ছন্দ গেঁথে দেওয়া যেতে পারে
চোখ ফিরিয়ে দুলে বা না দুলে
অন্ত-মিল দেওয়া–তাও যায়
বন্ধ চোখে মন যা আওড়ায়
এই যেমন দিলাম এখন।
কিন্তু সে আমাকে এরকম করতে দেয় না যখন তখন নাটমঞ্চ ছরকুট করে চোখের দুই পাতার মধ্যে চলে আসে আদুড়-গা বাচ্চা। দিনরাত্তির বলে কথা নেই আস্তাকুঁড়ের পাশে বা ফুটপাথে বা ধসা দাওয়ায় রাত্তিরটা খুব ছোটো আর দিন তো জ্বলে ওই জায়গাগুলোর বুকে, ওইখান থেকে আসে। ওইখানে এইখানে অক্ষরের ছড়াছড়ি শহরের কাগজে কাগজে দেওয়াল জুড়ে ছয়লাপ শব্দের নকশা ঢাকঢোল চোঙে গেরামভর। কী করবে সে? মস্ত হাঁ করে কিন্তু অক্ষর সে খেতে পারে না শব্দ সে খেতে পারে না। খিদে খিদে খিদে। তখন হাপর থেকে ছিটকে পড়ে জ্বলুনি সমেত একেবারে আমার চোখের গোড়ায়। শীত গ্রীষ্ম বলে কথা নেই খোলা চামড়ায় বেজায় তাত লাগে। রাস্তা পুড়ে ছাই-ছাই অথচ তাত ঘষে তার ফুলকি ছিটোতে ছিটোতে এইখানে। ঠাণ্ডায় গরমে এমন। আহা নিষ্পাপ শিশু! কিন্তু সে কী করবে? আহা নিষ্পাপ–কিন্তু সহানুভূতি সে খেতে পারে না দরদ সে খেতে পারে না। খিদে খিদে খিদে। এত শব্দ আর অক্ষরের ফাঁকে তাঁর চিৎকার এইখানে আগুনে।