রাটুনাতেই রয়েছে ওমর, মুসা আর ডজ। কিশোরের মতো মারাত্মক বিপদে নেই ওরা, তবে অসুবিধেয় পড়েছে। প্রচন্ড দুশ্চিন্তা হচ্ছে কিশোরদের জন্য। উৎকণ্ঠাও খুব খারাপ জিনিস। শরীরের ওপর ভীষণ চাপ দেয়।
ওমর আশা করেছিলো লেগুনে থাকলে ঝড়ে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না বিমানটার। ভেবেছে, কিছু পাতাটাতা এসে পড়তে পারে, তাতে আর কি এমন হবে? কল্পনাই করতে পারেনি সে কতটা ক্ষতি হবে। প্রথমেই ধরা যাক, বড় একটা নারকেলের ডালের কথা। তুমুল গতিতে উড়ে এসে একটা ডানার ওপর আছড়ে পড়েছে ওটা। যদিও খসে যায়নি ডানাটা, তুবড়ে গেছে। ওড়া অসম্ভব, যতক্ষণ না ওটা মেরামত হয়। আর শুধু পাতাই যে কি করতে পারে সেটা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। ঝড়ের মধ্যে উড়ে এসে বৃষ্টির মত অঝোরে ঝড়ে পড়েছে যেন। হারিকেন শেষ হতে হতে পাতার নিচে পুরোপুরি ঢাকা পড়ে গেল বিমানটা।
সেই পাতা সরানোই এক মহা ঝামেলার ব্যাপার। সরিয়ে বেরোনোর পথ তো পরিষ্কার হলো, কিন্তু তীরে যাবে কি করে? পানির ওপরে পাতার স্তর এতটা পুরু নয় যে ওদের ভার রাখতে পারবে। হেঁটে যাওয়া যাবে না। আবার সাঁতরে যাওয়াও মুশকিল। একটা কাজই করা যায়। চারপাশ থেকে লতাপাতা জোগাড় করে ফেলে ফেলে একটা সাঁকোমত তৈরি করে তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া। পাতা ঠেলে সাঁতরে যাওয়ার চেয়ে সেটা কোন অংশেই সহজ মনে হলো না ওদের কাছে।
রাত হয়ে গেল। তীরে পৌঁছতে পারলো না ওরা। বিমানের মধ্যে বসে বসে একটা বিনিদ্র রাত কাটাতে হলো ওদের। কিশোরদের ভাবনা না থাকলে এতটা কষ্ট পেতে হতো না। শরীরের কষ্টের চেয়ে মানসিক কষ্ট অনেক বেশি। তবে শারীরিক কষ্টও কিছু কম হলো না। বিমানটা যেখানে নেমেছে তার কাছেই রয়েছে একটা খড়ি। তার ওপাশে জলাভূমি। সেখান থেকে এসে হাজির হলো মশার ঝাঁক। ছেকে ধরলো। কিছুই করার নেই ওগুলোর বিরুদ্ধে। মসকুইটো কয়েল কিংবা স্প্রে কোনটাই নেই বিমানে।
ভোরের আলো ফুটতে দেখে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো ওরা। মশার যন্ত্রণা অন্তত কমবে। সারা রাত ঘুমোতে পারেনি। ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ছে শরীর। সাঁকো তৈরি শেষ হয়নি তখনও। ক্লান্ত শরীর নিয়েই কাজে লাগলো ওরা। অনেক কষ্ট আর কায়দা কসরৎ করে ভাসমান সেই পাতার সাঁকো দিয়ে এসে নামলো তীরে। রওনা দিলো গায়ের দিকে। সেটাও কম দূরে নয়। পাঁচ ছয় মাইল তো হবেই। সাধারণ সময়ে ভালো রাস্তা পেলে ঘণ্টা দুয়েকের পথ। কিন্তু গায়ে জোর নেই। তার ওপর ঘন জঙ্গল। জীবনে অনেক জঙ্গল দেখেছে ওমর, এত ঘন দেখেনি। প্রতিটি ইঞ্চি পথ লতাপাতা কেটে তৈরি করে নিতে হচ্ছে। তার ওপরে রয়েছে ভয়ংকর গরম। দ্রুত শরীরকে অবসন্ন করে দেয়।
