সোনার রোদে অস্ত্রগুলো ফুটে উঠেছে
রক্তস্রোতেও আহামরি আভা।
আমি একেবারে বিভোর হয়ে গিয়েছি,
দৃশ্যের এমন বদল আমি কি ভাবতেও পেরেছিলাম কখনও?
আমার সামনে ছিল ধানক্ষেত সোহাগি মাটি
দৃষ্টির সীমায় নদীর রহস্য।
সেখানে অন্ধকার ফেটে বেরিয়ে চারাগুলো বাড়ছিল,
জোয়ান জোয়ান হাত
আকাশটাকে খুব উঁচু করে তুলে ধরেছিল
এবং ছেলেমেয়েরা প্রজাপতিদের সঙ্গে ঘুরঘুর করছিল।
এ যাবৎ কোনো দিনান্তই আমাকে নাড়া দেয়নি,
কিন্তু আমার সাধ ছিল বলবার মতো একটা সূর্যাস্ত দেখব।
তা, দেখা গেল শেষ পর্যন্ত,
অতঃপর বারান্দাটা যদি ভেঙ্গে পড়ে পড়ুক।
এই মুহূর্তে বিখ্যাত সূর্য ঝুলে পড়েছে
এবং ইস্পাতের পঙ্গপালের ওপর শোভা ঢ়ালছে,
আমি যাদের দেখেছিলাম তারা কেউ আর স্পষ্ট নেই
কেন না তারা শস্যের গলা জড়িয়ে মাটিতে লুটিয়ে রয়েছে,
আমি বারান্দায় স্তব্ধ দাঁড়িয়ে,
তীক্ষ্ন উজ্জ্বল ফলক থেকে
আমার ওপর রক্তের রং ঠিকরে পড়ছে।
আমি এক অসাধারণ সূর্যাস্ত দেখছি।