গতকল্য বিকালবেলা আবহাওয়া খুব গরম থাকা সত্ত্বেও ‘থট্ অ্যাণ্ড ওয়ার্ক ক্লাব’-(‘চিন্তা ও কাজ সমিতি ‘) বেশ কিছু সভ্য-সভ্যা তাহাদের অতিথিগণ-সহ হিন্দুসন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানোন্দের বক্তৃতা শুনিবার জন্য ওয়েসলি হলে জড় হইয়াছিলেন। এই ভদ্রলোক এখন এই দেশে ভ্রমন করিতেছেন। বক্তৃতাটি ছিল একটি ঘরোয়া ভাষণ । প্রধান আলোচ্য বিষয় : ‘হিন্দুগণের ধর্ম -তাহাদের ধর্ম – তাহাদের ধর্মগ্রন্থ বেদে যেভাবে ব্যাখ্যাত’। বক্তা জাতিপ্রথা সম্বন্ধেও বলিয়াছিলেন।তাঁহার মতে জাতি একটি সামাজিক বিভাগমাত্র, উহা ধর্মের উপর নির্ভর করে না।

বক্তা ভারতীয় জণগণের দারিদ্র্যের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষা ভারতবর্ষের আয়তন অনেক ক্ষুদ্র হইলেও তথাকার জনসংখ্যা হইল ২৭ কোটি আর ইহাদের মধ্যে তিন কোটি লোক গড়ে ৫০ সেণ্টেরও কম উপায় করে । দেশের কোন কোন অঞ্চলে মাসের পর মাস, এমন কি বৎসররের পর বৎসর ধরিয়া একপ্রকার গাছের ফুল সিদ্ধ করিয়া জীবনধারণ করে ।

কোন কোন জেলায় পরিবারের জোয়ান মরদরাই খায় ভাত, স্ত্রীলোক ও শিশুগণকে ভাতের ফেন দিয়া ক্ষুন্নিবৃত্তি করিতে হয় । কোন বৎসর ধান না হইলে দুর্ভিক্ষ অবশ্যম্ভবী । অর্ধেক লোক একবেলা খাইয়া বাঁচে, অর্ধেক একবার কোনমতে খাইতে পাইলে পরের বারে কোথায় খাবার জুটিবে, তাহা জানেন না। স্বামী বিবে কিওন্দের মতে ভারতের অধিবাসিগণের প্রয়োজন অধিক ধর্ম বা উন্নততর কোন ধর্ম নয়, প্রয়োজন কর্মনিপুণতা । আমেরিকার অধিবাসিগণকে ভারতের লক্ষ লক্ষ দুঃস্থ এবং অনশনক্লিষ্ট জনগণের সাহায্য উন্মুখ করিবার আশাতেই তিনি এই দেশে আসিয়াছেন ।

বক্তা কিছুক্ষণ তাঁহার স্বদেশবাসিগণের অবস্থা এবং ধর্ম সম্বন্ধে বলেন । তাঁহার ভাষণের সময় মাঝে মাঝে সেন্ট্রাল ব্যাপটিস্ট চার্চের ডক্টর এফ.এ.গার্ডনার ও রেভারেন্ড এস.এফ.নব্‌স্‌ খুঁটিয়া খুঁটিয়া তাঁহাকে প্রশ্ন করেন । বক্তা উল্লেখ করেন, মিশনরীরা ভারতে অনেক দামী দামী কথা আওড়ান এবং শুরুতে অনেক হিতকর কল্পনাও তাঁহাদের ছিল, কিন্তু তাঁহারা কার্যক্ষেত্রে দেশের লোকের শ্রমশিল্প -সংক্রান্ত উন্নতির জন্য কিছুই করে নাই । তাঁহার মতে আমেরিকানদের কর্তব্য – ভারতে ধর্মপ্রচারের জন্য মিশনরীদের না পাঠাইয়া শ্রমশিল্পের শিক্ষা দিতে পারেন , এমন লোক পাঠানো।

