এক ধাক্কায় কিশোরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিল মুসা। লাফ দিয়ে নিজেও সরে গেল একপাশে। বেরিয়ে থাকা বরফের টুকরোয় হোঁচট খেল কিশোর। সামলাতে পারল না। বরফে ঢাকা ঢাল বেয়ে গড়ানো শুরু করল। মুসা দাঁড়িয়ে রইল। চেঁচিয়ে বলল, টেড, দাঁড়াও, তোমার সঙ্গে কথা আছে…

জবাবে দস্তানা পরা হাত তুলে ঘুসি দেখাল টেড।

রেগে গেল মুসা। থাবা দিয়ে টেডের বাড়ানো হাতটা ধরে ফেলল। কজিতে মোচড় দিয়ে মারল হ্যাচকা টান। এটা আশা করেনি টেড। রানারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না। স্লেজ থেকে উড়ে এসে পড়ল রাস্তার ওপর। সতর্ক হয়ে গেল বুদ্ধিমান কুকুরগুলো। কয়েক গজ এগিয়ে দাঁড়িয়ে গেল।

ধীরে ধীরে উঠে বসল টেড। মাথার পিছনে ব্যথা পেয়েছে, হাত বোলাচ্ছে সেখানে। বিমূঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মুসার দিকে।

কিশোরও উঠে এসেছে।

রাগ যায়নি মুসার। চিৎকার করে উঠল, কী মনে করো তুমি নিজেকে, টেড? আমাদের ওপর কীসের রাগ তোমার? গ্লিটারে যখনই কোন দুর্ঘটনা ঘটছে, তার আশপাশে দেখা যাচ্ছে তোমাকে। টিনুকদের কেবিনে যখন আগুন লেগেছিল, তোমাকে স্লেজ নিয়ে ছুটে পালাতে দেখেছি। বিষ মেশানো আপেল এনে দিয়েছ তুমি ওদেরকে। কাল যখন লুকের ছাউনিতে বোমা ফাটানো হলো, টাউন হলের মিটিঙে ছিলে

তুমি। আমি আরও জানতে চাই, জোসির রেড লাইটের দড়ি কাটল কে?

কথা শেষ হয়েছে তোমার? রুক্ষ কণ্ঠে জবাব দিল টেড। তাহলে শোনো, আমিও জানতে চাই, আমার কেনলে বিষ মাখানো মাংস ফেলেছিল কে। কে আমার লাগামের অর্ধেকটা কেটে রেখেছিল। আমার রানার ওয়্যাক্সে বালি দিয়ে রেখেছিল কে।

মুসা জিজ্ঞেস করল, কে?

উঠে দাঁড়াল টেড। কে আবার? তোমাদের প্রিয় বন্ধু জোসি। একা শয়তানি করে মন ভরেনি। তোমাদেরকে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ডেকে নিয়ে এসেছে সাহায্য করার জন্য। তবে আমি তোমাদেরকে আমার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেব না। কখনই না!

টেডের কথায় স্তম্ভিত হয়ে গেছে কিশোর ও মুসা দুজনেই। ধোকা দিচ্ছে না তো টেড? নাকি জোসির মত টেডও একই ষড়যন্ত্রের শিকার?

এ সব ঘটনা কবে ঘটেছে? আমরা গ্লিটারে আসার পর? জিজ্ঞেস করল কিশোর।

টেড বলল, না, আগে। জোসি আমার এত প্রিয় বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও ওর ওপর রাগ কেন আমার বুঝতে পারছ না? কেন ওকে এখন দেখতে পারি না? স্বার্থপর হিংসুক বন্ধু থাকার চেয়ে না থাকা ভাল।

মুসা জিজ্ঞেস করল, জোসিই যে দোষী, কী করে বুঝলে?

ও ছাড়া আর কে? আমার ওপর আর কার এমন আক্রোশ থাকবে?

