চাঁদোয়ার লতাফুল গলে গিয়েছে
এখন খোলা আকাশ,
চাঁদ তারা সূর্য মেঘ ধ্বনির একই নীলে ভাসে,
এই নতুন শূন্যে আমি তাদের কাছাকাছি
বিলম্বিত লয়ে আমার স্বপ্ন অন্য সংসারে,
মহাজগতের কোনো ঘর
অসীম প্রান্তরের মর্মরে উদ্ভাসিত,
আমি দিনরাতের সীমানা পার হয়ে চলি।
কিন্তু বৃষ্টি নামে ।
হালকা সাদা মেঘ এমন ঘনঘোর হবে কে জানত?
আষাঢ় শ্রাবণ কলস্বরে ঝাঁপিয়ে পড়ে
আমার চোখে মুখে চেতনায়,
ঘুমন্ত উপকূল ভাসিয়ে সমুদ্রও এসে যায়
আর বাতাসে ভরে পঞ্চমুখী শাঁখ;
গুরুগুরু মেঘ সমুদ্র হৃৎপিণ্ড
ধমনির বিদ্যুৎ গমক
উতরোল নির্জনতা।
বৃষ্টি থামে।
ঘাসের ডগায় কচুপাতায় টলটলে ফোঁটা,
সুস্থির নিশ্বাসে তাদের ধরে রাখতে হয়;
আলোর দিকে অন্ধকারের দিকে মিড়
আমাদের চিরকালের আপন বসুন্ধরা
ললিত রঙের ছটা পুবে
পটদীপে সাজানো সন্ধ্যা
গম্ভীর রাত্রি যোগে আবিষ্ট প্রাণ ।
কখন আমি চোখ বন্ধ করেছি জানি না,
উত্তরঙ্গ পথের ওপর শান্তির আভা ফুটছে দেখি।
পাশ থেকে কে একজন জিজ্ঞেস করে কটা বাজল;
কী করে বলব?
আমি তো সময়ের আরম্ভে রয়েছি।