কৃশ্চানি হুজুক

পাক্‌পাড়ার রাজাদের হাঙ্গামা চুকতে চুকতে হুজুর উঠলো, “রণজিৎসিংহের পুত্র দলিপ–ইসুমন্ত্রে দীক্ষিত হয়েচেন; তাঁর সঙ্গে সমুদায় শিকেরা কৃষ্ণান হয়েচেন ও ভাটপাড়ার জনকতক ঠাকুরও কৃশ্চান হবেন!” ভাটপাড়ার গুরুগুষ্টিরে প্রকৃত হিন্দু; তাঁরা কৃশ্চান হবেন শুনে, অনেকে চমকে উঠলেন, শেষে ভাটপাড়ার বদলে পাতুরেঘাটার শ্রীযুক্তবাবু প্রসন্নকুমার ঠাকুরের পুত্র বাবু জ্ঞানেন্দ্রমোহন বেরিয়ে পড়লেন। সমধৰ্ম্মা কৃষ্ণমোহন কন্যা উচ্ছুগ্‌গু করে দিলেন, এয়োরও অভাব রইলো না। সহরে যখন যে পড়ত পড়ে, শীগগির তার শেষ হয় না; সেই হিড়িকে একজন স্কুলমাষ্টার, কালীঘেটে হালদার, একজন বেণে ও কায়স্থ কৃশান দলে বাড়লো–দু-চার জন বড় বড় ঘরের মেয়েমানুষও অন্ধকার থেকে আলোয় এলেন। শেষে অনেকের চালফুঁড়ে আলো বেরতে লাগলো, কেউ বিষয়ে বঞ্চিত হলে, কেউ কেউ অনুতাপ ও দুরবস্থার সেবা কত্তে লাগলেন। কৃশ্চানি হুজুক রাস্তার চলতি লণ্ঠনের মত প্রথমে আসপাশ আলো করে শেষে অন্ধকার করে চলে গেল। আমরাও ক্রমে বড় হয়ে উঠলেম–স্কুল আর ভাল লাগে না!

<

Kaliprasanna Singha কালীপ্রসন্ন সিংহ