না ভাঙ্গিল মান দেখি চতুর নাগর।
বিশাখারে ডাকি কহে বচন উত্তর।।
শুনহ আমার কথা বিশাখা সুন্দরী।
আমারে সাজায়ে দেহ নবীন এক নারী।।
চূড়া ধড়া তেয়াগিয়া কাঁচলি পরিল।
নাপিতিনী বেশ ধরি নাগর দাঁড়াইল।।
জয় রাধে শ্রীরাধে বলি করিল গমন।
রাইয়ের মন্দিরে আসি দিল দরশন।।
“কি লাগিয়ে ধূলায় পড়ে বিনোদিনী রাই।
হের এস তুয়া পায়ে যাবক পরাই।।”
চরণ মুকুরে শ্যাম নিজ মুখ দেখে।
যাবকের ধারে ধারে নিজ নাম লেখে।।
সচকিত হয়ে ধনী অরণ পানে চায়।
আচম্বিতে শ্যাম অঙ্গের গন্ধ কেন পায়।।
ইঙ্গিতে কহিল তখন বিশাখা সুন্দরী।
নাপিতিনী নহে তোমার নাগর বংশীধারী।।
বাহু পসারিয়া নাগর রাই নিল কোলে।
“আর না করিব মান” চণ্ডীদাসে বলে।

————–

শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ং দৌত্য ।। ধানশী ।।

যাবক – আলতা।<

Super User