শত শত মশার কামড়ের দাগ একেকজনের শরীরে। দিনের বেলা এখন জঙ্গলে হামলা চালালো এক ধরনের মাছি, স্যান্ড ফাই। কামড়ে ভীষণ জ্বালা। রক্ত বেরিয়ে যায়। এতে বাধার পরেও এগোনো থেমে থাকলো না। তবে পানির কিনার থেকে পোয়াটাক মাইল পেরোনোর পরেই এমন আরেকটা বাধা পড়লো সামনে, দিশেহারা হয়ে গেল ওমর।
একটা নদীর মুখ। নদী না বলে সাংঘাতিক জলাভূমি বললেই ঠিক হয়। পাহাড়ের গোড়ায়। যদি খালি পানি থাকতো, তেমন অসুবিধে হত না। তবে পেরিয়ে গেলেই চলতো। একশ গজের বেশি চওড়া নয়। কিন্তু পানিতে জন্মে রয়েছে কচুরীপানা। বড় বড় ফুল ফুটে রয়েছে। অন্য সময় হলে বরং মুগ্ধই হতো ওমর, দেখে চোখ জুড়াতো। এখন সে অবস্থা নয়। ঘন হয়ে জন্মানো শুধু কচুরীপানা পেরোনোই এক অসম্ভব ব্যাপার। তার ওপর তার ভেতরে যদি থাকে এক ফুট লম্বা হাজার হাজার বিষাক্ত, শতপদী তাহলে তো কথাই নেই। না যাবে সাঁতরানো, না ওপর দিয়ে হেঁটে পেরোনো।
স্তব্ধ হয়ে কয়েক মিনিট বসে রইলো ওখানে ওরা। কি করা যায়? সরাসরি পার হওয়ার আশা ছাড়তেই হলো। জলার পাশ দিয়ে জঙ্গল কেটে ঘুরে এগোনে ছাড়া বিকল্প নেই। শেষে তা-ই করতে লাগলো। জানে না কতদূর গড়িয়ে রয়েছে জলাটা। তবে আশার কথা, কাছেই পাহাড় রয়েছে। উপত্যকার পরে যেখান থেকে ঢাল শুরু হবে, সেখানে আর নদী থাকতে পারবে না। এটা অবশ্য ডজের অনুমান। ঠিকই অনুমান করেছে সে। আস্তে আস্তে সরু হয়ে আসছে নদী। শেষে এতই সরু হয়ে গেল, খাল বলা চলে এখন। তার পরেও পার হওয়া গেল না, শতপদীর ভয়ে। এগোতে থাকলো ওরা। যতটুকু হয়েছে, তার চেয়ে বেশি আর সরু হচ্ছে না নদী। অবশেষে ভাগ্য কিছুটা সদয় হলো ওদের ওপর। একটা জায়গায় ঝড়ে কাত হয়ে পড়ে গেছে একটা রুটিফল গাছ, আর পড়েছে একেবারে খালের ওপর লম্বা হয়ে, এপার থেকে ওপারে যাবার সাঁকো তৈরি করে দিয়ে।
খাল পেরোলো ওরা। ততক্ষণে রাত হয়ে এসেছে। অন্ধকার নামতে দেরি নেই। সারাটা দিন কাটিয়ে জঙ্গলে ঘুরে মরে গাঁয়ের দিকে মাত্র একটা মাইল এগোতে পেরেছে।
