বাংলা গোয়েন্দাসাহিত্যের আদিযুগের লেখক

বরকতউল্লা: ঠগী দমনে নিযুক্ত স্লীম্যান সাহেবের এক দারোগা। তিনি কিছু কিছু কাহিনী সরকারী ফাইল থেকে উদ্ধার করে ইংরেজীতে ছাপিয়েছিলেন। পরে বাংলায় ‘বাঁকাউল্লার দপ্তর’ নামে এগুলি প্রকাশিত হয়।

গিরিশচন্দ্র বসু: ১৮৫৩ থেকে ১৮৬০ – এই সাত বছর দারোগার চাকরি করেছিলেন। দুষ্কৃতিদের নানার কীর্তিকাহিনী তিনি লিপিবদ্ধ করেন ‘সেকালের দারোগার কাহিনী’-তে। ১৮৯৪-১৯৯৫ সালে একটি পত্রিকায় এগুলি প্রথম প্রকাশিত হয়। তবে পুলিশী গোয়েন্দাকাহিনী এদের বলা যাবে না।

ভুদেবচন্দ্র মুখোপাধ্যায় (১৮৪২-১৯১৯): বটতলার বই ‘হরিদাসের গুপ্তকথা’ লিখে খ্যাত হয়েছিলেন। দেশী-বিদেশী নানান কেচ্ছা ও অপরাধকাহিনীর মিশ্রণে তৈরী এই লেখা। ভুবনচন্দ্রের বহু বই বটতলা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু তার সবগুলিই ভুবনচন্দ্র লিখেছিলেন বলে মনে হয় না।

হরিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বি.এল: পেশায় উকিল ছিলেন। ‘নেপাল ডাক্তারের কাহিনী’ (১৮৯৮) লিখে প্রসিদ্ধ হন।

প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায় (১৮৫৫-১৯৪৭): বহু বছর দারোগার চাকরি করেছিলেন। নিজের পুলিশ-জীবনের নানান কাহিনী (সম্ভবতঃ কিছু কল্পিত) ‘দারোগার দপ্তর’ নাম দিয়ে এক কালে মাসে মাসে প্রকাশিত হত।

ক্ষেত্রমোহন ঘোষ: প্রথম বই ‘আদরিণী’ ১২৯৪ সালে প্রকাশিত হয়। ‘জাল গোয়েন্দা’ ‘তিন খুন’ ইত্যাদি অনেকগুলি বই তিনি রচনা করেছিলেন।

দেড়ে বাবাজী: লেখকের আসল নাম কী ছিল জানা নেই। ‘উদাসিনী রাজকন্যার গুপ্তকথা (১২৯৪) বইটি বটতলার বই।

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘রাণী সুধামুখী’ (১৩০১)।

শরচ্চন্দ্র দেব (সরকার): ‘তীর্থ বিভ্রাট’, ‘গুম খুন’ ইত্যাদি বইয়ের রচয়িতা। কিন্তু উনি বিখ্যাত হন ‘গোয়েন্দা কাহিনী’ নামে মাসিক পত্রিকাটি প্রকাশ করার জন্যে।

কুসুমেষু মিত্র: ‘কামিনীকণ্টক’ (১৩০৮)।

সতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘রেলে চুরি’ (১৩১৯)।

মহিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: চাঁদের হাট’ (১৩২৭, ৪র্থ সংস্করণ)। বইটির প্রথম প্রকাশকাল অজ্ঞাত।

পাঁচকড়ি দে: বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যের আদি-পর্বের অন্যতম শ্রেষ্ট লেখক। বাংলা গোয়েন্দা-সাহিত্যের জনক বলে অনেকে ওঁকে মর্যাদা দেন। ওঁর ‘মায়াবিনী’ (১৮৯৯), ‘মায়াবী (১৯০১) ও জীবস্মৃত রহস্য (১৯০৩, পরে নাম পাল্টে ‘সেলিনাসুন্দরী’) এককালে বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্য জগতে সাড়া এনেছিল।

