ভাদ্রের শেষের সন্ধ্যা, আশ্বিনের আসন্ন বন্দরে।
দেখি, ভাবি নির্নিমেষ।
হে পৃথিবী!

 

হে স্বদেশ ! তােমাদের কিছুতে যায় না ভােলা।

রূপেগুণে ভাের প্রাণ, মানবিক চোখ কান স্পন্দিত হৃদয়
ঢেউ তোলে অভিরাম, নন্দিত চৈতন্যে দোলে,
অবিশ্রাম ভাঙে পাড়, অভ্যাসে অপরাজিত,
যেন জীবনের সৌন্দর্য অমর। এবং মানুষ অলৌকিক
সৌন্দর্য যাদের অপেক্ষায় উদ্গ্রীব অপ্লুত
আকস্মিক অশ্রুস্নানে হাস্য স্মিত,

 

যেন সুভদ্রার তরঙ্গিত শরীরের নারীত্বের বিভা,
মুখের নিটোল, কটির ভাঙন, বক্ষের পাহাড়,
বাহুর নক্ষত্রবৃত্ত, চিরস্থায়ী পরিবর্তনের খোদাই আকাশে বদ্ধনীবি।
অথচ আমরা চিরপরিবর্তনীয়-এখন এখানে দ্রুত,
মুহর্তেই ওখানে নিঃঝুম।

 

ভাদ্রের আলোর স্নান, শরত আকাশে শরীরে উজাড়।
মেঘ, ঢেউ, বালিয়াড়ি, উপলমুখর সূর্যের প্রতিভা,
আলাের তরঙ্গে দোলা।

 

তারপরে ? ঘর, অনিদ্রা বা অন্ধকার নীলাকাশে আসমুদ্র ঘুম।।

Bisnu de ।। বিষ্ণু দে