মেচেদার সিঙাড়া-টিঙাড়া খেয়ে, সেখান থেকে বাসে করে তমলুক পৌঁছনো গেল। সেখান থেকে আবার বাস বদলে মহিষাদলে।

নাম শুনে যেরকম ভয়-টয় ধরে যায়, গিয়ে দেখলুম আদৌ সেরকম নয়। বরং বেশ ছিমছাম জায়গাটা—দেখে-টেখে ভালোই লাগে। খুব বড় একটা রাজার বাড়ি আছে, একটা উঁচু রথ আছে, বাজার আছে, অনেক লোকজন আছে। মানুষগুলোকেও তো বেশ সাদা-মাটা মনে হল, কোথাও যে কোনও ঘোর-প্যাঁচ আছে সেটা বোঝা গেল না। আর একটা মোটে মোষ দেখতে পেলুম, একজন তার গলায় দড়ি বেঁধে নিয়ে যাচ্ছিল, সুড়সুড় করে চলে যাচ্ছিল, আমাদের দেখে সে মোটেই তোতে চাইল না।

বিন্দেবন তিনটে রিকশা ডাকল। বললে, তা হলে চলুন, একেবারে মালখানাতেই যাওয়া যাক।

টেনিদা বললে, মালখানা? সে আবার কোথায়?

বিন্দেবন বললে, দেখা নেই তো সব। চন্দ্রকান্তদার সঙ্গে সেখানেই দেখা হবে। তিনি মালপত্তর সব দেখিয়ে দেবেন। তারপর কলকাতায় কোথায় আপনারা ডেলিভারি নেবেন, সেসবও ওখানেই ঠিক হয়ে যাবে।

মালপত্তর! আমি আর ক্যাবলা একটা রিকশায় চেপে বসেছিলুম। মালপত্তর শুনেই আমার কীরকম যেন বিচ্ছিরি লাগল, সেই শেয়ালপুকুরের কথা মনে পড়ে গেল, মনে পড়ল সেই ম্যাও ম্যাও আসবার কথা, আমি ক্যাবলাকে চিমটি কাটলুম একটা।

ক্যাবলা আমাকে পালটা এমন আর-একটি চিমটি কাটল যে আমি প্রায় চ্যাঁ করে চেঁচিয়ে উঠতে গিয়ে সামলে নিলুম। ক্যাবলা আমার কানে কানে বললে, এখন চুপ করে থাক না—গাধা কোথাকার।

চিমটি আর গাধা শব্দ এ-অবস্থাতে আমাকে হজম করে নিতে হল কী আর কথা! সব ব্যাপারটাই এখন এমন ঘোলাটে মনে হচ্ছে যে আমি গাধার মতোই চুপ করে বসে রইলুম। অবিশ্যি গাধা যে সব সময়ে চুপচাপ বসে থাকে তা নয়—মনে একটু ফুরতি টুরতি হলেই বেশ দরাজ গলায় প্যাঁহোঁ হ্যাঁ হে বলে তারস্বরে গান গাইতে থাকে। আমার গলায় টান-টান শুকিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু–

কিন্তু কুঁই কুঁই করে কেমন একটা বেয়াড়া গানের আওয়াজ আসছে না? আসছেই তো। তাকিয়ে দেখলুম, সামনের রিকশাতে বসে গান ধরেছে তালঢ্যাঙা বিন্দেবন।

এমন চাঁদের আলো, মরি যদি সেও ভালো—

এ যে দেখছি গানের একেবারে গন্ধর্ব! আমার চাইতেও সরেস, হাবলার ওপরেও এক কাঠি। এমন ভালো গানটারই বারোটা বাজিয়ে দিলে! তা ছাড়া এমন সকালের রোদ্দুরে চাঁদের আলোই বা পেলে কোত্থেকে! সেই চাঁদের আলোয় বিবেন আবার মরতেও চাইছে। তা নিতান্তই যদি মরতে চায়, তা হলে নয় মারাই যাক, আমরাও ওর জন্যে শোকসভা করতে রাজি আছি, কিন্তু সে-জন্যে অমন চামচিকের মতো গলায় গান গাইবার মানে কী? নিজে এমন গাইয়ে বলেই বোধহয় সে হাবলার গানের তারিফ করছিল।