দুর্দৈবের সময় খ্রীষ্টান মিশনরীদের কাছে লোকে সাহায্য পায় এবং মিশনরীরা হাতেনাতে শিক্ষাদানের স্কুলও যে খোলেন, ইহা সত্য কিনা , জিঞ্জাসা করিলে বক্তা বলেন, কখনও কখনও তাঁহারা এরূপ করেন বটে, কিন্তু ইহাতে তাঁহাদের কোন কৃতিত্ব নাই, কেন-না ঐরূপ সময় লোককে ধর্মান্তরিত করিবার চেষ্টা আইনতঃ নিষিদ্ধ বলিয়া ঐ চেষ্টা স্বভাবতই তাঁহাদিগকে বন্ধ রাখিতে হয়।

ভারতের স্ত্রী জাতির অনুন্নত অবস্থার কারণ – বক্তার মতে – হিন্দুদের নারীর প্রতি অত্যধিক সম্মান । নারীকে ঘরের বাহিরে যাইতে না দেওয়াই ঐ সম্মান অনুকূল মনে করা হইত । নারী সর্বসাধারণের সংস্পর্শ হইতে দূরে গৃহভ্যন্তরে শ্রদ্ধা ও পূজা লাভ করিতেন । স্বামীর সহিত চিতায় সহমরণ-প্রথার ব্যাখ্যায় বক্তা বলেন,পত্নী পতিকে এত ভালবাসিতেন যে, তাঁহাকে ছাড়িয়া থাকা তাঁহার পক্ষে অসম্ভব ছিল। বিবাহে তাহারা এক হইয়াছিলেন , মৃত্যুতেও তাঁহাদের এক হওয়া চাই।

বক্তা কে প্রতিমা পূজা এবং জগন্নাথের রথের সম্মুখে স্বেচ্ছায় পড়িয়া মৃত্যুবরণ সম্বন্ধে জিঞ্জাসা করা হইলে তিনি বলেন ,রথের ঐ ব্যাপারে হিন্দুদিগকে দোষ দেওয়া উচিত নয় , কেন না উহা কতকগুলি ধর্মোন্মাদ এবং কুষ্ঠরোগাক্রান্তলোকের কাজ।

বক্তা স্বদেশে তাঁহার কর্মপদ্ধতির বিষয়ে বলেন, তিনি সন্ন্যাসীদের সঙ্ঘবদ্ধ করিয়া দেশের শিল্পবিঞ্জান-শিক্ষণের কাজে লাগাইবেন, যাহাতে জনগণ প্রয়োজনীয় কার্যকারী শিক্ষালাভ করিয়া নিজেদের অবস্থার উন্নতি করিতে পারে।

আজ বিকালে বিবেকানোন্দের ১৬৬নং নর্থ স্ট্রীটে মিসেস উড্‌স-এর বাগানে ভারতবর্ষের শিশুদের সম্বন্ধে বলিবেন। যে কোন বালক বালিকা বা তরুণারাও ইচ্ছা করিলে আসিতে পারেন। বিবেকানোন্দের চেহারা বেশ চমৎকার, রঙ কিছু ময়লা,কিন্তু প্রিয়দর্শন । কোমরে দড়ি দিয়া বাঁধা পীতাভ লাল রঙ-এর একটি আলখাল্লা তিনি পরিয়াছিলেন। মাথায় হলুদ রঙ-এর পাগড়ি। সন্ন্যাসী বলিয়া তাহার কোন জাতি নাই, সকলের সঙ্গেই তিনি পানাহার করিতে পারেন ।

