অসুর রে। তুই যাত্রাদলে যেই লেখালি নাম,
হলি মহিষাসুর, সে কী তিড়িং নাচ তখন তোর ;
বাপ রে সে কী ভয়-দেখানো সার্কাসের খেলা !

যতই বাড়ে বেলা, ততই মেজাজ তোর চড়া ,যেন
এর মুন্ডু খসাবি, ওর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাবি !
আমরাভাবি কোথায় পালাই,এমনি তোর হুলস্থুল কান্ডকারখানা !
তোকে করবে মানা,কারুর নেই এমন বুকের পাটা-
তুই যে বাপের ব্যাটা । পরের হাড় কড়মড় করে খাওয়াই
               ধর্ম তোর,সেই তোর ছৌ-নাচ!
সূর্য় অস্ত গেলে বুঝি এবার শান্তি-কিন্তু তুই স্বয়ং অশান্তি;
হুঙ্কারে তোর গাছগুলিও পাথর,কোলের শিশু কান্না ভুলে
                   কঠিন কাঁপতে থাকে-
গাঁয়ের মানুষ যে-যার ঘরে দরজা দিয়ে সমস্ত রাত জেগে কাটায় !
যতক্ষণ না ফুরায় তোর স্পর্ধা,তোর সার্কাস,তোর মুখোস নাচের বাহাদুরি-
যতক্ষণ না পাড়ার থুথ্বুড়ে বুড়ি তোর দু’গালে চড় ক’ষিয়ে
  বলে তোকে হারামজাদা! এবার ঘুমুতে যা !

Birendra Chattopadhyay ।। বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়