রিকশা বেশ ঠনুতুন করে নিরিবিলি রাস্তা দিয়ে এগোচ্ছিল। দু-দিকে বাড়ি-টাড়ি আছে, গাছপালা, মাঠ এইসব আছে, ভারি সুন্দর হাওয়া দিয়েছে, আকাশটা যেন নীল চোখ মেলে চেয়ে রয়েছে, এদিকে আবার একটা খালের জল রোদে ঝিলমিল করে উঠছে। বিদ্বেনের মনে ফুর্তি হতেই পারে, কিন্তু তাই বলে

আমি আর থাকতে পারলুম না। ক্যাবলাকে জিজ্ঞেস করলুম, চামচিকের গান শুনেছিস কখনও?

ক্যাবলা বললে, না।

তা হলে ওই শোন। বিবেন গান গাইছে।

ক্যাবলা বললে, চামচিকে তো তবু ভালো। তুই গান গোিল তো মনে হয় যেন হাঁড়িচাঁচা ডাকছে। এখন আর ইয়ার্কি করিসনে প্যালা—অবস্থা খুব সঙ্গিন। আমরা দারুণ বিপদের মধ্যে পড়তে যাচ্ছি।

দারুণ বিপদ! শুনেই আমি খাবি খেলুম। বিবেনের গান শুনে, সবুজ, মাঠ, নীল আকাশ আর ঝিরঝিরে হাওয়ার ভেতরে মনটা বেশ খুশি হয়ে উঠেছিল, কিন্তু ক্যাবলা আমাকে এমন দমিয়ে দিলে যে বুকের ভিতরটা ধড়ফড় করতে লাগল।

চিঁ চিঁ করে বললুম, কী বিপদ?

একটু পরেই জানতে পারবি।

তা হলে আমরা রিকশা চেপে কেন যাচ্ছি বিন্দেবনের সঙ্গে? নেমে পড়ে সোজা চম্পট দিলেই তো পারি। ইচ্ছে করে কেন পা বাড়াচ্ছি বিপদের ভেতর?

ক্যাবলা আরও গম্ভীর ভাবে বললে, আর ফেরবার পথ নেই। এখন একটা এসপার-ওসপার হয়ে যাবে।

আমি বললুম, কিন্তু ওসপার করে কী লাভ? এসপারে থাকলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।

—তা যায় কিন্তু কম্বলকে তা হলে পাওয়া যাবে কী করে?

ঠিক কথা। ওই লক্ষ্মীছাড়া কম্বল। যত গণ্ডগোল ওকে নিয়েই। মাস্টারের ভয়ে পালালি তো পালালি—আবার বিটকেল একটা ছড়া লিখে গেলি কী জন্যে? চাঁদে গেছে না হাতি। সেই-যে কারা সব নরমাংস খায়, তাদের ওখানে গিয়ে হাজির হয়েছে, আর তারা কম্বলকে দিয়ে অম্বল বেঁধে খেয়ে বসে আছে।

কিন্তু কম্বলকে কি কেউ খেয়ে হজম করতে পারবে? আমার সন্দেহ হল। ও ঠিক বাতাপি কিংবা ইম্বলের মতো তাদের পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে। যেদিন কম্বল কোত্থেকে দুটো গুবরে পোকা এনে আমার শার্টের পকেটে ছেড়ে দিয়েছিল, সেদিন থেকেই ওকে আমি চিনে গেছি।

এই সব ভাবছি, হঠাৎ ক্যাবলা আমার কানে কানে বললে, প্যালা!

আমি দারুণ চমকে গিয়ে বললুম, আবার কী হল?