‘ডেলি গেজেট’, ২৯শে অগস্ট,১৮৯৩

ভারতবর্ষ হইতে আগত রাজা স্বানী বিবি রানন্দ গতকল ওয়েস্‌লি চার্চে সালেমের ‘থট্ অ্যাণ্ড ওয়ার্ক ক্লাব ‘-এর অতিথিরূপে বক্তৃতা দিয়াছেন । বহুসংখ্যাক ভদ্রমহোদয় ও মহিলা উপস্থিত ছিলেন এবং সম্ভান্ত সন্ন্যাসীর সহিত আমেরিকান রীতিতে করমর্দন করিয়াছিলেন । তাঁর পরিধানে ছিল একটি কমলালেবু রঙের আলখাল্লা , উহার কটি বন্ধটি লাল । তিনি একটি পাগড়িও পড়িয়াছিলেন । পাগড়ির প্রান্ত একদিকে ঝুলিয়া পড়িয়াছিল । উহা তিনি রূমালের কাজে লাগাইতেছিলেন । তাঁহার পায়ে ছিল কংগ্রেস জুতা ।

বক্তা অনেকক্ষণ ধরিয়া তাঁহার দেশবাসীর ধর্ম ও অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয় বলেন । সেন্ট্রাল ব্যাপটিস্ট চার্চে ডক্টর এফ. এ. গার্ডনার এবং রেভারেন্ড এস.এফ.নব্‌স্‌ বক্তাকে ঘন ঘন খুঁটিনাটি প্রশ্ন করেন । বক্তা বলেন মিশনরীরা ভারতবর্ষে সুন্দর সুন্দর মতবাদ প্রচার করেন, গোড়াতে তাঁহাদের উদ্দেশ্যও ছিল ভাল ,কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেশের লোকের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তাঁহারা কিছুই করেন নাই । বক্তার মতে আমেরিকানদের উচিত ধর্মপ্রচারের জন্য ভারতে মিশনরী না পাঠাইয়া ভারতবাসীকে শিল্পবিঞ্জান শিখাইবার জন্য কাহাকেও পাঠানো ।

ভারতে স্ত্রী এবং পুরুষের সম্পর্ক সম্বন্ধে কিছুক্ষণ বলিবার সময় বক্তা বলেন, পতিরা পত্মীর কাছে কখনও মিথ্যা বলে না

এবং পত্মীর উপর অত্যাচারও করে না । তিনি আরও অনেক দোষের উল্লেখ করেন , যাহা হইতে ভারতের পতিরা মুক্ত ।

বক্তাকে জিঞ্জাসা করা হয় যে , এ-কথা সত্য কিনা , দৈব্যদুর্বিপাকের সময় ভারতের জনগণ খ্রীষ্টান মিশনরীদের নিকট সাহায্য পাইয়া থাকে এবং কারিগরীশিক্ষার জন্য তাঁহারা স্কুলও চালান । উত্তরে বক্তা বলেন , কখন কখন মিশনরীরা এই ধরনের কাজ করেন বটে, তবে তাহাতে তাঁহাদের কোন কৃতিত্ব নাই,কেন-না এরূপ সময়ে লোককে খ্রীষ্টধর্মে প্রভাবান্বিত করিবার চেষ্টা বাধ্য হইয়া তাঁহাদিগকে বন্ধ রাখিতে হয়,কারণ আইনতঃ উহা নিষিদ্ধ ।

ভারতের নারীগণের দুর্দাশার কারণ নির্ণয় করিতে গিয়া বক্তা বলেন,হিন্দুরা স্ত্রীজাতিকে এত শ্রদ্ধা করে যে , তাঁহাদিগকে তাহারা বাড়ির বাহিরে আনিবার পক্ষপাতি নয়। গৃহাভ্যন্তরে নারী পরিবারের সকলের সম্মান লাভ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীলোকের সহমৃতা হইবার প্রাচীন প্রথার ব্যাখ্যা-প্রসঙ্গে বক্তা বলেন,পতির উপর পত্নীর এত গভীর ভালোবাসা থাকে যে, তাহাঁকে ছাড়িয়া জীবন-ধারণ করা পত্মীর পক্ষে অসম্ভব। একদিন উভয়ে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হইয়াছিলেন ,মূত্যুর পরও সেই সংযোগ তাহাদের ছিন্ন হইবার নয়।

