ক্রাইম বা গোয়েন্দাকাহিনীর উৎস সন্ধান করতে গিয়ে শ্রদ্ধেয় সুকুমার সেন মন্তব্য করেছিলেন* ‘ক্রাইম কাহিনী অর্থাৎ ডিটেকটিভ গল্প-উপন্যাস আধুনিক কালে, ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে সৃষ্টি, সে ধারণা বোধকরি অনেকেরই আছে। এ ধারণা যথার্থ বলব যদি সে গল্পকাহিনী পুলিশী ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার পরে রচিত হয়ে থাকে, নইলে নয়।’ তিনি আমাদের বৌদিক যুগেও ক্রাইম কাহিনীর উদাহরণ পেয়েছেন এবং বইয়ে তার উল্লেখ করেছেন।
মন্তব্যটি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে – যেহেতু ক্রাইম-কাহিনী মাত্রই গোয়েন্দাকাহিনী নয়। যুগ যুগ ধরেই ক্রাইম বা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, কিন্তু সেখানে রাজপেয়াদা বা দেব-দেবতা থাকলেও গোয়েন্দা অনুপস্থিত। গোয়েন্দা যদি গোয়েন্দাকাহিনীর কেন্দ্রবিন্দু হয়, তাহলে বাংলা গোয়েন্দাকাহিনীর দেশজ সূত্র নেই; এর সূত্রপাত ইংরেজি সাহিত্য থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে। অনেক ক্ষেত্রে গল্পগুলি সোজাসুজি অনুবাদ বা ছায়া অবলম্বনে লেখা। মৌলিক গোয়েন্দাকাহিনী সেযুগে রচিত হয় নি, তা নয়, তবে যতদিন কপি-রাইট নিয়ে কারো মাথাব্যথা ছিল না, বহু বাংলা গোয়েন্দাকাহিনীতেই বিদেশী গল্পের প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট।

প্রসঙ্গতঃ, ইংরেজী গোয়েন্দা কাহিনীর সূচনা খুঁজতেও কেউ কেউ ঈশপের গল্প বা চসারের ক্যাণ্টবেরি টেলস-এর প্রসঙ্গ তোলেন। গল্পে ধাঁধা বা রহস্যের উপস্থাপনা অবশ্য তারও আগের থেকে সুরু। প্রায় সব দেশেরই প্রাচীন সাহিত্যে এ ধরণের কিছু কিছু গল্প আছে। দুয়েকটা গল্পে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং সেই সব পর্যবেক্ষণ থেকে যুক্তি সংগত সিদ্ধান্তে আসার উদাহরণও আছে । কিন্তু তবু এগুলিকে ঠিক গোয়েন্দা গল্প বলা যাবে না, কারণ এইসব গল্পে কোনও গোয়েন্দা চরিত্র নেই। গোয়েন্দা কথাটি প্রথম অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে স্থান পেয়েছিল ১৮৪৩ সালে। তবে ডিকশানারিতে কথাটা স্থান পাবার আগেও শব্দটির চল নিশ্চয় ছিল। এর দশ বছর আগে, ১৮৩৩ সালে, ফ্র্যাঙ্কয়েজ ইউজিন ভিদক (যিনি এক সময়ে নানা রকম দুষ্কর্ম করে জেল খেটেছিলেন) একটি তথ্য উদ্ঘাটনের (Le bureau de renseignments ) সংস্থা খোলেন। এটিকে বলা যেতে পারে প্রাইভেট ডিটেকটিভ এজেন্সি। ভিদক তাঁর আত্মজীবনীতে যেসব ঘটনা ফেঁদেছেন, অনেকের ধারণা তার অনেকগুলিই শ্রেফ গল্প। সেক্ষেত্রে এডগার এলেন পো-র আগেই ডিটেকটিভ গল্পের সূচনা হয়েছিল। তবে ভিদকের গল্পেরও (?) আগে ফ্রান্সের বিখ্যাত দার্শনিক ভলটেয়ার জাদিগ নামে একটি বই লিখেছিলেন। সেই বইয়ে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ ক্ষমতার অনেক উদাহরণ আছে। একটি গল্পে রয়েছে যে, এক রাজার উট হারিয়ে গেছে। রাজা তাঁর অশ্বারোহীদের সেটা খুঁজতে পাঠালেন। অশ্বারোহীরা এক মেষপালককে জিজ্ঞেস করল, উটটা দেখেছে কিনা।
মেষপালক জিজ্ঞেস করল, “উটটা কি ডানচোখে দেখতে পায় না?”
“হ্যাঁ, পায় না।”
“ওর সামনের বাঁ পাটা কি খোঁড়া?”
“ঠিক তাই।”
“আর সামনের দাঁতগুলির মধ্যে একটা কি নেই?”
“একদম ঠিক।”
“না, আমি ওটাকে দেখি নি”, মেষপালক বলল।
“তবে রে মিথ্যুক!” রাজার অশ্বারোহীরা মেষপালককে বেঁধে রাজার কাছে নিয়ে গিয়ে বলল, ” মহারাজ, লোকটা বলছে উটটাকে দেখে নি, কিন্তু উটের হুবহু বর্ণনা আমাদের দিয়েছে।”
“কি ব্যাপার !” রাজা অসন্তুষ্ট হয়ে মেষপালকের উদ্দেশ্যে বললেন।
মেষপালক বলল, “মহারাজ, আমি জানি যে উটটার বাঁ চোখটা খারাপ, তার কারণ দুদিকেই চমৎকার ঘাস, কিন্তু উটটা শুধু ডান দিকের ঘাস খেয়েছে। ওর সামনে বাঁ-পাটা খোঁড়া, সেটা আমি মাটিতে ওর পায়ের ছাপ দেখেই বুঝতে পেরেছি। আর ফোকলা দাঁতের ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি ওর ঘাস খাওয়ার ধরণ দেখে। দুপাশে ঘাস ঘাস চিবানো হয়েছে, কিন্তু মাঝে একটুখানি জায়গায় কামড় পড়ে নি। আমি মহারাজ, আপনার লোকদের দেখাতে যাচ্ছিলাম কোনদিকে উটটা গিয়েছে, তার আগেই ওরা আমাকে ধরে নিয়ে এসেছে।”
এখনকার বাঙলা গোয়েন্দা গল্পেও এ ধরণের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা দেখলে কেউ কেউ তারিফ করবেন।