সাঁকো পেরিয়ে এসে দেখলো, এখানকার জঙ্গলও একই রকম ঘন। রাতে এগোনো সম্ভব না। দিনের জন্যে অপেক্ষা করতেই হবে। কিন্তু বসে থাকতে চাইলো না ওমর। বললো রাতেই চলবে। ডজ রাজি হলো না। সে এখানকার জঙ্গল চেনে। বললো সেই চেষ্টা করাটাই স্রেফ পাগলামি। সামনে অনেক বাধা থাকতে পারে। আরও জলা থাকতে পারে। চোরাকাদা থাকতে পারে। আর যদি কিছু না-ও থাকে, সারারাত পথ হারিয়ে অযথা ঘুরে মরতে হতে পারে বনের ভেতর।
ক্ষুধায় তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে আধমরা হয়ে গেছে ওরা। গড়িয়ে পড়লো বনের ভেজা মটিতে। একধরনের অদ্ভুত ফাঙ্গাস জন্মে রয়েছে। অন্ধকারে জ্বলে। বাতাসে একধরনের সোঁদা গন্ধ। নিঃশ্বাস নিতে গেলে মনে হয় ফুসফুসে চাপ লাগছে। বিমানে থাকতে বন থেকে মশা গিয়ে হামলা চালিয়েছিলো, আর এখানে তো মশার রাজত্বেই এসে ঢুকেছে ওরা। কাজেই কামড়ানোর পরিমাণটা অনেক বেশি। ভয়াবহ আরেকটা রাত কাটাতে তৈরি হলো তিনজনে।।
এখন বুঝতে পারছি, বিষন্ন কণ্ঠে বললো ওমর। মুক্তো কেন এত দামী। দুহাতে একনাগাড়ে চাপড় মারছে শরীরের যেখানে সেখানে।
রাত বাড়তেই মশার অত্যাচারও এতই বেড়ে যেতে লাগলো যে আগুন জ্বালাতে হলো ওদেরকে। ধোঁয়ার ভেতরে গা ডুবিয়ে বসতে হলো। সেই ধোঁয়ার ঝাজে পানি এসে গেল চোখে, গলার ভেতরে জ্বালা ধরালো, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলো। মশার কামড়, না সেই ধোঁয়া কোনটা যে ভাল বোঝাই কঠিন হয়ে দাঁড়ালো।
এতেও এত কষ্ট হত না, ওমর বললো। হাসিমুখে সহ্য করে নিতাম, যদি জানতাম কিশোররা ভাল আছে।
জবাব দিলো না ডজ কিংবা মুসা। খারাপ সম্ভাবনাগুলোই কেবল আসছে মনে। সেগুলো আর প্রকাশ করতে চাইলো না।
স্থির হয়ে আছে যেন সময়, কাটতেই চাইছে না। মাঝে মাঝে জলার দিকে তাকাচ্ছে মুসা। শিউরে উঠছে। আলোজ্বলা ফাঙ্গাস ওখানেও আছে। নড়ছে চড়ছে থেকে থেকে। কারণটা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না তার। কোন প্রাণী ঘুরে বেড়াচ্ছে তার ওপর দিয়ে। বনের ভেতর থেকে আসছে বিচিত্র ডাক, চলাফেরার আওয়াজ। সেগুলো যে কিসের ডজও বলতে পারলো না। ধোঁয়ার ওপাশে উড়ছে বড় বড় মথ। ডানা মেলে দিয়ে উড়ছে, গিয়ে বসছে পাতার ওপর। নিঃশব্দে উড়ে এল একটা বিশাল বাদুড়। ড্রাকুলার গল্প পড়া আছে মুসার। ভূতের ভয়ে এমন এক চিৎকার দিলো, লাফিয়ে উঠলো ওমর আর ডজ। বাদুড়টাও চমকে গেল। কাছেই একটা গাছের ডালে গিয়ে ঝুলে রইলো।
