শিকল পায়ে কে যায়?

এই কাহিনিটি বলেছেন আয়ারল্যাণ্ডের ডাবলিনের এক মহিলা। মোটামুটি সোয়াশো বছর আগের ঘটনা এটি।

চমৎকার এক রাতে দুই বোন থিয়েটার থেকে বাড়ি ফিরছেন। কিমেজ রোডের খুব নির্জন একটা অংশ পার হচ্ছেন তারা। গল্প আর হাসি-ঠাট্টায় এতটাই মশগুল যে অন্য দিকে তেমন একটা নজর নেই। এসময়ই তাদের দিকে শিকল পরা কারও এগিয়ে আসার শব্দ পেলেন। ক্লিক, ক্লিনক। প্রথমে ভাবলেন এটা নিশ্চয়ই কোনো ছাগল কিংবা গাধা। ছুটে গিয়ে, শিকল মাটিতে হেঁচড়ে হেঁচড়ে তাদের দিকে আসছে। কিন্তু কিছুই দেখতে পাচ্ছেন

তারা। শিকলের শব্দ ছাড়া কানে আসছে না অন্য কোনো আওয়াজও। কিন্তু রাস্তাটা পরিষ্কার আর সোজা চলে গেছে। শব্দটা ক্রমেই কাছে আসছে, সেই সঙ্গে চড়ছে। যখন তাদের পাশ কাটাল, একটা দমকা বাতাস এসে লাগল গায়ে। অজানা একটা আতংকে যেন নড়াচড়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। তারপর খুব কষ্টে বাকি পোয়া মাইল পেরিয়ে বাড়ি পৌঁছলেন। এদের মধ্যে বড় জনের স্বাস্থ্যের অবস্থা এমনিতেই খারাপ। তাকে বলতে গেলে বয়ে নিয়ে আসতে হলো ছোটজনকে। বাড়িতে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে বড় বোন শরীর ছেড়ে দিলেন। ব্র্যাণ্ডি খাইয়ে তাঁকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলো।

পরে জানা গেল, রাস্তার যেখানে বোনদের এই অভিজ্ঞতা হয় এর ধারেই এক বুড়ো মহিলাকে অর্থ-কড়ি হাতাবার জন্য খুন করে এক ভবঘুরে। ধারণা করা হয় কিমেজ রোডে ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তির সঙ্গে ওই মহিলার কোনো সম্পর্ক আছে।

<

Super User