একটি অন্ধঘড়ি পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে
ঘুরে ঘুরে ছড়াচ্ছে সংগীত
সংগীত শেষ হবার আগেই
দু-একটি দুষ্টু বালক তুলে নিচ্ছে সুর
সুর থেকে কেউ
ধরে আনছে আরব্য রজনীর পাখি
তুলে আনছে কেউ বোবা গায়কের চোখ।
অন্ধঘড়ি—চোখ ছিল না বলে
কোনোদিন পড়া হয়নি হাতের তালু
তালুতে লিখে রাখা ভূত-ভবিষ্যত্—
দুষ্টু বালকেরা ভূত-ভবিষ্যত্ ভাবে না
ভাবে—একটি নিজস্ব সুর হলো বেশ!
এখন থেকে কারও সঙ্গে ঝগড়া হলে
ঢিল ছুঁড়বে না আর বরং
একটি নিপুণ গান পাঠিয়ে দেবে
তার আত্মা বরাবর—

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ০৮, ২০১০

Super User