এত অন্ধকারও আর কখনও দেখেনি মুসা। মনে হচ্ছে ভারি নিরেট কোন জিনিসের মত চেপে বসেছে ওদের ওপর। এত অত্যাচারের মাঝেও ঢুলতে শুরু করলো সে। দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করলো। পায়ে কিসের ছোঁয়া লাগতে টুটে গেল তন্দ্রা। আগুনের আলোয় আতঙ্কিত চোখে দেখলো লালচে-বাদামী একটা শতপদী এসে পায়ে উঠেছে। দশ ইঞ্চি লম্বা। জুতোর ওপরে অনেকখানি উঠে এসেছে প্যান্ট। পায়ের সেই খালি জায়গাটায় উঠেছে ঘিনঘিনে প্রাণীটা। চিৎকার দিয়ে উঠে থাবা মেরে ওটাকে ফেলে দিলো সে। পায়ের চামড়ায় দেখতে পেলো দুটো লাল বিন্দু। দেখতে দেখতে ফুলে উঠলো জায়গাটা। অকল্পনীয় ব্যথা। ডজ বললো, কয়েক দিন ধরে থাকবে ব্যথাটা।
একনাগাড়ে পাইপ টেনে চললো ডজ। সমস্ত সিগারেট শেষ করে ফেললো ওমর।
আল্লাহ, ভোর মনে হয় হচ্ছে, বিড়বিড় করলো মুসা। আর একটা রাত যদি এই জঙ্গলে কাটাতে হয়, সোজা পাগলা গারদে পাঠাতে হবে আমাকে। আগের বার এসে দক্ষিণ সাগরের এই দ্বীপগুলোকে মনে হয়েছিলো বেহেশত, এখন মনে হচ্ছে দোজখ।
উঠে দাঁড়ালো ওমর। শক্ত হয়ে গেছে শরীর, নড়তেই চায় না। ঝড়াঝুড়া দিয়ে হাত-পাগুলোকে সচল করলো। চল, রওনা হওয়া যাক।
ভোর তখনও হয়নি। শুধু অন্ধকার ফিকে হয়েছে কিছুটা। এরই মাঝে বন কেটে এগোতে শুরু করলো ওরা।
গত দুদিনে শরীরের ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। আর সহ্য করতে পারছে না শরীর। বন থেকে বেরোতে যদি বেশি দেরি হয়, তাহলে আর বেরোতেই পারবে না। তবে বন আর বেশিক্ষণ ঠেকিয়ে রাখলো না ওদের। পাতলা হয়ে এলো। বাইরের খোলা অঞ্চলে বেরিয়ে ধপ করে বসে পড়লো মুসা। চিত হয়ে শুয়ে পড়লো বালিতে। চারপাশে তাকাচ্ছে ডজ। পানি খুঁজছে। একপাশে জলা ছাড়া পানির আর কোন উৎস চোখে পড়লো না। সেই জলার পানি ছুঁয়েও দেখলো না। গিজগিজ করছে জীবাণুতে। খেলেই মরবে।
কয়েক মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নিলো ওরা। তারপর উঠল।
সান্ত্বনা দিয়ে ওমর বললো, আর বেশিক্ষণ লাগবে না। গায়ের কাছে চলে এসেছি। গিয়েই পানি খেতে পারব।
পা টেনে টেনে এগিয়ে চললো তিনজনে। প্রথম নারকেল গাছটার গোড়ায় এসেই দাঁড়িয়ে গেল। ঝড়ে অনেক নারকেল পড়ে রয়েছে। তর সইলো না আর। খেতে বসে গেল। প্রথমে খেল পানি, তার পরে শাস। লোভীর মত।
গায়ের কাছাকাছি গিয়ে থমকে দাঁড়ালো মুসা। তাকিয়ে রয়েছে সামনের দিকে। সে কি দেখেছে দেখার জন্যে অন্য দুজনও তাকালো। ঘন গাছের আড়ালে ছায়ার মত মিশে যেতে দেখলো একজন আদিবাসীকে। ঝিনুকদের গায়ের মানুষের চেয়ে অন্য রকম মনে হলো লোকটাকে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত শাদা চক কিংবা কাদা দিয়ে অদ্ভুত সব দাগ আঁকা।
