টোড়ি রাগিণী দ্বিতীয় প্রহরে গীত হয়। ভৈরবী আশাবরি গান্ধারী প্রভৃতি রাগিণীর পর রাগের তীব্র মধ্যম তীব্র সুরে জানিয়ে দেয় যে, দিনের দ্বিতীয় প্রহর এল। দু-একটি টোড়িতে দুই মধ্যম লাগে। শুদ্ধ টোড়ির এক ‘মা’। আরোহণের সময় এর পা পড়ে বক্র গতিতে। আরোহণের সময় ঋষভ বা রেখাবে চড়তে এ একটু ইতস্তত করে। অবরোহণের বেলায় কিন্তু ঋষভের গা ঘেঁষে খেলা করে। টোড়ির খেয়াল শুনুন।

টোড়ি–তেতালা

উদার প্রাতে কে উদাসী এলে।
প্রশান্ত দীঘল নয়ন মেলে॥
স্নিগ্ধ সকরুণ তোমার হাসি
আঘাত করে কেন আমারে আসি?
পাষাণ সম তব মৌন মুরতি
মোর বুকে বিষাদের ছায়া কেন ফেলে॥
উন্মন ভিখারি গো, বল মোর কাছে
শূন্য ঝুলি তব কোন মন যাচে।
অশ্রু-তুষার-ঘন বিগ্রহ তব
গলিয়া পড়িবে প্রেমে কার মালা পেলে॥

<

Kazi Nazrul Islam ।। কাজী নজরুল ইসলাম