোনার, রাতের পোশাক পরনে, শোবার আয়োজন করছিল বোধ হয়।

এসো, ক্লিফ, বলল ডাক্তার। একটু বসো তৈরি হয়ে আসি।

আমিই আজ রোগী, ডাক্তার। পাঁজরের একটা হাড় বোধহয় ভেঙে গেছে, একটু যদি দেখে দিতে…

ঝট করে তাকাল ডাক্তার। সে কী! ওরা তোমাকে মেরেছে! এসো, ভেতরে এসো! শাটটা খোলো দেখি!

শার্ট খুলে ফেলল ক্লিফ। ওর বুকে পিঠে লাল-নীল অসংখ্য ক্ষত, বীভৎস দেখাচ্ছে। আঙুলের ডগার চাপ দিয়ে পাঁজর পরীক্ষা করল ডাক্তার। একটা হাড় ভেঙেছে, সন্দেহ নেই, বলল সে। করেছে কী, লাথি মেরেছে?

হ্যাঁ।

বাঁচলে কীভাবে?

পালিয়েছি কিনা? না, পালাই নি, জ্ঞান হারিয়েছিলাম।

আপন মনে বিড়বিড় করতে করতে ওর কাঁধ, পিঠ ভাল করে পরীক্ষা করল ডাক্তার, তারপর বলল, তোমার কপাল ভালো, একটা হাড়ই ভেঙেছে, দাঁড়াও ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছি।

কেবিনেট খুলে গ বের করল ডাক্তার। টাইট করে ক্লিফের বুকে ব্যান্ডেজ বাঁধতে শুরু করল। চওড়া ব্যান্ডেজের নীচে ঢাকা পড়ল বুক। ক্লিফ অনুভব করল, এখন আর আগের মতো কষ্ট হচ্ছে না, স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারছে।

এবার শার্টটা বাড়িয়ে দিল ডাক্তার। দৌড়াদৌড়ি না করে কদিন একটু বিশ্রাম নিয়ো…আর কাল একবার এসে দেখিয়ে যেয়ো।

আচ্ছা। অসংখ্য ধন্যবাদ, ডাক্তার।

মাথা ঝাঁকাল ডাক্তার। আডিয়োস, ক্লিফ।

দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল ক্লিফ। সকালে সোনির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, পারি নি, অসহায় কণ্ঠে বলল। কেমন আছে ও?

শারীরিকভাবে সুস্থ, কিন্তু মানসিক ধাক্কা সামলে উঠতে পারে নি। রেগানের বিচার না হলে হয়তো পারবেও না। সেক্ষেত্রেও অনেক সময় লাগবে। শহরবাসীরা যা করছে, চাইলেও এখন ব্যাপারটা ভুলতে পারবে না ও। সবচেয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছে ওর মা।

দেখা হলে ওকে…বলবে…নাহ্, থাক, কিছু বলতে হবে না!

বলব, যথাসাধ্য করছ তুমি।

ক্লিফ মাথা দোলাল। আরও বলবে, কিছুই পাল্টায় নি।

আচ্ছা, ক্লিফ।

বাইরে এসে দরজা আবজে দিল ফ্যারেল। বাট স্ট্রীট ধরে টেলিগ্রাম অফিসে পৌঁছুল।

জবাব এসেছে? অ্যাংগারম্যানকে জিজ্ঞেস করল ও।

হ্যাঁ, এইমাত্র এল। একটা চিরকুট এগিয়ে দিল অ্যাংগারম্যান।

জাজ লিখেছে: শিগগির আসছি। পরশু সকাল দশটায় বিচার হবে। নীচে স্বাক্ষর করেছে কেনেডি।

বার্তাটা পকেটে রেখে দিল ক্লিফ। ধন্যবাদ, উইল। টেলিগ্রাফ অফিস থেকে বেরিয়ে এল ও। অপেক্ষা করল অ্যাংগারম্যানের। আইশেড খুলে বাতি নেভাল, উইল, বাইরে এসে সাবধানে তালা লাগাল দরজায়, টেনেটুনে ঠিকমতো লেগেছে কিনা দেখল।

ক্লিফের সঙ্গে আধ ব্লক এল সে। তারপর মোড় নিয়ে বাড়ির পথ ধরল। একাকী হয়ে পড়ল ক্লিফ।

জেলহাউসের সামনে থামল ও। বাইরে রাতের শীতল হাওয়া বেশ লাগছে। আবার গুমোট পরিবেশে ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে না। তামাক কাগজ বের করে সিগারেট রোল করে ঠোঁটে ঝুলিয়ে বাইরে দাঁড়িয়েই অলস ভঙ্গিতে টানতে লাগল।

ল্যুক রেগান কঠিন লোক, ভাবল ক্লিফ, তার ভাই আরও খারাপ। লোক চিনতে ওর ভুল হয় না। আরও চারজন নাকি আসছে।

কিন্তু মাত্র পাঁচজন কীভাবে শরহবাসীদের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে সক্ষম হবে, ভেবে পেল না ক্লিফ। আর ও যতক্ষণ পাহারায় আছে, জেল দখল করার তো প্রশ্নই ওঠে না।

 কিন্তু দৃঢ় আত্মবিশ্বাস সত্ত্বেও রেগানের ভাইদের কথা ভেবে অস্বস্তি বোধ করছে ক্লিফ।

পথঘাট এখন একেবারে নীরব। শহরবাসীদের অধিকাংশ ঘরে ফিরে গেছে। কেবল স্যালুন দুটো থেকে চাপা কোলাহলের শব্দ আসছে।

কঠিন রাস্তায় ঘোড়ার খুরের শব্দ উঠল। মুখ তুলে তাকাল ক্লিফ।

প্রথমে কিছুই চোখে পড়ল না। খুরের শব্দ ক্রমশ এগিয়ে আসছে, একাধিক ঘোড়া এদিকেই আসছে।

ঈষৎ কুচকে উঠল ক্লিফের ভুরু। বাফেলো স্যালুনের খোলা দরজা আর জানালা গলে বেরোনো আলোয় রাস্তা আলোকিত হয়েছে, সেই আলোয় তিনজন অশ্বারোহীকে দেখতে পেল ও। বাট স্যালুন পেছনে ফেলে এল ওরা।

আরেকটু কাছে আসতেই একজনকে চিনতে পারল ক্লিফ। ম্যাট রেগান, বাকি দুজন তার ভাই বলে ধরে দিল। ওদের আসার কথা বলেছিল ম্যাট।

অস্বস্তিকর অনুভূতিটা আবার ছেকে ধরল ওকে। খেপে উঠল ক্লিফ। রেগানের ভাইদের ভয়ের কী আছে? হতে পারে ওরা দুর্ধর্ষ, কঠিন, কিন্তু গ্রে বাট-এর নাগরিকরা কম কীসে? তা ছাড়া পরশু সকাল দশটাতেই তো বিচার হয়ে যাচ্ছে।

জেলহাউসের সামনে ঘোড়া থামাল তিন অশ্বারোহী। অন্ধকারে, ম্যাট রেগানের কর্কশ কণ্ঠস্বর শোনা গেল। ডেপুটি নাকি?

হ্যাঁ।

এসো, আমার দুভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই। মার্ক আর জনি।

স্যাডল থেকে নামতে গেল একজন। তীক্ষ্ণ কণ্ঠে ধমক দিল ক্লিফ, খবরদার, নামবে না?

বিনাবাক্যব্যয়ে আগের ভঙ্গিতে বসে পড়ল নোকটা। আবার কথা বলল ম্যাট রেগান। রেগে আছ যেন, ডেপুটি?

হয়তো।

রাগারই কথা। ল্যুকের ফাঁসি ঠেকাতে এসেছি আমরা।

চেষ্টা করে দেখ পারো কি না।

স্রেফ চেষ্টা করে থেমে থাকব না।

ক্লিফের দিকে কয়েক কদম এগিয়ে এল একটা ঘোড়া, মাথা নিচু করে ওর দিকে তাকাল ম্যাট রেগান। জেলখানার জানালা দিয়ে বাইরে আসা ফ্যাকাসে আলোয় ওর চেহারা দেখতে পাচ্ছে ক্লিফ।

শেষ সুযোগ দিচ্ছি তোমাকে, ডেপুটি, মৃদু কণ্ঠে বলল ম্যাট ল্যুকের সেল খুলে দাও, বের করে আনো ওকে। ওকে নিয়ে চলে যাব আমরা, আর কখনও এদিকে আসব না।

হাত দুটো মুঠি পাকিয়ে ফেলল ক্লিফ। দৃঢ় হয়ে চেপে বসল চোয়াল। শহরবাসী, সোনির মা, ল্যুক আর ম্যাট অনেক অপমান করেছে ওকে। ক্রমশ সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