আমার ভাল্লাগছে না, বিড়বিড় করে বললো ডজ। কিছু একটা ঘটছে এখানে।
কি ঘটছে? জানতে চাইলো ওমর।
লোকটাকে দেখলে? কেমন রঙ মেখেছে। যুদ্ধের সাজ। হাতের মুগুরটাও লড়াইয়ের সময় ব্যবহার করে। বহু দেখেছি ওরকম। আইনের বিরুদ্ধ কাজ এটা। তার পরেও লেগে যায় ওরা। ডজের কথার সমর্থনেই যেন দিড়িম দিড়িম করে ঢাক বেজে উঠলো। কয়েকবার বেজে থেমে গেল। দূর থেকে শোনা গেল আবার। থামলো। বিরতি দিয়ে আবার বেজে উঠলো এপাশে। শুনছো? মেসেজ পাঠাচ্ছে। সংবাদ আদান প্রদান করছে। আমরা এখান থেকে যাওয়ার পর নিশ্চয় সাংঘাতিক কিছু ঘটেছে, যার ফলে খেপে গেছে লোকগুলো। আমাদের ওপর এখন কোন কারণে খেপে না গেলেই হয়। তাহলে সোজা ধরে কেটেকুটে রান্না করে খেয়ে ফেলবে।
এখন তো আর নরখাদক নয় ওরা, বিশ্বাস করতে পারছে না মুসা।
তার দিকে তাকালো ডজ। জোর দিয়ে বলতে পার না। কেউ স্বীকার করে না বটে। আজকালকার ছেলেছোকরাগুলোকে অবশ্য বাদ দেয়া যায়। তবে বুড়োগুলোকে বিশ্বাস নেই। মানুষের মাংসের লোভ আছে ওদের। আগে খেয়েছে তো। কর্তৃপক্ষ কড়া নজর রেখেছে ওদেরকে ঠেকানোর জন্যে। তার পরেও বলা যায় না।
ওসব ভেবে লাভ নেই, ওমর বললো। তবে গলায় জোর নেই তার। চল, গিয়ে দেখি কি হয়েছে।
গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এল দুজন আদিবাসী। ওদের ঠিক সামনে। দুজনের গায়েই রঙ মাখা, হাতে মুগুর। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো অভিযাত্রীদের দিকে, তারপর ছুটে পালালো।
গায়ে এসে ঢুকলো অভিযাত্রীরা। কোন পুরুষমানুষ চোখে পড়লো না। শুধু দুতিনজন মহিলা। ঢাকের আওয়াজ হচ্ছে না আর।
সব চেয়ে বয়স্ক মহিলাটার কাছে এগিয়ে গেল ওমর। জিজ্ঞেস করলো, গাঁয়ের লোক কোথায়?
জবাব দিলো না মহিলা। আরেক দিকে মুখ ফেরালো।
ঝোপের দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বললো তখন ওমর, অশান্ত সাগর, আমি জানি আপনারা কাছাকাছিই আছেন। আমাদের ওপর চোখ রাখছেন। বেরিয়ে আসুন।
ঝোঁপ ফাঁক করে বেরিয়ে এল একটা ছিপছিপে শরীর। এক তরুণ। শাদা রঙ দিয়ে বন্ধনী আঁকা হয়েছে কপালে। সারা শরীরে দাগ।
বিশ্বাস করতে পারছে না যেন ওমর। ঝিনুক, তুমি!
হ্যাঁ, আমি, এগিয়ে এলো ঝিনুক।
যুদ্ধ ঘোষণা করেছ কার বিরুদ্ধে? ডজ জিজ্ঞেস করলো।
ওই শয়তানটার।
কোন শয়তানটার?
গুডু কারনেস।
<