অম্বিকাচরণ গুপ্ত: সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, কিন্তু ডিটেকটিভ উপন্যাসও লিখেছিলেন। ‘স্বর্ণবাঈ’ (১৩১৫) এবং ‘নথীর নকল’ (১৮৯৯) ওঁরই লেখা।

দীনেন্দ্রনাথ রায় (১৮৬৯ -১৯৪৩): প্রথম বই বাসন্তী (১৮৯৮)। বহু রহস্য ও গোয়েন্দাকাহিনী লিখেছেন। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওঁর রহস্যলহরী সিরিজ-এর ডিটেকটিভ ব্লেক এবং সহকারী স্মিথ-এর গল্প। এগুলি অনুবাদকহিনী।

হরিসাধন মুখোপাধ্যায় (১৮৬২-১৯৩৮): ঐতিহাসিক প্রবন্ধ ও গল্প লিখে সাহিত্যসাধনা শুরু। পরে ডিটেকটিভ গল্প লিখতে শুরু করেন। ‘কঙ্কণ-চোর’ (১৯১৬) , ‘লালচিঠি’ (১৯১৬), ‘মৃত্যু প্রহেলিকা’ (১৯১৭)। ওঁর কিছু লেখা ছিল অনুবাদ।

—————
সূত্র: ক্রাইম কাহিনীর কালক্রান্তি – সুকুমার সেন; আনন্দ পাবলিশার্স, ২০০৮।

গোয়েন্দা ও রহস্যকাহিনী লেখকদের তালিকা

পশ্চিমবাংলার যেসব লেখকরা গোয়েন্দা ও রহস্য কাহিনী লিখেছেন এবং যাঁদের বই এখনো বাজারে পাওয়া যায় – তাঁদের একটি তালিকা এবং তাঁদের লেখা কিছু বইয়ের নাম নীচে দেওয়া হল। বলাবাহুল্য তালিকাটি অসম্পূর্ণ – অনেক লেখকের নাম আমরা সংগ্রহ করে উঠতে পারি নি। ভবিষ্যতে পাঠকদের সহায়তায় এই লিস্টটির শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে – এটাই আশা। তালিকায় বাংলাদেশের কোনও লেখকের নাম নেই – সেটা আমাদের অজ্ঞতাবশতঃ। বাংলাদেশী পাঠকদের কাজে অনুরোধ রইলো – বাংলাদেশের লেখক এবং তাঁদের কিছু বইয়ের খবর আমাদের পাঠাবার জন্যে।

অখিল নিয়োগী – তিব্বত ফেরত তান্ত্রিক (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ দেবসাহিত্য)
অজিতকুমার পুততুণ্ড – গোয়েন্দা কৌস্তভ (নবধারা)
অদ্রীশ বর্ধন – গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্রসমগ্র (নাথ), গোয়েন্দারহস্য (মৌসুমী)
অনীশ দেব -গোয়েন্দার নাম এ.সি.জি (করুণা), তীর বিদ্ধ (সুপ্রীম), পাঁচটি রহস্য উপন্যাস (পত্র ভারতী), ভয়ঙ্কর ভাইরাস (সুপ্রীম), হিমশীতল (পত্র ভারতী), শতবর্ষের সেরা রহস্য উপন্যাস (সম্পাদিত, পত্র ভারতী)
অভ্র রায় – গোয়েন্দা বৈজ্ঞানিক (এম.সি. সরকার, ২০০১)
অমিতাভ ভট্টাচার্য – রহস্য গল্প (দে’জ. ২০০২)
অরুণ চট্টোপাধ্যায় – সেরা রহস্য, সেরা গোয়েন্দা (সম্পাদিত, পুনশ্চ)
অরুণকুমার দত্ত – সেরা রহস্য রোমাঞ্চ গোয়েন্দা কাহিনী (বসাক)
অরুণ কুমার মুখোপাধ্যায় – রহস্য তদন্তে গোয়েন্দা (সম্পাদিত, টিচার্স বুক এজেন্সি, ২০০৩)
অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তী – সেরা গোয়েন্দা গল্প (সম্পাদিত, ময়না)
অশোককুমার মিত্র – সবাই যখন অন্ধকারে (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
অশোক দাশগুপ্ত – হিন্দোল রহস্য (আজকাল)
অসীম চট্টোপাধ্যায় – গোয়েন্দা গোরাদা (মডার্ন কলাম)
আবীর গুপ্ত – রাজুর গোয়েন্দাগিরি (নিউ বেঙ্গল প্রেস)
কালকেতু – শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা গল্প (সুপ্রকাশনী), শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দাকাহিনী (নবকল্প)
কৃষাণু বন্দ্যোপাধ্যায় – বাসব অমনিবাস (দে’জ), রহস্যভেদী বাসব (সাহিত্য প্রকাশ), লাশকাটা টেবিল (অনন্যা), শঙ্খচিলের কান্না (দে’জ)
খগেন্দ্রনাথ মিত্র – পূজনীয় দস্যু (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
গজেন্দ্রকুমার মিত্র – রেশমী ফাঁস, তৃতীয় রিপু, হায়নার দাঁত (মিত্র ও ঘোষ)
গৌতম রায় – এক ডজন রহস্য (নাথ), কিশোর রহস্য অমনিবাস (দে’জ), নায়িকা নিখোঁজ (দে’জ), রত্নহার রহস্য (দে’জ), রহস্যভেদী নীল ব্যানার্জি (দে’জ)
ঘনশ্যাম চৌধুরী – অন্ধকারের হাত (দে’জ), ভয়ঙ্কর দ্বীপের রহস্য (দে’জ), রহস্য জমজামাট (ন্যাশেনাল বুক এজেন্সি)
চিরঞ্জীব সেন – লালবাড়িতে খুন (শিবরানী), রাতের জোনাকি (দে’জ), দারোগার ডায়রী (সাহিত্যলোক), সাগরবেলায় খুন (সাহিত্যলোক), সুন্দরবাদ রহস্য (নন্দিতা)
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় – গোয়েন্দা গার্গী (পত্র ভারতী), ধূসর মৃত্যুর মুখ (দে’জ), হলুদ খামের রহস্য (দে’জ), পাঁচটি রহস্য উপন্যাস (পত্র ভারতী)
তপনকুমার দাস – সেরা গোয়েন্দা গল্প (ভারতী)
তুলসী সেনগুপ্ত – ধারাগিরি রহস্য (অপর্ণা), রাজবাড়ি রহস্য (ভাষা ও সাহিত্য)
তুষারকান্তি পাণ্ডে – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা গল্প (গ্রন্থনা), বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রহস্য গল্প (সম্পাদিত, গ্রন্থনা), শতবর্ষের শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা কাহিনী (সম্পাদিত, গ্রন্থনা)
ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় – জগুমামার চার রহস্য (পত্র ভারতী), মুখোশের আড়ালে (পত্র ভারতী), হেরে যাবেন জগুমামা (পত্র ভারতী)
দীনেন্দ্রকুমার রায় – রবার্ট ব্লেক রহস্য অমনিবাস (গ্রন্থ প্রকাশ), রবার্ট ব্লেক (মির্মল), রবার্ট ব্লেকের ছটি উপন্যাস (সাহিত্যম)
ধানসিড়ি রায়চৌধুরী – সেরা রহস্য গল্প (মডেল)
