আমার যৌবনস্বপ্নে যেন           ছেয়ে আছে বিশ্বের আকাশ । 
ফুলগুলি গায়ে এসে পড়ে          রূপসীর পরশের মতো । 
পরানে পুলক বিকাশিয়া           বহে কেন দক্ষিণা বাতাস 
যেথা ছিল যত বিরহিণী            সকলের কুড়ায়ে নিশ্বাস ! 
বসন্তের কুসুমকাননে               গোলাপের আঁখি কেন নত ? 
জগতের যত লাজময়ী              যেন মোর আঁখির সকাশ ? 
কাঁপিছে গোলাপ হয়ে এসে ,       মরমের শরমে বিব্রত ! 
প্রতি নিশি ঘুমাই যখন             পাশে এসে বসে যেন কেহ , 
সচকিত স্বপনের মতো            জাগরণে পলায় সলাজে । 
যেন কার আঁচলের বায়            উষার পরশি যায় দেহ , 
শত নূপুরের রুনুঝুনু             বনে যেন গুঞ্জরিয়া বাজে । 
মদির প্রাণের ব্যাকুলতা            ফুটে ফুটে বকুলমুকুলে ; 
কে আমারে করেছে পাগল —      শূন্যে কেন চাই আঁখি তুলে ! 
যেন কোন্ উর্বশীর আঁখি          চেয়ে আছে আকাশের মাঝে ! 
<

Rabindranath Tagore ।। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর