কখনো-কখনো 
মাথা তুলি পিপাসার গহ্বর ছাড়িয়ে ; 
তোমার অমৃত-চোখ কী দেখে তখন 
কী দেখে আমার মুখে? 
হয়তো মহিম্ন স্তোত্র পাঠ করো বিধ্বস্ত কপালে, 
প্রথম পাখির ঊষা বুঝি জেগে ওঠে বন্য চুলে 
কিংবা কোনো জ্যোতিষ্মান কথার ঝংকার তুমি শোনো দুই ঠোঁটের পেষণে। 
 
তোমার উদবেল বাহু তরঙ্গের জোয়ারে ভাসায় 
দিগবলয় অন্ধ পথ সূর্যাস্ত বাসনা; 
আমি কি অবাধ্য নৌকা 
আলেয়ার তীর ঘেঁষে ডুবে যাব উচ্ছ্বাসের ফুঁয়ে? 
হয়তো তা জানো তাই বননীল জাদু 
ভুলে গিয়ে কাঁপো তুমি 
শীতের গাছের মতো কখনো-কখনো। 
 
এর চেয়ে ভালো তুমি 
নেমে এসো পিপাসার গহ্বরে আমার, 
তোমার অমৃত-চোখ খুঁজে পাঁক দিশা 
অঙ্গের জ্বলন্ত রোদে, 
জ্বলুক নিখুঁত মিলে আমাদের সহমর তৃষা… 

Arun Mitra ।। অরুণ মিত্র