ধীরেন্দ্রলাল ধর – গোয়েন্দা গোবিন্দ (কিশোর ভারতী), রহস্য রোমাঞ্চ গল্প (কিশোর ভারতী)
নটরাজন – শ্রেষ্ঠ রহস্যকাহিনী (দে’জ)
নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত – হারানো বই (দেব সাহিত্য)
নারায়ণ সান্যাল – কাঁটায় কাঁটায় (দে’জ), কাঁটা ৪ (দেবসাহিত্য), সোনার কাঁটা (মিত্র ও ঘোষ)
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী – জোড়া ভাদুড়ী (দে’জ), ভাদুড়ী সমগ্র (দে’জ)
নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় – রহস্য হিরের দুল (পুনশ্চ), হত্যাকাণ্ডের আড়ালে (পত্র ভারতী)
নীহারঞ্জন গুপ্ত – ইস্কাবনের টেক্কা (মিত্র ও ঘোষ), এক ডজন রহস্য (নাথ), কালো হাত (মিত্র ও ঘোষ), বাছাই করা কিরীটির গোয়ন্দা গল্প (বসাক), কিরীটি অমনিবাস (মিত্র ও ঘোষ)
নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় – জয়পরাজয় ( প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য), বিজয় অভিযান, উদাসী বাবার আখড়া (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
প্রভাবতী দেবী সরস্বতী – কলঙ্কী চাঁদ, পেশোয়ারের বিভিষিকা (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য), গুপ্ত ঘাতক (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
প্রেমেন্দ্র মিত্র – পরাশর সমগ্র (আনন্দ), গোয়েন্দা পরাশর বর্মা (এ. মুখার্জি), হার মানলেন পরাশর বর্মা (মিত্র ও ঘোষ)
পাঁচকড়ি দে – নীল বসনা সুন্দরী (প্রয়াস), মায়াবী (পত্র ভারতী)
প্রভাবতী দেবী (সরস্বতী) – গুপ্তঘাতক, হত্যার প্রতিশোধ (দেব সাহিত্য)
বরেন গঙ্গোপাধ্যায় – টিকলিগড়ের হত্যারহস্য (দে’জ), অভিশপ্ত কঙ্কাল (রূপ)
বিকাশ বসু – অ-য়ে অঘটন (আনন্দধারা), সত্যি ডিটেকটিভ (আই.এ.পি)
বিভূতিভূষণ চক্রবর্তী – বাপি রহস্য (দে’জ), ভূত গোয়েন্দা আতঙ্ক (সূর্য পাব), রেশমী সুতোর ফাঁস (এ.সি.সরকার)
বিমল কর – কিকিরা সমগ্র (আনন্দ), অভিশপ্ত পুঁথি ও অষ্টধাতু (আনন্দ), জাদুকরের রহস্যময় মৃত্যু (আনন্দ)
বিশ্বনাথ দে – আরো গোয়েন্দা গল্প (নির্মল), গোয়েন্দা গল্প (নির্মল)
বুদ্ধদেব বসু – ছায়া কালো কালো, ভূতের মতো অদ্ভুত (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ, দেব সাহিত্য)
মঞ্জিল সেন – অভিশপ্ত গুপ্তধন (উজ্জ্বল) রুহিতনের দশ (গ্রন্থলোক), সপ্তদশ রহস্য (বিভা), ছোটদের রহস্য রোমাঞ্চ (নাথ), গোয়েন্দা অমনিবাস (নন্দিতা)
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য – হুকাকাশির গল্প (এশিয়া), পদ্মরাগ (এশিয়া)
মহীন্দ্র বসু – সেরা গোয়েন্দা (সম্পাদিত, কিশোর সাহিত্য), পঁচিশ বছরের সেরা চিল্ড্রেন্স ডিটেকটিভ (সম্পাদিত, দে’জ)
মানবেন্দ্র পাল – গোয়েন্দা বাপ্পার কেরামতি (করুণা), বাপ্পার অ্যাডভেঞ্চার (নিউ বেঙ্গল প্রেস)
মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় – গোয়েন্দা অমনিবাস (দে’জ, ১৯৯৭)
মৃণালকান্তি দত্ত – সোনার খনি (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
যোগেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় – বি.এল.এ. ২০৫ , লাল দলিল (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
রাজকুমার মৈত্র – রহস্য তিন দুই এক (নাথ, ২০০১)
লীলা মজুমদার – রহস্যভেদী পাঁচ (বুলবুল প্রকাশন)
শমীতা দাশ দাশগুপ্ত – দ্বন্দ্ব (আনন্দ)
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্যোমকেশ সমগ্র (আনন্দ)
শশধর দত্ত – মোহন অমনিবাস (মডেল), কবন্ধের পশ্চাতে শ্রীমন্ত (মডেল), ব্রহ্মদেশে গুপ্তধন (ভারতী)
শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় – কঙ্কাল রহস্য (দেব সাহিত্য), গুপ্তধন রহস্য (দেব সাহিত্য), হীরক রহস্য (দেব সাহিত্য)
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – নীলু হাজরার হত্যা রহস্য (আনন্দ), শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা গল্প (আনন্দম), রক্তের বিষ (আনন্দম), হারানো মণি (সুপ্রীম)
শেখর বসু – রহস্যের জাল (উর্বশী), রহস্যের পাঁচ ঠিকানা (পুনশ্চ)
শৈলবালা ঘোষজায়া – জয়পতাকা (দেব সাহিত্য)
শ্যামলকান্তি দাস – সেরা গোয়েন্দা গল্প (সম্পাদিত, অঙ্কুর)
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – চতুর গোয়েন্দা চতুর অভিযান (আনন্দ), চিত্রকূট রহস্য (মিত্র ও ঘোষ), পাণ্ডব গোয়েন্দা সমগ্র (আনন্দ), লাল বাজারের রাহাজানি (মণ্ডল)
সঙ্কর্ষণ রায় – রহস্য গল্প (সাহিত্যম, ২০০৫), রহস্যভেদী বিজ্ঞানী (নির্মল বিক)
সত্যজিৎ রায় – ফেলুদা সমগ্র (আনন্দ), গ্যাংটকে গণ্ডগোল (আনন্দ), কৈলাসে কেলেঙ্কারি (আনন্দ), ফেলুদা এণ্ড কোং (আনন্দ), জয়বাবা ফেলুনাথ (আনন্দ)
সমরেশ বসু – গোগোলের অভিযান (শৈব্যা), গোগোল চিক্কুস নাগাল্যাণ্ডে (আনন্দ), গোগোল অমনিবাস (জগদ্ধাত্রী)
সমরেশ মজুমদার – অর্জুন সমগ্র (আনন্দ), অর্জুন এবার কলকাতায় (আনন্দ), অর্জুন হতভম্ব (পত্র ভারতী)
সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী – ডিটেকটিভ অমনিবাস (নবপ্রকাশ)
সুকুমার ভট্টাচার্য – চুড়িদার মুখোস (পত্র ভারতী), সোনার মূর্তি রহস্য (আদার বুক্স), সব গল্পই রহস্যের (সম্পাদিত, নির্মল)
সুখেন্দু মুখোপধ্যায় – রহস্য রোমাঞ্চ কাহিনী (সম্পাদিত, এ.সি.ই)
সুজন দাশগুপ্ত – গোয়েন্দা একেনবাবু (সুপ্রীম), গোয়েন্দা একেনবাবু – হরপ্পার শিলালিপি (এ. মুখার্জি), শান্তিনিকেতনে অশান্তি (দাশগুপ্ত-অ্যালায়েন্স)
সুজিতকুমার নাগ – গোয়েন্দা চক্রজালে (বসাক), গোয়েন্দা ও রহস্য গল্প (নন্দিতা)
সুনীতি মুখোপাধ্যায় – সেরা গোয়েন্দা অমনিবাস (লোকনাথ)
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় – কাকাবাবুর অভিযান (শৈব্যা), কিশোর রহস্য গল্প (শৈব্যা), কাকাবাবু সমগ্র (আনন্দ), কাকাবাবু হেরে গেলেন (আনন্দ)
সেকেন্দার আলি সেখ – সেরা গোয়েন্দা (সাহিত্য তারুণ্য)
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ – অদ্বিতীয় কর্ণেল (পত্র ভারতী), আরও এক ডজন কর্ণেল (পত্র ভারতী), কর্ণেল সমগ্র (দে’জ)
সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় – বর্ম্মা ফেরত, জলটুঙ্গি (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য), জীবন্ত সমাধি (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
স্বপনকুমার – আঁধার রাতের পথিক (দেবসাহিত্য), এক গ্লাস সরবত (দেবসাহিত্য), মৃত্যু না হত্যা (তারা দাস), রহস্য রোমাঞ্চ অমনিবাস (শশধর)
স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় – রহস্যভেদী মেঘনাদ (আই.পি.পি), তিব্বতী গুম্ফার রহস্য (পত্র ভারতী), বিভীষিকা দ্বীপে স্যার সত্যপ্রকাশ (পত্র ভারতে)
হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় – গোয়েন্দা আর গোয়েন্দা ( রূপা প্রকাশনী, ১৯৯৮)
হীরেন চট্টোপাধ্যায় – সেরা গোয়েন্দা গল্প (সম্পাদিত, সরোজ পাব)
হেমেন্দ্রকুমার রায় – অন্ধকারের বন্ধু (দেব সাহিত্য), আবার যখের ধন (দেব সাহিত্য), যখের ধন (এম.সি.সরকার), গোয়েন্দাকাহিনী সংকলন (পত্রলেখা)

