বৃষ্টি এলে ষোলো বছর বয়সটা ভিজতে ভিজতে

ফিরে আসে আবার।তুমি 

পায়ের তলায় বন্যার জল, রুপোর মল পরা ঢেউ

মখমল মাটি, শামুক, কাটা, পায়ের রক্তের দাগ,

সব ফিরে আসে আবার।

কার যেন ভিজে চুলের ডাকাডাকি, আকাশময়

যেন একটাই কাজর-পরা চোখ।

চাঁপা ফুলের গন্ধ পুড়তে থাকে দুপুরবেলার রোদে

আমি তার হাহাকারের হাত ধরে ঘুরে বেড়াই।

সেই হাহাকার কতবার তোমার ভেজানো ঘরের দরজার

শিকল ধরে দিয়েছে টান

আঁচলটুকু ধরতে দিয়ে বাকি সব লুকিয়ে রাখতে

লজ্জার কৌটোয়,

চোখের আয়নায় একটু মুখ দেখতে দিয়ে বাকি সব।

সেন্টমাখানো রুমাল কোমরে গুঁজে

স্বপ্নে বেড়াতে আসতে রোজ ।

স্বপ্নে আঁচলহীন ছিলে তুমি।

স্বপ্নে লজ্জাহীন ছিল গোপন চিঠির খসড়াগুলো।

দিনের আলোয় তাদের অশ্নীলতা

ছেঁড়া পাতা হয়ে উড়ে যেতো বাজবরণের ঝোপে।

 

বৃষ্টি এলে ষোলো বছর বয়সটা ফিরে আসে আবার

আবার আকাশময় এক কাজলপরা চোখ।

Purnendu Patri ।। পূর্ণেন্দু পত্রী