—এই যে খালের ধার দিয়ে আমরা যাচ্ছি, এ দেখে কিছু মনে হচ্ছে না তো?

—কী আবার মনে হবে?

ক্যাবলা আরও ফিসফিস করে বললে, আভিতক তুম্ নেহি সমঝা? আরে, সেই যে ছড়াটা, ছল ছল খালের জল—

ঠিক ঠিক। নিরাকার মোষের দল—মানে মোষ-টোষ বিশেষ কিছু নেই অথচ মহিষাদল আছে, আর দেখাতেই ছল ছল—আরে অক্ষরে-অক্ষরেই মিলে যাচ্ছে যে!

ক্যাবলা মিটমিট করে হেসে বললে– কী বুঝছিস?

—কিছুই না।

—তোর মাথা তো মাথা নয়, যেন একটা খাজা কাঁটাল। চশমাপরা নাকটাকে কুঁচকে, মুখখানাকে স্রেফ আমড়ার চাটনির মতো করে ক্যাবলা বললে, এটাও বুঝতে পারছিস না? এবার রহস্য প্রায় ভেদ হয়ে এল।

—কিন্তু ভেদ করবার পরে আমাদের অবস্থা কী হবে? আমাদের সুদ্ধ ভেদ করে দেবে না তো?

—দেখাই যাক। আগেই ঘাবড়াচ্ছিস কেন?

বলতে বলতে রিকশা থেমে গেল। সামনেই একটা হলদে দোতলা বাড়ি। তার নাম লেখা আছে বড় বড় হরফে : চন্দ্র নিকেতন।

রিকশা থেকে নেমে বিনে ডাকতে লাগল : আসুন দাদাবাবুরা, নেমে আসুন। এই বাড়ি।

ক্যাবলা আবার আমার কানে কানে বললে, এইবারে শেষ খেলবুঝেছিস? বাড়ির নাম চন্দ্র নিকেতন—অর্থাৎ কিনা—চাঁদে চড়-চাঁদে চড়। এইটেই তা হলে শ্রীকম্বলের সেই চাঁদ।

-কম্বলের চাঁদ! এইখানে?—আমি কিছুই বুঝতে পারলুম না।

ক্যাবলা বললে, বোকার মতো বসে আছিস কী? টেনিদা, হাবলা আর বিবেন যে ভেতরে চলে গেল। নেবে আয়—নেবে আয়–

ওদিক থেকে বিন্দেবনের হাঁক শোনা গেল : অ রিকশোওলারা—একটু পেঁইড়ে যাও, আমি এক্ষুনি তোমাদের পয়সা এনে দিচ্চি।

বিন্দেবন একটা মস্ত ঘরের ভেতর আমাদের নিয়ে বসাল।

ঘরের আধখানা জুড়ে ফরাস পাতা—তার ওপর শাদা চাদর বিছানো। বাকি আধখানায় মস্ত একটা দাঁড়িপাল্লা আর কতগুলো কিসের বস্তা যেন সাজানো রয়েছে। একটা ছোট্ট কুলুঙ্গিতে সিঁদুর-মাখানো গণেশের মূর্তি। দেওয়ালে একটা রঙিন ক্যালেন্ডার রয়েছে তাতে লেখা আছে বিখ্যাত মশলার দোকান শ্রীরামধন খাঁড়া, খড়গপুর বাজার, মেদিনীপুর। দেওয়ালে আবার দুতিন জায়গায় সিঁদুর দিয়ে লেখা রয়েছে জয় মা। মা যে কে ঠিক বুঝতে পারলুম না, বোধ হল নেংটীশ্বরীই হবেন। কিন্তু এসব জয় মা আর খাঁড়া টাঁড়া আমার একদম ভালো লাগল না, বুকের ভেতরটায় কী রকম ছাঁৎ করে উঠল, একেবারে পাঁঠাবলির কথা মনে পড়ে গেল।

আমরা চারজনে বসে আছি। ক্যাবলা গম্ভীর, টেনিদা, মিটমিট করে তাকাচ্ছে। এদিক-ওদিক, হাবুল এক মনে পা চুলকোচ্ছে—বোধহয় ট্রেনের ছারপোকাগুলো ঢুকে আছে। ওর জামাকাপড়ের তলায়। আমি ভাবছি, ওই খাঁড়া-টাড়া দিয়ে ওরা জয় মা বলে কম্বলকে বলি দিয়েছে কি না, এমন সময়–

দুজন লোক ঘরে এল। বেশ ভালো মানুষের মতোই তাদের চেহারা, তার চাইতেও ভালো তাদের হাতের প্লেট নামিয়ে দিয়ে বলা, একটু জলযোগ করুন বাবুরা, কত্তা এখনি আসছেন।

মেচেদার সিঙাড়া এর মধ্যেই যখন তলিয়ে গিয়েছিল, আমরা খুশি হয়েই কাজে লেগে গেলুম। প্লেটে তিন-চার রকমের মিষ্টি, কাজু বাদাম, কলা। মোতিচুরের লাড়ুতে কামড় দিয়েই আবার আমার মনটা ছটফটিয়ে উঠল। বলির পাঁঠাকেও তো বেশ করে কাঁটাল পাতা-টাতা খাওয়ায়। এরাও কি–

আমি বললুম, ক্যাবলা—এরা—

ক্যাবলা কেবল ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বললে, চুপ।

এর মধ্যেই দেখলুম টেনিদা হাবুলের প্লেটের থেকে কী একটা খপ করে তুলে নিলে। আর তুলেই গালে পুরল। হাবুল চ্যাঁ-চ্যাঁ করে কী যেন বলতেও চাইল, সঙ্গে সঙ্গেই তার মাথায় বাঁ-হাত দিয়ে ছোট্ট একটা গাঁট্টা মারল টেনিদা।

-যা-যা, ছেলেমানুষের বেশি খেতে নেই। অসুখ করে।

একটা শান্তিভঙ্গ ঘটতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই ঘরে ঢুকল বিবেন। আর পেছনে যিনি ঢুকলেন–.

বলবার দরকার ছিল না, তিনি কে। তাঁর নাকের দিকে তাকিয়ে আমরা বুঝতে পারলুম। আমাদের টেনিদার নাক চেয়ে দেখবার মতো আমরা সেটাকে মৈনাক বলে থাকি, কিন্তু এর নাকের সামনে কে দাঁড়ায়। প্রায় আধ-হাতটা লম্বা হবে মনে হল আমার—এনাক দিয়ে দস্তুরমতো লোককে গুঁতিয়ে দেওয়া চলে।

আধবুড়ো লোকটা চকচকে টাক আর কাঁচা পাকা গোঁফ নিয়ে এক গাল হাসল। সে-হাসিতে নাকটা পর্যন্ত জ্বলজ্বল করে উঠল তার। বললে, দাদাবাবুরা দয়া করে আমার বাড়িতে এয়েচেন, বড় আনন্দ হল আমার। অধমের নাম হচ্ছে চন্দ্রকান্ত চাঁই—এঁরা আদর করে আমায় নাকেশ্বর বলেন।

টেনিদা আবার কী-একটা হাবুলের প্লেট থেকে তুলে নিয়ে গালে চালান করল। তারপর ভরাট-মুখে বললে, আজ্ঞে হ্যাঁ, আমাদেরও ভারি আনন্দ হল।

চন্দ্রকান্ত ফরাসে বসে পড়ে বললে, অল্প বয়সেই আপনারা ব্যবসা বাণিজ্যে মন। দিয়েছেন। এ ভারি সুখের কথা। দিনকাল তো দেখতেই পাচ্ছেন। চাকরিবাকরিতে আর কিছু নেই, একেবারে সব ফক্কা! এখন এই সব করেই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আমাদের বিটকেলানন্দ গুরুজী সেই জন্যেই আমাদের মন্তর দিয়েছেন : ধনধাত্রী মা নেংটীশ্বরী, তোমারই ল্যাজ পাকড়ে ধরি।—আহা।

শুনেই বিবেনের চোখ বুজে এল। সেও বললে, আহা-হ্‌।

চন্দ্রকান্ত বলে চলল, মা নেংটীশ্বরীর অপার দয়া যে আপনারা এই বয়েসেই মার ল্যাজে আশ্রয় পেলেন। জয় মা।

বিন্দেবনও সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠল : জয় মা। তাই দেখে আমরা চারজনও বললুম, জয় মা!

আমরা তিনজন ভালোই খেয়ে নিয়েছিলুম এর ভেতর, কেবল হাবুল সেন হাঁড়ির মত মুখ করে বসে ছিল।

টেনিদা খেয়ে-দেয়ে খুশি হয়ে বললে, আপনাদের এখানে তো বেশ ভালোই মিঠাই পাওয়া যায় দেখছি। মানে, কলকাতায় আমরা তো বিশেষ পাই-টাই না—মানে ছানা-টানা বন্ধ–

চন্দ্রকান্ত বললে, বিলক্ষণ। আমাদের এখানকার মিষ্টি তো নামকরা। আরও কিছু আনাব?

টেনিদা ভদ্রতা করে বললে, নামানে, ইয়ে—এই হাবুল একটা চমচম খেতে চাইছিল

—নিশ্চয়-নিশ্চয়, চন্দ্রকান্ত ব্যতিব্যস্ত হয়ে ডাকল, ওরে বিধু, আরও কটা চমচম নিয়ে আয়। আরও কিছু এনো।

চন্দরদা, এত আদর করে খাওয়াচ্ছ কাকে?বাজখাঁই গলায় সাড়া দিয়ে আর একটি লোক ঘরে ঢুকল। হাতকাটা গেঞ্জির নীচে তার চুয়াল্লিশ ইঞ্চি বুকের ছাতি, ড়ুমো ড়ুমো হাতের মাল্ল, ছাঁটা ছাঁটা ছোট চুল, করমচার মতো টকটকে লাল তার চোখের দৃষ্টি।

চন্দ্রকান্ত বললে, এঁরা কলকাতা থেকে এয়েচেন—ছড়া বলেচেন—আমাদের হেড আপিসে গিয়েছেন

সেই প্রকাণ্ড জোয়ান লোকটা হঠাৎ ঘর ফাটিয়ে একটা হুঙ্কার করল। বললে, চন্দরদা, সর্বনাশ হয়েছে। এরা শত্রু।

আমরা যত চমকালুম, তার চাইতেও বেশি চমকাল চন্দ্রকান্ত আর বিবেন!–শত্রু।

আলবাত।—দাঁতে দাঁতে কিশ কিশ করতে করতে একটা রাক্ষসের মতো আমাদের। দিকে এগিয়ে আসতে লাগল জোয়ানটা : আমি খগেন মাশ্চটক—আমার সঙ্গে চালাকি। এরা সেই পটলডাঙার চারজন—চাটুজ্যেদের রোয়াকে বসে থাকে, আমার সেই বিচ্ছু ছাত্র কম্বলকে এদের পিছে পিছেই আমি ঘুরঘুর করতে দেখেছি। করমচার মতো চোখ দুটোকে বনবন করে ঘোরাতে ঘোরাতে খগেন মাশ্চটক বললে, এত বড় এদের সাহস যে আজ একেবারে বাঘের গর্তে এসে মাথা গলিয়েছে। আজ যদি আমি এদের পিটিয়ে মোগলাই পরোটা না করে দিই, তা হলে আমি মিথ্যেই স্বামী বিটকেলানন্দের চ্যালা?

<

Narayan Gangopadhyay ।। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়