লেখক এবং ডিটেকটিভদের তালিকা

অজিতকুমার পুততুণ্ড – কৌস্তভ
অদ্রীশ বর্ধন – ইন্দ্রনাথ রুদ্র
অনীশ দেব – এ.সি.জি
অসীম চট্টোপাধ্যায় – গোরাদা
কৃষাণু বন্দ্যোপাধ্যায় – বাসব
গৌতম রায় – নীল ব্যানার্জী
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় – গার্গী
দীনেন্দ্রকুমার রায় – রবার্ট ব্লেক
ধীরেন্দ্রলাল ধর – গোবিন্দ
নলিনী দাস – গোণ্ডালু
নারায়ণ সান্যাল – পি.কে.বাসু
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী – ভাদুড়ীমশাই
নীহাররঞ্জন গুপ্ত – কিরীটি রায়
প্রণব রায় ও অন্যান্য – প্রতুল লাহিড়ী
প্রভাবতী দেবী (সরস্বতী) – কৃষ্ণা
প্রেমেন্দ্র মিত্র – পরাশর বর্মা
পাঁচকড়ি দে – দেবেন্দ্রবিজয় ও অরিন্দম
বিমল কর – কিকিরা
বুদ্ধদেব বসু – চঞ্চল
মানবেন্দ্র পাল – বাপ্পা
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য – হুকাকাশি
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্যোমকেশ বক্সী
শিবরাম চক্রবর্তী – কল্কেকাশি (হুকাকাশির অনুকরণে)
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – বরদাচরণ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – পাণ্ডব গোয়েন্দা – বাবলু, বিলু, ভোম্বল, বাচ্চু ও বিচ্ছু
সত্যজিৎ রায় – প্রদোষ মিত্র (ফেলু দা)
সমরেশ বসু – গোগোল
সমরেশ মজুমদার – অর্জুন
সুজন দাশগুপ্ত – একেনবাবু
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় – কাকাবাবু , সন্তু
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ – কর্ণেল নিলাদ্রী সরকার
স্বপনকুমার – দীপক চ্যাটার্জি
হিমানীশ গোস্বামী – গর্জন
হেমেন্দ্রকুমার রায় – জয়ন্ত, মানিক ও ইনস্পেক্টর সুন্দরবাবু এবং হেমন্ত, রবিন ও ইন্সপেক্টর সতীশবাবু

Super User