মাননীয় প্রধানমন্ত্রী–
আমি- সাধারণ এক গায়ক, যন্ত্রী।

আপনারা কাছে লিখলাম চিঠি বড়ই সাহস করে
সত্যি মিথ্যে যাচাই করবেন চিঠির ভাষা ধরে।

গণতন্ত্রের মানস কন্যা আপনি দেশরত্ন
আপনি ছাড়া কে আর করবে মানবতার যত্ন।

সংখ্যালঘু নির্বিচারে নির্যাতিত দেশে
গণতন্ত্র বিক্ষত আলামত সর্বনেশে!

অসহায় ওই হিন্দুরা আজ স্বদেশে প্রবাসী
সংখ্যালঘুর ক্রান্তিলগ্ন সময় সর্বগ্রাসী!

ওরা- আতংকিত! বিভীষিত! হাত, পা, মুখ বাঁধা রে
কত হিন্দু ভিটে বাড়ি ছাড়ছে রাতের আঁধারে!

সাভার,চাঁদপুর, চাটগাঁ,রংপুর,আশাশুনি, জামালপুর
সাতক্ষীরা আর পিরোজপুরে আর্তনাদের করুণ সুর!

কেউ কেউ বলে ধর্মসন্ত্রাস! আমি করি- ‘না’ যুক্ত
বিশ্লেষকে বলেন ওরা সব রাজনৈতিক দলভুক্ত!

প্রশাসনের কেউ কেউ যুক্ত সুকৌশলে স্ববলে
হায়রে যারা ভূত তাড়াবে তারাও ভূতের কবলে!

পঞ্চগড়ের কারাগারে ষড়যন্ত্রের মন্ত্রণায়
আমার ভাইকে পুড়ে মারে নরকদগ্ধ যন্ত্রণায়!

ওরা-আমার মাকে গাছে বেঁধে আদিম উল্লাসে মাতে
আমার বোনকে গণধর্ষণ করছে আজ দিন-রাতে!

তুমি- বিদুষী নারী, তুমি বোঝো শ্লীলতার কি মূল্য
সংখ্যালঘু বলে কি আজ পশুর সাথে তুল্য?

একটা কিছু করো নেত্রী একটা কিছু করো
সম্ভ্রম হারা আমার বোনের হাত দু’খানা ধরো।

কত ভাবে বর্বরতার চিহ্ন ওরা রেখে যায়
কিছু প্রকাশ হলেও বেশী অপ্রকাশই থেকে যায়!

বোবা যেমন স্বপ্ন দেখে পারে না সে কইতে
সংখ্যালঘুর তেমনি দশা নিজের দেশে রইতে!

সবাই যেনো বোবা কালা জীবন অভিশাপ
জন্মই হলো সংখ্যালঘুর আজন্ম এক পাপ!

তারপরেও ছাড়তে চাই না সোনার বাংলাদেশ
তোমার কাছে এই আকুতি করলাম আমি পেশ।

বিদায় বেলায় প্রিয় নেত্রী চাইবো আমি আজ কী আর
চাইছি শুধু নিরাপদে বেঁচে থাকার অধিকার।

আপনার সদয় দৃষ্টি ভিন্ন অন্য আর কিছু যাচি না
জানি- সংখ্যালঘুর শেষ ভরসা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

নকুল কুমার বিশ্বাস

Super User