{source}<iframe width="560" height="315" src="https://www.youtube.com/embed/zBvEaCq6qaE" title="YouTube video player" frameborder="0" allow="accelerometer; autoplay; clipboard-write; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture" allowfullscreen></iframe>{/source}


কালো রাত কাটে না, কাটে না
এত ডাকি, রোদ্দুর এই পথে হাঁটে না---
ঘরে না, মাঠে না।
সূয্যি ঠাকুর, শোনো, সূয্যি ঠাকুর গো,
আমাদের খোকাখুকু তোমারও কি পর গো ?


মাগো, এত ডাকি খিদের দেবতাটাকে
বেশি নয় যেন দু’বেলা দু’মুঠো নুনমাখা ভাত রাখে---
তুই আর আমি দুঃখ ভুলবো, ভুলবো পেটের জ্বালা ;
খিদের দেবতা, সে কি একেবারে কালা!

বাছা রে আমার অচ্ছুৎ, তাই যেভাবে যতই ডাকো
কোনো দেবতাই বস্তিতে আসে নাকো।


আয় রোদ্দুর, আয়।
আয় আমাদের ন্যাংটা খুকুর নোংরা বিছানায়।
আয় রোদ্দুর, বস্তিতে---
আধমরা ওই খুকুর ঠোঁটে একটু চুমুর স্বস্তি দে।
আয় লক্ষ্মী, আয় রে সোনাঔ
এইটুকুতেই জাত যাবে না।


আয় রোদ্দুর, আয়।
দারুণ শীতে খুকু মোদের ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
আয় রে শীত মাড়িয়ে---
ভয়ের জুজু ডাইনি বুড়ির চুল ধরে দে তাড়িয়ে।
আয় লক্ষ্মী, আয় রে সোনা।
রাত গেলে কি ভোর হবে না ?


শূন্য উঠান শূন্য মাচা
শূন্য ভাঁড়ার ঘর ;
এমন দিনে বাছা রে তোর
এ কোন কঠিন জ্বর ?

এর ঝাঁটা ওর লাথি খেয়ে
বেড়েছিস তুই ছেলে ;
বাঁচবি কি তুই এই জ্বরেও
ইপোসে দিন গেলে ?

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
আমি কি তোর মা ?
চোখের জলে ঘর ভেসে যায়
তাপ তো কমে না।

ক্ষুধার আগুন দাউ দাউ দাউ
কান্না-ভেজা ঘরে ;
মায়ের কোলে দুধের শিশু
দুধ ছাড়া আর মরে।

বাইরে বাতাস আছড়ে পড়ে . . .
আমি কি তোর মা ?
ঝাঁটা সইলাম, লাথি সইলাম,
কী-জন্যে সোনা!!

Birendra Chattopadhyay ।। বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়