দিনের বেলা হরি হরি
            রাত্রে করে গরু চুরি
            ঝোলার মধ্যে নড়ে-চড়ে কতো রকম গরম ঠাণ্ডা
            সেই সাধুরে মারো ডাণ্ডা।

            ভিখারীর বৈরাগ্য আর নপুংশকের ব্রহ্মচর্য
            দেহে পোষে কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ আর মদ-মাৎসর্য
            হৃদয়ে যার নাই ঐশ্বর্য
            শৌর্যহীন পাষণ্ড পাণ্ডা।
সেই      বৈরাগীরে মারো ডাণ্ডা।।

            সারাজীবন প্রচার করে ত্যাগের মহিমা যারা
            নিজে কিছু ত্যাগ করে না কখনও মল-মূত্র ছাড়া
ধরে      পরকীয়া প্রেমের ধারা
            উড়ায়ে নিষ্কামের ঝাণ্ডা।
            সেই ত্যাগীরে মারো ডাণ্ডা।।

            হা কৃষ্ণ হা কৃষ্ণ বলে নাচে যে কাছ খুলে
            দুষ্কৃতিকারীরা যখন তেড়ে যায় লাঠি তুলে
তখন     প্রাণ গোবিন্দের কথা ভুলে
            পালায় নিয়ে নিজের প্রাণ্‌ডা।
            সেই বৈষ্ণবরে মারো ডাণ্ডা।।

            শিষ্য বাড়ি খেয়ে খেয়ে দুধ-ঘি আর মাখন-ছানা
            নাদুস্‌ নুদুস্‌ দেহখান যেন হোদল কুত্‌কুতের ছানা
            নকুল বলে নিজে কানা
            পরকে চেনায় ঘোড়ার আণ্...
            সেই গুরুরে মারো ডাণ্ডা।।

——————————-
নকুল কুমার বিশ্বাস
অ্যালবাম: সাধের মাইয়া
রচনা- ১৫.০৪.৯৫ – ১৯.০৪.৯৫
মিরপুর, ঢাকা।<

Super User