প্রতিমাপূজা সম্বন্ধে বক্তা বলেন ,তিনি খ্রীষ্টানদের জিঞ্জাসা করিয়াছিলেন, উপাসনার সময় তাঁহারা কি চিন্তা করেন? কেহ কেহ বলিয়াছেন, তাঁহারা গীর্জার কথা ভাবেন, কেহ কেহ বা ঈশ্বরের চিন্তা করেন। বেশ কথা। তাঁহার দেশে লোকে ভগবানের মূর্তির কথা ভাবে। দরিদ্র জনগণের জন্য মূর্তিপূজা প্রয়োজন। বক্তা বলেন , প্রাচীনকালে ভারতীয় ধর্মের প্রথম অভ্যুদয়ের সময়ে নারীরা আধ্যাত্মিক প্রতিভা এবং মানসিক শক্তির জন্য প্রসিদ্ধা ছিলেন। তবে বক্তা স্বীকার করেন, আধুনিক কালে তাঁহাদের অবনতি ঘটিয়াছে। খাওয়া-পর গল্প গুজব এবং অপরের কূৎসা -প্রচার ছাড়া অন্য কিছুচিন্তা তাঁহাদের নাই।

বক্তা স্বদেশে তাঁহার কর্মপ্রণালী সম্বন্ধে বলেন ,একদল সন্ন্যাসীকে তিনি সঙ্ঘবদ্ধ করিয়া দেশে কারিগরী শিক্ষাপ্রচারের উপযোগী করিয়া তুলিবেন । ইহা দ্বারা জনগণের অবস্থার উন্নতি হইবে।

যে পণ্ডিত সন্ন্যাসীটি এই শহরে কিছুদিন হইল আসিয়াছেন , তিনি রবিবারসন্ধ্যা ৭/৩০এঈস্ট চার্চ -এ বক্তৃতা করিবেন। স্বামী (রেভারেণ্ড) বিবা কানন্দ গত রবিবার সন্ধ্যায় অ্যানিস্কোয়াম শহরে এপিস্কোপাল গির্জায় ভাষন দিয়াছিলেন । ঐ র্গিজার পাদরী এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাইট তাঁহাকে আমন্ত্রণ করিয়া আনিয়াছিলেন । অধ্যাপক রাইট এই অগন্তুক সন্ন্যাসীকে খুব সমাদর করিতেছেন ।

সোমবার রাত্রে ইনি সারাটোগায় যাইবেন । ওখানে সমাজবিদ্যা সমিতিতে বক্তৃতা দিবেন । পরে শিকাগোর আগামী ধর্মসম্মেলনে তাঁহার বক্তৃতা করিবার কথা । ভারতে যাঁহারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত , তাঁহাদের মতো বিবা কানন্দও প্রাঞ্জল এবং শুদ্ধ ইংরাজী বলিতে পারেন । গত শুক্রুবার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কাছে তিনি ভারতীয় শিশুদের খেলাধূলা, স্কূল এবং চালচলন সম্বন্ধে যে সরলভাবে কথাবার্তা বলিয়াছিলেন , তাহা খুব উপকারী এবং চিত্তাকর্ষক হইয়াছিল । একটি ছোট মেয়ে যখন বলিতেছিল যে , তাহার শিক্ষকা একবার তাহার আঙুল জোরে চুষিতে থাকায় আঁঙুটি প্রায় ভাঙিবার উপক্রম হইয়াছিল, তখন বিবা কানন্দের দরদী হৃদয় বিচলিত হইয়া উঠয়াছিল । * * * স্বদেশে সকল সন্ন্যাসীর ন্যয় তাঁহাকেও সত্য ,শুচিতা ও সৌভ্রাত্রের ধর্ম প্রাচর করিয়া বেড়াইতে হয় বলিয়া মহৎ কল্যানকর যাহা,তাঁহা তাহার দৃষ্টি এরায় না ,আবার যদি কোথাও বিষম কোন অন্যায় ঘটে , তাঁহাও তাহার নজরে আসে । এই সন্ন্যসী অন্যধর্মাবলম্বীর প্রতি অত্যন্ত উদার , কাহারও সহিত মতে মিল না হইলেও তাঁহার সম্বন্ধে সদয় কথাই ইহার মুখ দিয়া বাহির হয় ।

‘ডেলি গেজেট’, ৫ই সেপ্টম্বর,১৮৯৩’

ভারতের হইতে আগত রাজা স্বানী বিবি রানন্দ রবিবার সন্ধ্যায় ঈস্ট চার্চ-এ ভারতবর্সর ধর্ম এবং দরিদ্র জনগন সম্বন্ধ বক্তৃতা করিয়াছেন ।যদিও শ্রোতৃসংখ্যা ভালই ছিল , তবুও বিষয়টির গুরুত্ব এবং বক্তার আর্কষণের বিবেচণায় আরও বেশী লোক হওয়া উচিত ছিল । সন্ন্যাসী তাঁহার দেশী পোশাক পরিয়াছিলেন এবং প্রায় চল্লিশ মিনিট বলিয়াছিলেন। তাহার মতে আজিকার

ভারতবর্ষ পঞ্চাশ বৎসর আগেকার ভারত নয় । ভারতবর্ষে গিয়া এখন মিশনরীদের ধর্মপ্রচারের কোন প্রয়োজন নাই । গুরুতর প্রয়োজন এখন লোককে কারিগরী এবং সামাজিক শিক্ষাদান । ধর্ম বলিতে যাহা কিছু আবশ্যক, তাহা হিন্দুদের আছে । হিন্দুধর্ম পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম। সন্ন্যাসী খুব মধূরভাষী। শ্রোতৃমণ্ডলীর মনোযোগ তিনি বেশ ধরিয়া রাখিয়াছিলেন ।

‘ডেলি সারাটোগিয়ান’, ৬ই সেপ্টম্বর,১৮৯৩’

* * * বক্তৃতামঞ্চে তাহার পর আসিলেন হিন্দুস্থানের মাদ্রাজ হইতে আগত সন্ন্যাসী বিবে কানন্দ। ইনি ভারতের সর্বত্র প্রচার করিয়া বেড়ান। সমাজবিদ্যায় ইহার অনুরাগ আছে ,এবং বক্তা হিসাবে ইনি বুদ্ধিমান্ চিত্তাকর্ষক ।ভারতের মুসলমান রাজত্ব সম্বন্ধে ইনি বলেলেন ।

অদ্যকার সূচিতে কয়েকটি কৌতুহলোদ্দীপক বিষয় আছে ,বিশেষতঃ হার্টফোর্দের কর্নেল জেকব গ্রীনের আলোচ্য ‘স্বর্ণ ও রৌপ – উভয় ধাতুর মুদ্রামান’। বিবে কানন্দ পুনরায় বক্তৃতা করিবেন । এইবার তাঁহার বিষয় হইবে – ‘ ভারতে রৌপ্যের ব্যবহার ‘।


১. ঐসময়ে আমেরিকার খবরের কাগজসমূহে স্বামী বিবেকানন্দের নাম নানা ভাবে বানান করা হইত । রিপোর্টগুলিতে ভুল-ভ্রান্তিও থাকিত প্রচুর ।
২ . আমেরিকান সাংবাদিকগণ স্বামীজীর নামের সঙ্গে নানা মনগড়া বিশেষণ বসাইয়া দিত । যেমন :রাজা, ব্রাম্ভণ, পুরোহিত ইত্যাদি ।

<

Swami Vivekananda ।। স্বামী বিবেকানন্দ