অণিমাদি করিয়া যাহার অষ্টসিদ্ধি ।
যাহার চরণ-রজঃ বাঞ্ছা করে বিধি ।।
প্নাক ধনুক যার অনন্ত শিঞ্জিনী ।
যাহাতে হইলা শর দেবচক্রপাণি ।।
সমুদ্র-মন্থনে ঘোর উঠিল গরল ।
ত্ন লোক দহে যেন প্রলয়-অনল ।।
হেন বিষ পিয়ে শিব রাখিল জগত্ ।
সম্পদে মাতিয়া মূঢ় না জান মহত্ ।।
চরণ-নিছনী যার চরণে রজ ।
দুর্লভ জানিয়া যার বাঞ্ছা করে অজ ।।
সহস্র কমলে হরে পূজা করে হরি ।
একটি কমল তার শিব কৈল চুরি ।।
মন্ত্র আছে পুষ্প নাহি ভাবে গদাধর ।
ডানি চক্ষু দিল নিয়া শিবের উপর ।।
কপালে ধরিয়া চক্ষু হইল ত্রিলোচন ।
কমল-নয়ন হৈলা দেব নারায়ণ ।।
দেব নাগ নর শিবে করয়ে পূজন ।
তোমা বিনী দ্বেষভাব করে কোন্ জন ।।
লোক-রিপু ত্রিপুর দহন কৈল হর ।
কি কারণে হেন জনে বল কটূত্তর ।।
শিবনিন্দা-শ্রবনে করিব প্রতিকার ।
তোমার অঙ্গজ তনু না রাখিব আর ।।
গুরুজন-নিন্দা শুনি আচ্ছাদি শ্রবণ ।
যেই নিন্দা করে তার করিয়ে শাসন ।।
সেই স্থান ছাড়ি কিংবা যাই অন্য স্থান ।
পাপ-প্রতিকার হেতু তেজিয়া পরাণ ।।
হৃদয় সরোজে চিন্তি শিবের চরণ ।
দৃঢ় করি মহামায়া পরিলা বসন ।।
যোগেতে তেজিলা তনু জগতের মাতা ।
মুকুন্দ রচিল গৌরী-মঙ্গলের গাথা ।।

Mukundaram Chakrabarti ।। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী