দোতলার ফ্ল্যাটটা লীনারা যাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে থাকছে, তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা তিন। স্বামী স্ত্রী এবং তিন বছর বয়েসি একটি মেয়ে। একজন কাজের ছেলে আছে, সে বেশির ভাগ সময়ই ঘুমিয়ে কাটায়। পরিবারের কর্তা হাশমত আলি বেশ বয়স্ক লোক। চল্লিশের মতো বয়স। আগে একবার বিয়ে করেছিলেন। ঐ পক্ষের দু’টি মেয়ে আছে। মেয়েরা তাদের নানার বাড়িতে থাকে। নানার বাড়ি টঙ্গীতে। মাঝে মাঝে আসে, সারাদিন থেকে সন্ধ্যাবেলা চলে যায়। হাশমত সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী বেনু। এই মেয়েটার বয়স খুবই কম। পনেরো-ষোল হওয়া বিচিত্র নয়। গ্রামের মেয়ে। তবে শহরে চাল-চলন দ্রুত আয়ত্ত করে ফেলেছে। মেয়েটি সুন্দরী, তাবে বাচ্চা হবার পর গাল-টাল ভেঙে গেছে। বাচ্চাটা মায়ের কোল ছাড়া থাকতেই পারে না। বেনুকে সারাদিন বাচ্চা কোলে নিয়ে ঘুরতে হয়। লীনাকে সে খুবই পছন্দ করে। যতক্ষণ লীনা বাসায় থাকে বেনু তার পেছনে থাকে। ব্যাপারটা লীনার পছন্দ না হলেও কিছু বলে না। এই সাদাসিধা অল্প বয়েসী মেয়েটাকে লীনার ভালই লাগে। সেই তুলনায় হাশমত আলিকে তার একেবারেই ভাল লাগে না। লোকটার সব কিছু কেমন যেন গ্ৰাম্য। রেলের বাধা মাইনের চাকরিতেও তার রোজগার সন্দেহজনকভাবে ভাল। তবে তার ব্যবহার ভাল। গত মাসে সে একটা ফ্রিজ কিনেছে এবং লীনাকে বলেছে, কিছু এরিয়ার টাকা পেলাম, তারপর প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোন নিলাম, তারপর কিনে ফেললাম। একটা সখ ছিল ভাবী।

লীনা বলল, ভাল করেছেন।

এখন আরাম করে ঠাণ্ডা পানি খেতে পারবেন। হা হা হা। বেনু, ভাবীকে একটা পেপসি দাও।

এখন থাক।

না ভাবী খান। খেতে হবে। এটা ভাবী আপনি নিজের ফ্রিজ ভাববেন। রিকোয়েস্ট। বেনু শোন, নিচের একটা তাক ভাবীর। খবরদার কিছু রাখবে না। যদি দেখি তোমার কিছু আছে তাহলে অসুবিধা আছে। জিনিসটা কেমন কিনলাম ভাবী?

খুব ভাল। খুব সুন্দর।

অনেকগুলি টাকা চলে গেল, তবু সখের একটা জিনিস, তাই না ভাবী?

তা-তো বটেই।

হাশমত আলির মধ্যেও এক ধরনের সরলতা আছে। এটা লীনার ভাল লাগে।

এরা সুখেই আছে। নিজেদের নিয়ে আনন্দে আছে। পৃথিবী সমাজ-টমাজ এইসব নিয়ে বিন্দুমাত্রক মাথাব্যথা নেই। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিসে এরা গভীর আনন্দ খুঁজে পায়। প্রায়ই দেখা যায় অনেক রাত হাশমত আলি বড়-সড় একটা মাছ কিনে এনেছে। বেনু সেই মাছ কাটছে। হাশমত আলি উবু হয়ে তার সামনে বসে আছে। মাছটা কি রকম, সেই নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।

পুকুরের মাছ, কি বল বেনু? রঙটা কেমন কালো দেখ না। শ্যাওলার নিচে থেকে কালো হয়ে গেছে। নদীর মাছ হলে লাল হত। তোলটা ঠিক আছে কি না দেখ তো।

ঠিক আছে।

তেল দিয়ে বড়া বানাতে পারবে। মাছের তেলের বড়া–তার স্বাদই অন্য রকম। দুটো বড় করে পিস কাট। ভেজে লীনা ভাবীদের দিয়ে এস।

ওরা বোধ হয় শুয়ে পড়েছে। সকালে দেব।

আরো না এখনই দাও। টাটকা জিনিসের একটা আলাদা ব্যাপার আছে।

গভীর রাতে প্লেটে ভাজা মাছ নিয়ে হাশমত আলি নিজেই দরজা ধাক্কায় ভাবী ঘুমিয়ে পড়লেন না কী? ও ভাবী, ভাবী।

পরিষ্কার বোঝা যায়। এই পরিবারটি লীনাদের বেশ পছন্দ করে। কেন করে সেও এক রহস্য। এতদিন একসঙ্গে আছে, এর মধ্যে এক’দিনও নাটক দেখার ব্যাপার কোনো আগ্রহ দেখায়নি। হাশমত আলি অবশ্যি প্রায়ই বলে, এক’দিন যাব। বুঝলেন ভাবী, আপনাদের কাণ্ড কারখানা দেখে আসব। মেয়েটাকে নিয়ে হয়েছে মুশকিল। সারাক্ষণ ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে। বাচ্চা নিয়ে কী যাওয়া যায় ভাবী? বেনুকে এক’দিন নিয়ে দেখাব। গ্রামের মেয়ে, কিছু তো এই জীবনে দেখেনি।

সিঁড়ির বাতি বোধ হয় আবার চুরি হয়েছে। খুব সাবধানে পা টিপে টিপে উঠতে হচ্ছে। একটা সিঁড়ি আছে ভাঙা। বাড়িওয়ালাকে কতবার বলা হয়েছে। এখনো কিছু করছে না।

দরজা খুলে দিল বেনু। অবাক হয়ে বলল, এত রাতে একা একা আসলেন ভাবী

না একা না। তোমার ভাই নামিয়ে দিয়ে গেছে।

ভাই আবার গেলেন কই?

তার এক ভাগ্নির অপারেশন।

ও আল্লা! কী হইছে?

কী হয়েছে লীনা নিজেও ভালমতো জানে না। জানা উচিত ছিল। কথাবার্তা শুনে হাশমত বেরিয়ে এল। হাসিমুখে বলল, একটা ভিসিপি ভাড়া করে নিয়ে এসেছি ভাবী।

তাই নাকি?

তিনশ টাকা দিয়ে এক সপ্তাহের জন্যে ভাড়া করলাম। মনের সখ মিটিয়ে ছবি দেখব।

ভালই তো।

খাওয়া-দাওয়া করে আসেন। একসঙ্গে দেখি–এগারোটা ছবি এনেছি। সব ভাল ভাল ছবি। আসিফ ভাই কই?

ওর এক ভাগ্নিকে দেখতে গেছে। ভোরবেলা আসবে।

আমি ভাবী দুদিনের দু’টি নিয়ে নিয়েছি। ক্যাজুয়েল লিভ। দিনরাত ছবি দেখব।

ভাল। দেখুন।

আপনি ভাত খেয়ে আসুন। একা একা ছবি দেখে সুখ নেই ভাবী।

প্লেটে ভাত নিয়ে লীনা শোবার ঘরে চলে এসেছে। লীনার পেছনে পেছনে ঢুকেছে বেনু। ভাত খাওয়া হলে জোর করে তাকে ছবি দেখাতে নিয়ে যাবে। লীনার চোেখ ঘুমে জড়িয়ে যাচ্ছে। তবু মনে হচ্ছে তাকে ছবি দেখতেই হবে।

ভাবী?

কী বেনু।

আপনি এত কাজ। সারাদিনে ক্যামনে করেন। তাই ভাবি। দিনে স্কুল। রাতে নাটক থিয়েটার।

তুমিও তো অনেক কাজ কর। ঘরের সব কাজ সামলাও, বাচ্চা দেখ। বাচ্চা কী ঘুমিয়ে পড়েছে?

জি। অনেক কষ্টে ঘুম পাড়াইছি। এরে একটা তাবিজ-টাবিজ দিতে হইব ভাবী।

তুমি কোলে নিয়ে নিয়ে মেয়েটাকে নষ্ট করেছ বেনু।

তাও ঠিক।

বেনু তৃপ্তির হাসি হাসল। যেন সে মেয়েকে নষ্ট করায় খুব আনন্দিত। সব মায়েরা যা পারে না সে তা পেরেছে।

ভাবী।

বল।

বেনু ইতস্তত করে বলল, একটা শরমের কথা ভাবী। খুঁকির আব্বা কেমুন একটা ছবি আনছে। অসভ্য কাণ্ডকারখানা। দেখলে শইল বিম-ঝিম করে।

না দেখলেই হয়।

আমি খুকির আব্বারে বলছি–এই ছবি দেখলে পাপ হইব। সে খালি হাসে। এইসব ক্যামনে বানায় আফা?

জানি না বেনু।

লীনাকে ছবি দেখার জন্যে বসতে হল। দিদার নামের কী একটা পুরনো সিনেমা হচ্ছে। হিন্দী প্রতিটি বাক্য হাশমত আলি অনুবাদ করে দিচ্ছে। খুব বিরক্তিকর ব্যাপার। প্রচণ্ড ঘুমে শরীর আচ্ছান্ন হয়ে আসছে।

ছবি মাঝপথে রেখে লীনা উঠে এল। আর আশ্চৰ্য, বিছানায় শোয়ামাত্র ঘুম উধাও। লীনা অনেকক্ষণ এপাশি-ওপাশ করল। মাথায় পানি দিয়ে এল. লাভ হল না। এই রাতটাও সম্ভবত অঘুমে কাটাতে হবে। এ রকম হচ্ছে কেন? তার মনে কি কোনো গোপন দুঃখ আছে? কোনো হতাশা আছে? থাকার তো কথা নয়। তাহলে এ রকম হচ্ছে কেন?

বাবার অভিশাপ লাগল নাকি?

লীনার বাবা ডিস্ট্রিকট জাজ ওয়াদুদুর রহমান সত্যি সত্যি মেয়েকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। জাজ শ্রেণীর মানুষরা কখনো খুব বেশি রাগতে পারেন না। কিন্তু তিনি রেগে গিয়েছিলেন। রাগে অন্ধ হয়ে বলেছিলেন, কি আছে ঐ ছেলের? অভিনয় করে। অভিনয়টা আবার কি? অভিনয় হচ্ছে অনুকরণ। একটা বানরও অনুকরণ করে। তাই বলে একটা বানরকে বিয়ে করা যায়?

লীনা কাঁদতে কাঁদতে বলল, এসব তুমি কী বলছি বাবা?

ওয়াদুদুর রহমান সাহেব রাগে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, যা বলেছি ঠিকই বলেছি। ঐ ছেলের আর আছে কী? ঘাড়ে-গর্দানে এক ছেলে। থার্ড ক্লাস পেয়েছে বি.এ.তে। ব্যাংকে চাকরি করে। ঐ চাকরির বেতন কত তুই জানিস? এগারোশ টাকা। এগারোশ টাকা দিয়ে ও নিজে খাবে, না তোকে খায়োবে? নাকি না খেয়ে থাকবে। আর অভিনয় করে দেখাবে যে খুব খাওয়া হল?

ছিঃ, বাবা, এই ভাবে কথা বল না।

আমার যা বলার। আমি বললাম। এখন তোর যা ইচ্ছা করবি। তোর স্বাধীন ইচ্ছায় আমি বাধা দেব না। তবে এই বাড়িতে বিয়ে হবে না। বিয়ের খরচ আমি দেব। সেই টাকা আলাদা করা।

তোমার টাকা আমার লাগবে না বাবা।

নাটকের লোক বিয়ে করার আগেই নাটকের সংলাপ শুরু করেছিস। জীবন নাটক না, এটা হাড়ে-হাড়ে টের পাবি। জীবন এক সময় অসহ্য বোধ হবে।

অভিশাপ দিচ্ছ?

সত্যি কথা বলছি। মাঝে মাঝে সত্যি কথা অভিশাপের মত মনে হয়।

লীনার বিয়ে হল বড় খালার বাড়িতে। সেই বিয়েতে ওয়াদুদুর রহমান সাহেব এলেন না। তবে লীনার ধারণা তার বাবার অভিশাপ লাগেনি। তারা সুখী। প্রচণ্ড সুখী। টাকা-পয়সার কষ্ট তো আছেই। এই কষ্ট তেমন কোনো কষ্ট নয়। সহনীয় কষ্ট। অসহনীয় কষ্ট হচ্ছে ভালবাসার অভাবের কষ্ট। সে কষ্ট লীনাদের হয়নি। লীনা এখনো তার স্বামীর প্রতি তীব্র ভালবাসা বোধ করে। ভালবাসা কখনো একপক্ষীয় হয় না। আসিফও নিশ্চয়ই তার প্রতি সমপরিমাণ ভালবাসা লালন করে। কিন্তু সত্যি কী করে?

লীনা উঠে পড়ল। আবার মাথায় কিছু পানি দিল। পাশের ঘরে ভিসিপি চলা ছ। যুগল সংগীত। সুর বেশ সুন্দর। কথাগুলির মানে কী কে জানে ও মেরা পানাছেরি।

পানাছেরি শব্দের মানে কি? হাশমত সাহেবকে কাল একবার জিজ্ঞেস করতে হবে। মনে থাকলে হয়। আজকাল কিছু মনে থাকে না।

বেনুর বাচ্চা জেগে উঠেছে। কাঁদছে ট্যাঁ ট্যাঁ করে। বেনু তাকে নিয়ে বারান্দায় হাঁটছে আর বলছে, ও খুকি। কান্দে না। ও খুকি কান্দে না।

কি বিশ্ৰী নাম–খুকি। এর পর যদি ছেলে হয় হয়ত নাম রাখবে খোকা।

লীনা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলল। তাদের প্রথম মেয়ের নাম সে রেখেছিল লোপামুদ্রা, পরের মেয়েটি নাম ত্ৰিপা। ওরা কোথায় গেল? মৃত্যুর পর শিশুরা কোথায় যায়? সেই দেশে একা একা ওরা কী করে? বাবা মার জন্যে অপেক্ষা করে কি? এক’দিন লীনা যখন যাবে ওরা কি তখন সেই ছোটটিই থাকবে না বড় হয়ে যাবে? যদি ছোট থাকে তাহলে কি চিনতে পারবে মাকে? মা মা বলে ছুটে আসবে তার দিকে? যদি ছুটে আসে তাহলে কাকে সে প্রথমে কোলে নেবে? লোপাকে না ত্রপাকে?

লীনার বুক জ্বালা করছে। সে দরজা খুলে বারান্দায এল। বেনু বলল ঘুমান নাই আফা?

না।

দেখেন না কী বিরক্ত করে। ইচ্ছে করতাছে একটা আছাড় দেই।

ছিঃ এসব কী কথা। দেখি আমার কাছে দাও তো।

বেনু তার মেয়েকে লীনার কাছে দিল। মেয়েটির কান্না থামল না। লীনা বলল, গরম লাগছে বোধ হয়, জামাটা খুলে দেব?

দেন।

মেয়ের তো খুব ঘামাচি হয়েছে। আমার ঘর থেকে পাউডার নিয়ে এস তো বেনু. পাউডার দিয়ে দিই।

গায়ে পাউডার দেয়াতে হয়ত একটু আরাম হয়েছে। খুকি। ঘুমিয়ে পড়েছে। হাত-পা ছড়িযে ঘুম। মেয়েটা দেখতে সুন্দর হয়নি। বাবার মত ভোতা ধরনের চেহারা। দাঁতগুলিও সম্ভবত উঁচু তবু কী সুন্দরই না লাগছে। মানব শিশুর মত সুন্দর এ পৃথিবীতে আর কিছুই বোধ হয় নেই।

লীনার খুব ইচ্ছে করছে বলে–বেনু, তোমার মেয়ে আজ থাকুক আমার এখানে। তা সে বলতে পারল না। সহজ গলায় খুব সাধারণভাবে যা বলল তা হচ্ছে, নিয়ে যাও বেনু ঘুমিযে পড়েছে।

বেনু তার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেল। লীনা ঠিক আগের ভঙ্গিতে খাটের উপর বসে আছে। পানি খেতে পারলে ভাল হত। বুক শুকিয়ে কাঠ, কিন্তু উঠতে ইচ্ছা করছে না।

পাশের ঘরে এখনো ভিসিপি চলছে। এরা কি সত্যি সত্যি সারা রাত ছবি দেখবে নাকি। হাশমত আর বেনু দুজনেই খুব হাসছে। এ রকম হাসাহাসির মধ্যে বাচ্চা ঘুমুবে কি করে? এই সহজ জিনিসটা বোঝে না কেন?

লীনা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলল। তার লোপার কথা মনে পড়ছে। কেমন থপথপ করে হাটত। চলন্ত কোনো পোকা-টোকা দেখলেই খপ করে ধরে মুখে পুরে ফেলত। সেই মুখ তখন কিছুতেই হাঁ করান যেত না। যেন পৃথিবীর সবচে লোভনীয় খাবারটি তার মুখে। এক বছর বযসে কত কথা শিখে গেল। কিছু কিছু কথার আবার কোনো অর্থই নেই। যেমন ইরি কিরি মিরি মিরি।

লীনা বলত, এসব কোন পৃথিবীর ভাষা মা?

লোপা তাতে আরো মজা পেত। হাত নেড়ে নেড়ে আরো অনেক উৎসাহ নিয়ে বলত, ইরি, কিরি, মিরি মিরি।

লীনার চোখ জ্বালা করছে। সে বিছানায় উঠে বসল। কী করা যায়? কী করলে এই মেয়েটার কথা ভুলে থাকা যায়? লোপা-ত্রপা এদের কথা সে কিছুতেই মনে করতে চায় না। কিছুতেই না।

পাশের ঘরে খুকি। কাঁদছে। বেনুর বিরক্ত গলা শোনা যাচ্ছে। লীনা কী উঠে গিয়ে ওদের দরজায় ধাক্কা দিয়ে বলবে, বেনু, ওকে আমার কাছে দিয়ে যাও।

নাকি চুপচাপ বিছানায় বসে থাকবে।

<

Humayun Ahmed ।। হুমায়ূন আহমেদ