হঠাৎ ফাল্গুনী হাওয়া ব্যাধিগ্রস্ত কলির সন্ধ্যায়:

নগরে নগররক্ষী পদাতিক পদধ্বনি শুনি; –

দুরাগত স্বপ্নের কী দুর্দিন, – মহামারী,অন্তরে বিক্ষোভ –

অবসন্ন বিলাসের সংকুচিত প্রাণ।

ব্যক্তিত্বের গাত্রদাহ; রন্ধ্রহীন স্বধর্ম বিকাশ

অতীতের ভগ্ননীড় এইবার সুপুষ্ট সন্ধ্যায়।

বণিকের চোখে আজ কী দুরন্ত লোভ ঝ’রে পরে, –

বৈশাখের ঝড়ে তারই অস্পষ্ট চেতনা।

ক্ষয়িষ্ণু দিনেরা কাঁদে অনর্থক প্রসব ব্যথায়…

নশ্বর পৌষের দিন চারিদিকে ধূর্তের সমতা:

জটিল আবর্তে শুধু নৈমিত্তিক প্রাণের স্পন্দন।

গলিত উদ্যম তাই বৈরাগ্যের ভান, –

প্রকাশ্য ভিক্ষার ঝুলি কালক্রমে অত্যন্ত উদার;

সংক্রামিত রক্ত-রোগ পৃথিবীর প্রতি ধমনীতে।

শোকাচ্ছন্ন আমাদের সনাতন মন,

পৃথিবীর সম্ভাবিত অকাল মৃত্যুতে,

দুর্দিনের সমন্বয়, সম্মুখেতে অনন্ত প্রহর।

বিজিগীষা? – সন্দিহান আগামী দিনেরা:

দৃষ্টিপথ অন্ধকার, (লাল-সূর্য মুক্তির প্রতীক?

–আজ তবে প্রতীক্ষায় আমাদের অরণ্যবাসর।)

Sukanta Bhattacharya ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য