জল তো ছিলই সুপ্রচুর, টলটলে, ঝলমলে
নদীটির দু’কুল-ছাপানো। তরঙ্গের
খেলা ছিল, ছিলাম সাঁতারপ্রিয় প্রায়শই, এখনও রয়েছি
কখনও কখনও ডুব দিয়েছি গভীরে
দুর্লভের খোঁজে, মৎস আমি ছোট বড় মাছের বাহার ছিল
চারপাশে আমি সঙ্গী ছিলাম ওদের।
মাঝে মাঝে ডুব-সাঁতার করেছে
ধন্য পূর্বসূরীদের মতো। আরো
কেউ কেউ সফলতা পেয়েছে এবং মৎসদের
সমাজে উল্লাসধ্বনি তরঙ্গে
উঠেছে তুমুল বেজে। হায়, কেউ নেই আজ,
কেউ কেউ স্থবিরতা নেয় মেনে, মজে আলস্যের মিহি স্তবে!

নিয়ত আমার ডুবসাঁতারের কালে দেখি কত
নিষ্প্রাণ, বেরঙ মাছ ভাসে আশেপাশে,
এক ঝাঁক নির্বুদ্ধিতা-কবলিত মাছ অতিশয়
ফরফরে; আকারে যদিও ক্ষুদে, হামেশা ভড়ং
বিশালের, ফাঁপা ওরা। মরা, পচা, ভাসমান মাছের দুর্গন্ধে
এবং ক্ষুদ্রের ধামালিতে টেকা দায়। ফলত গভীরে
ডুব দিয়ে সত্য, সুন্দরের, কল্যাণের
সাধনাই শ্রেয় ভাবি; ওপরে বাজুক ডঙ্কা ক্ষুদের, ফাঁপার।

Shamsur Rahman।। শামসুর রাহমান