ভিদক বা ভলটেয়ার হলেন ফরাসী, তাঁদের ইংরেজী গল্প প্রসঙ্গে টেনে আনলে কেউ কেউ ন্যায্য ভাবেই আপত্তি তুলতে পারেন। আসলে আমরা অনেক সময়ে ইংরেজী রহস্য গল্পের কথা বলতে গিয়ে ইউরোপ আমেরিকা নিয়ে বাদ-বিচার করিনা। ইংরেজীতে সাহেবদের গল্প থাকলেই সেটা ইংরেজী গল্পের মধ্যে ধরে নিই। সে যাই হোক, মোটামুটিভাবে প্রায় সবাই মানেন গোয়েন্দা গল্প তার পরিপূর্ণ রূপ পেয়েছে এডগার এলেন পো-র দ্য মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ গল্পে। ১৮৪১ সালের এই গল্পে পো সৃষ্টি করেন এক তীক্ষ্ণ বুদ্ধিধারী সখের গোয়েন্দা অগাস্টে সি ডুপিনকে। দ্য মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ শুধু প্রথম পূর্ণাঙ্গ গোয়েন্দাকাহিনী নয়, এটি বন্ধ-দরজা (ক্লোজড ডোর বা লকড ডোর মিস্ট্রি) নিয়ে যেসব উৎকৃষ্ট কাহিনী রচিত হয়েছে, তাদের অন্যতম।

রহস্যকাহিনী নিয়ে ইংরেজীতে প্রথম উপন্যাস সম্ভবতঃ উইল্কি কলিন্সের দ্য উওম্যান ইন হোয়াইট । বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে। কলিন্স কিন্তু সখের গোয়েন্দা ব্যবহার করেন নি। তাঁর ডিটেকটিভ সার্জেণ্ট কাফ্ ছিলেন পুলিশ বিভাগেরই লোক। কিন্তু বুদ্ধিতে তিনি ডুপিনের থেকে কিছুমাত্র কম দড় ছিলেন না। কলিন্স কাফ্-কে নিয়ে শুধু গোয়েন্দাগিরিই করান নি। তাঁকে একটা নেশাও দিয়েছিলেন – বাগান করার নেশা, বিশেষতঃ গোলাপ ফুলের। গোয়েন্দারাও যে মানুষ, তাদেরও যে কিছু নেশা বা খ্যাপামি থাকতে পারে – সেটাই বোধহয় কলিন্স দেখাতে চেয়েছিলেন। পরবর্তী যুগের লেখকদের অনেকে এ ব্যাপারে কলিন্সের পথ অনুসরণ করেছেন। নিরো উল্ফের অর্কিড-প্রিয়তা ও ভোজনবিলাসিতা, হারকিউল পয়রোর (বলা উচিত এ্যরকুল পোয়ারো – আগাথা ক্রিস্টির বেলজিয়ান গোয়েন্দা বারবার চেষ্টা করেও নামের শুদ্ধ উচ্চারণটা আমাদের রপ্ত করাতে পারেন নি!) পোষাক-পরিচ্ছদ নিয়ে অতি-সচেতনতা এবং গোঁফের দৈনন্দিন পরিচর্যা, শার্লক হোমসের পাইপ টানা এবং বেহালা বাজাবার নেশা, ইত্যাদি।

উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ থেকে গোয়েন্দা উপন্যাস ইংল্যাণ্ডে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। সম্ভবতঃ তার একটা কারণ এর আগে যেসব বই ছাপা হত সেগুলো কিনতেন ও পড়তেন অভিজাত সম্প্রদায়ের লোকেরা। সাধারণ লোকের না ছিল তেমন শিক্ষা, না ছিল ক্রয়ক্ষমতা কিংবা অবসর। কিন্তু সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে অবসর বিনোদনের জন্যে সাধারণ লোকের বইয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মালো। সৃষ্টি হল নতুন পাঠকশ্রেণী – যাঁদের অনেকে ইংরেজি ক্লাসিক্স-এর থেকে রহস্য-রোমাঞ্চের দিকে আকৃষ্ট হলেন। হয়তো এইসব পাঠকদের কথা ভেবেই বিখ্যাত সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্স রহস্য ও রোমাঞ্চের উপর কয়েকটা ছোট গল্প লিখেছিলেন, যার একটি হল, ক্লিক হাউস (১৮৫৩)। ১৮৭০ সালে চার্লস ডিকেন্স দ্য মিস্ট্রি অফ এডউইন ড্রুড লিখতে শুরু করেন। অসাধারণ এই রহস্য উপন্যাসটি শেষ পর্যন্ত রহস্যই থেকে যায়, কারণ ডিকেন্স এটিকে সমাপ্ত করে যেতে পারেন নি।

১৮৭৮ সালে অ্যানা ক্যাথারিন গ্রীন লিখলেন দ্য লেভেনওয়ার্থ কেস। মেয়েদের মধ্যে তিনই হলেন প্রথম রহস্যোপন্যাস-লেখিকা। ইংল্যাণ্ডের কাণ্ট্রিহাউসের এক রহস্যকে উনি যে ভাবে উদ্ঘাটিত করেছিলেন তা পরবর্তী বেশ কিছু লেখককে প্রভাবিত করে।

এর পরে যিনি গোয়েন্দাসাহিত্যে এলেন তিনি হলেন আর্থার কোনান ডয়েল। তাঁর সৃষ্ট শার্লক হোমস নিঃসন্দেহে গোয়েন্দা হিসেবে সাহিত্যজগতে সবচেয়ে বেশী পরিচিত। ১৮৮৭ সালে প্রকাশিত শার্লক হোমসের প্রথম কাহিনী এ স্টাডি ইন স্কার্লেট। প্রমাণসূত্র আবিষ্কারে অসামান্য দক্ষতা, সুতীক্ষ্ণ বিশ্লেষণী শক্তি ও সুগভীর অন্তর্দৃষ্টির জন্যে হোমস আজ গোয়েন্দা জগতের কিংবদন্তি পুরুষ। শার্লক হোমসের কীর্তিকলাপ কোনান ডয়েল লিপিবদ্ধ করালেন হোমসের গুণমুগ্ধ ভক্ত ওয়াটসনকে দিয়ে। কোনান ডয়েলের পরে একই স্টাইল বহু লেখকই অনুসরণ করেছেন (নিরো উল্ফের আর্চি গুডউইন, এ্যরকুল পোয়ারোর ক্যাপ্টেন হেস্টিংস প্রমুখ)।

বিংশ শতাব্দীর বিশ দশককে অনেক সময় বলা হয় ইংরেজী সাহিত্যের স্বর্ণযুগ। ইংল্যাণ্ডের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে গোয়েন্দাগল্পের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। এই সময়েই কলম ধরেন এক অসামান্য প্রতিভাময়ী লেখিকা আগাথা ক্রিস্টি। ৫০ বছরের লেখিকা-জীবনে তিনি দুজন গোয়েন্দাকে নিয়ে ৮০-টিরও বেশী রহস্যোপন্যাস লিখেছেন। তাঁর গোয়েন্দা একজন পেশাদার – চেহারায় বেঁটেখাটো আত্মম্ভরী হারকিউল পয়রো (এ্যরকুল পোয়ারো)। অন্যজন প্রায় আশী বছরের বৃদ্ধা মিস জেন মারপেল, যিনি আজীবন কুমারী – নেশা বাগান করা আর চেয়ারে বসে কিছু বোনা। ১৯২০ সালে দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার্স অ্যাট স্টাইলস-এ আগাথা ক্রিস্টি তাঁর বেলজিয়ান গোয়েন্দা এ্যরকুল পোয়ারোর সঙ্গে পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেন। আজও রহস্যোপন্যাসের শ্রেষ্ঠ লেখক বা লেখিকার নাম করতে গেলে প্রথমেই আগাথা ক্রিস্টির নাম মনে আসে।

১৯৩৫ সালে বইয়ের জগতে একটি পরিবর্তন আসে যার ফলে রহস্যগল্পের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পায়। লণ্ডনের পাব্লিশার অ্যালেন লেন ও তাঁর দুই ভাই সুরু করলেন পেপার-ব্যাক বইয়ের প্রচলন। শক্ত কভারে বাঁধাই করা দামি বইয়ের সস্তা সংস্করণ প্রকাশ সুরু হল পেপার কভারে। জন্ম হল পেঙ্গুইন প্রকাশনার। অপেক্ষাকৃত কম দামের এই বইগুলি কেনা লোকের পক্ষে আরও সহজ হল।

বিংশ শতাব্দীর তিরিশ চল্লিশ দশকে রহস্যকাহিনীর জনপ্রিয়তার ঢেউ ইংল্যাণ্ড থেকে গিয়ে পৌঁছল আমেরিকায়। সেই ঢেউ পৌঁছবার ঠিক একটু আগে আমেরিকার দুই লেখক ঠিক করলেন একা নয়, তাঁরা দুজনে একসঙ্গে রহস্যকাহিনী লিখবেন নতুন আঙ্গিকে। ফ্রেডারিক ড্যানে ও ম্যানফিল্ড বি. লি সৃষ্টি করলেন তাঁদের গোয়েন্দা এলারি কুইনকে। ১৯২৯ সালে দ্য রোম্যান হ্যাট মিস্ট্রি-তে এলারি কুইন আর তাঁর বাবা রহস্য-উদঘাটনে নামেন। দুই লেখক মিলে ৩৩ টি এলারি কুইনের বই লেখেছিলেন, যা এখনও বহু পাঠককে আনন্দ দেয়।

ইংরেজি সাহিত্যে গোয়েন্দাকাহিনী সংখ্যায় অজস্র ; ভালো কাহিনীকারও বহু। জি.কে.চেস্টারটন (গোয়েন্দা: ফাদার ব্রাউন), ই.ডি. বিগার্স (গোয়েন্দা: চার্লি চ্যান), এস.এস. ভ্যানডাইন্স (গোয়েন্দা: ফিলো ভান্স), রেমণ্ড চ্যাণ্ডলার (গোয়েন্দা: ফিলিপ মার্লো), রেক্স স্টাউট (গোয়েন্দা: নিরো উল্ফ), মিকি স্পিলেন (গোয়েন্দা: মাইক হ্যামার), ডরোথি সেয়ার্স (গোয়েন্দা: লর্ড পিটার উইমসি), জর্জ সিমেনোন (গোয়েন্দা: ইনস্পেক্টর মাইগ্রেট – মূল রচনা ফরাসী ভাষায়), ড্যাশিয়েল হ্যামেট (গোয়েন্দা: স্যাম স্পেড), পি.ডি. জেমস (গোয়েন্দা: ইনস্পেক্টর অ্যাডাম ড্যাগ্লিশ), স্যু গ্র্যাফ্টন (গোয়েন্দা: কিন্সি মেলহোন), প্যাট্র্শিয়া কর্নওয়েল (ডাক্তার স্কারপেটা), রুথ রেণ্ডেল (গোয়েন্দা: চিফ ইনস্পেক্টর ওয়েক্সফোর্ড), আর্ল স্টানলি গার্ডনার (উকিল পেরী মেসন) প্রমুখ লেখকরা গোয়েন্দা ও রহস্যসাহিত্যে অসামান্য সাফল্য লাভ করেছেন। এঁদের বিক্রিত বইয়ের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। শোনা যায় ১৯৪৭ সালে মিকি স্পিলেন-এর যৌনতা ও রক্তারক্তিতে ভরা বই আই দ্য জুরি – ষাট লক্ষ কপি বিক্রী হয়েছে। দাবী সত্য হলে রহস্য কাহিনীর বইয়ের জগতে এটাই হবে রেকর্ড।

*ক্রাইম কাহিনীর কালক্রান্তি (দ্বিতীয় সংস্করণ ২০০৮), আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা।

———–
[সুজন দাশগুপ্ত এককালে অনেক ধাঁধার বই লিখেছেন। এখন গোয়েন্দাকাহিনী লেখেন। ]

Sujan Dasgupta ।। সুজন দাশগুপ্ত