ফেলুদা ঘটনাটা শুনে কিছুক্ষন ভুরু কুঁচকে গুম হয়ে বসে রইল। তারপর বলল, ‘তুই তাহলে বলছিস যে একবার তলিয়ে দেখা চলতে পারে?’
‘বা রে–তুমিই তো রহস্যজনক ঘটনা খুঁজছিলে। বললে, অনেক ডিটেকটিভ বই পড়ে তোমারও ডিটেকটিভ বুদ্ধিটা খুব ধারালো হয়ে উঠেছে।’
‘তা তো বটেই। এই ধর–আমি তো আজ ম্যালে যাইনি, তবু বলে দিতে পারি তুই কোন্‌ দিকের বেঞ্চে বসেছিলি।’
‘কোন দিক?’
‘রাধা রেস্টুরান্টের ডান পাশের বেঞ্চগুলোর একটাতে।’
‘আরেব্বাস! কী করে বুঝলে?’
‘আজ বিকেলে রোদ ছিল। তোর বাঁ গালটা রোদে ঝলসেছে, ডান ধারেরটা ঝলসায়নি। একমাত্র ওই বেঞ্চিগুলোর একটাতে বসলেই পশ্চিমের রোদটা বাঁ গালে পড়ে।’
‘ইনক্রেডিবল।’
‘যাক গে। এখন কথা হচ্ছে–রাজেন মজুমদারের বাড়িতে একবার যাওয়া দরকার।’

Satyajit Ray ।। সত্যজিৎ রায়