তুমি চলে যাও, রেগান, বলল ও, সময় হাত পালাও। আর কখনও আমায় হুমকি দিতে এসো না।

হুমকি দিলাম কোথায়? তোমাকে একটা সুযোগ দিতে চাইলাম। কঠিন শোনাল ম্যাটের কণ্ঠস্বর। সুযোগটা না নিলে কী হবে, শোনো, বিচারে ল্যুকের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হলে বা ওকে জনতার হাতে তুলে দিলে তোমার জীবন বিষিয়ে তুলব আমরা। পৃথিবীতে না এলেই ভালো ছিল-এই রকম মনে হবে তোমার। স্রেফ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেব হতচ্ছাড়া শহরটাকে লণ্ডভণ্ড করে ছেড়ে দেব–

নিজেকে আর সংযত রাখতে পারল না ক্লিফ। রক্ত চড়ে গেল মাথায়, বিদ্যুৎ বেগে সামনে বাড়ল ও, ম্যাটের ঘোড়ার একপাশে ধাক্কা দিয়েই হাত বাড়িয়ে ওকে ধরল, হ্যাচকা একটা টান দিয়ে ছেড়ে দিল। স্যাডল থেকে পিছলে ধপাস করে মাটিতে পড়ল ম্যাট। দ্রুত এগিয়ে গেল ক্লিফ। তাড়াহুড়ো

করে পিস্তল বের করতে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ, ঝেড়ে লাথি কষাল তার হাতে। শূন্যে ভাসতে ভাসতে দূরে গিয়ে পড়ল অস্ত্রটা।

হোলস্টার থেকে পিস্তল বের করে নিমেষে কক করল ক্লিফ। দৃঢ় স্পষ্ট কণ্ঠে নির্দেশ দিল। কেউ এক চুল নড়েছে কি, কুকুরের মতো গুলি করে মারব!

ম্যাটের দুই সহোদর জমাট বরফে রূপান্তরিত হলো।

এক এক করে সবাই পিস্তল ফেলো! আবার বলল ক্লিফ। ফ্যারেল। টুপ করে মাটিতে পড়ল একটা পিস্তলতারপর আরেকটা আরেকটা।

ঘোড়ায় চাপো, ম্যাট, বলল ক্লিফ। রাতে যদি আবার রাস্তায় দেখি বেঁধে রেখে দেব!।

বিড়বিড় করে কী যেন বলল ম্যাট রেগান, বোঝা গেল না। আচমকা পিস্তলের মাযল ম্যাটের পেটে ঠেসে ধরল ক্লিফ। গুঙিয়ে উঠল লোকটা।

কী বললে?

কিছু না।

যাও, ভাগো! সকালে এসে পিস্তল নিয়ে যেয়ো।

স্যাডলে চাপল ম্যাট রেগান। কী যেন বলতে চাইল, কিন্তু ধমকে তাকে চুপ করিয়ে দিল ফ্যারেল। চোওপ! কোন কথা নয়! দূর হয়ে যাও!

রওনা হলো ম্যাটের, ঘোড়া! অন্য দুভাই অনুসরণ করল। অন্ধকারে মিলিয়ে গেল তিন ছায়ামূর্তি। আত্মতৃপ্তির হাসি হাসল ক্লিফ। কিছুটা হলেও শিক্ষা দেয়া গেছে বদমাশগুলোকে। এতে অবশ্য লাভ হবে না। কালই ফিরে আসবে ওরা। আরও নাকি দুটি ভাই আছে, তারাও অচিরেই আসবে। ভাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে ওরা…কিন্তু কীভাবে?

বিনা বিচারে ল্যুককে শহরবাসীর হাতে তুলে দিতে চায় না ক্লিফ, তেমনি চায় না ভাইয়েরা ওকে ছিনিয়ে নিক। বিচারে ল্যুক দোষী সাব্যস্ত হলে ফাঁসিতে ঝুলতেই হবে তাকে। নিজ হাতে তার গলায় দড়ি পরাবে ও।

জেলে ঢোকার জন্যে ঘুরে দাঁড়াল ক্লিফ। চৌকাঠে দাঁড়িয়ে ঋয়েছে জ্যাকব ফ্যায়েল। আমি যাচ্ছি, বলল সে। আপাতত আমার এখানে প্রয়োজন নেই, তাছাড়া ভয়ের কারণ নেই দেখলে স্টোন ফিরে আসবে।

মাথা দোলাল ক্লিফ। ঠিক আছে, বাবা, তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মাথা দুলিয়ে ঘরের পথ ধরল বুড়ো ফ্যারেল।

মাটি থেকে পিস্তল তিনটে তুলে নিয়ে জেলে ফিরে এল ক্লিফ।

<

Super User