ও তোমার বন্ধু, টেড।

ছিল। এখন নেই।

কণ্ঠস্বরে যতটা সম্ভব আন্তরিকতা ফুটিয়ে তুলে কিশোর বলল, টেড, জোসি এ সব করছে না। কারণ, কেউ একজন জোসিরও ক্ষতি করতে চাইছে। তোমাদের পুরো শহরটাকেই ধ্বংস করে দিতে চাইছে ওই লোক। জোসি, ওর চাচা-চাচী, চাচাত বোন, সবাই চাইছে রহস্যটার সমাধান করি আমরা। যে এ সব করে বেড়াচ্ছে, ওকে খুঁজে বের করি।

আমরা গুণ্ডাপাণ্ডা নই, টেড, যা তুমি ভাবছ, মুসা বলল। আমরা গোয়েন্দা।

জ্বলে উঠল টেডের চোখ। তাহলে বলো, লোকটা কে? দেখো ওর কী করি!

এখনও জানি না আমরা, জবাব দিল কিশোর। এতদিন তো তোমাকেই সন্দেহ করে এসেছি।

আমি কিছু করিনি। নিজের শহর ধ্বংস করে দেব, এত বোকা আমাকে ভাবলে কী করে?

জোসিও চায় না শহরটা ধ্বংস হয়ে যাক।

চুপ হয়ে গেল টেড। নীরবে দেখতে লাগল কিশোর ও মুসাকে। সন্দেহ যাচ্ছে না ওর। হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে হাঁটতে শুরু করল। চলে গেল ওর জেটার কাছে, যেখানে অসীম ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে কুকুরগুলো।

কিশোর-মুসাও. হাঁটতে শুরু করল আবার। উল্টো দিকে। টিনুকদের কেবিনের কাছে এসে থামল। দরজায় টোকা দিল কিশোর। খুলে দিলেন এরিনা। হাতে একটা ডোরাকাটা স্কার্ফ। তোমরা। আমি মনে করেছি গোল্ড। স্কার্ফটা ফেলে গেছে তো, ভাবলাম ফেরত নিতে এসেছে বুঝি। দাঁড়িয়ে কেন, এসো।

ঘরে ঢুকে পার্কা খুলতে খুলতে মুসা জিজ্ঞেস করল, গোল্ড কখন এসেছিল?

মিনিট পনেরো আগে। এইমাত্র গেল। কেন?

স্টোভের কাছে চেয়ারে বসে আছেন জেফরি। থিম পার্কের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য আমাকে বোঝাতে এসেছিল গোল্ড। হাসলেন তিনি। টুর গাইডের চাকরির অফারও দিয়ে গেছে আমাকে।

দরজা খুলে গেল আবার। হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকল গোল্ড। বাতাসের ঝাপটা লাগল। ওর বুটে লেগে থাকা তুষার গলে গলে

পড়ছে।

গোল্ড বলল, গলার কাছে ঠাণ্ডা লাগতে মনে পড়ল স্কার্ফটা ফেলে গেছি। আরেকটু হলে গলাটাই বরফ হয়ে যাচ্ছিল।

এরিনার হাত থেকে স্কার্ফটা নিয়ে গলায় পেঁচাল গোল্ড। বেরোনোর জন্য ঘুরে দাঁড়াল।

কিশোর জিজ্ঞেস করল, গোল্ড, জো সারটনের ফিশহুইলটার কাছে গিয়েছিলেন কেন?

ঝটকা দিয়ে ঘুরে দাঁড়াল গোল্ড। কে বলেছে?

লুক। একটু আগে নাকি ওটার কাছে দেখেছেন আপনাকে।

জেফরিকে সাক্ষী মানল গোল্ড। শুনলে! শুনলে মিথুকটার কথা! আমি নাকি নদীর ধারে জো সারটনের ফিশহুইলের কাছে গেছি! কিশোরের দিকে ফিরল ও। কখন দেখেছে বলল?

আধঘণ্টা আগে, মুসা বলল।

লাল হয়ে গেছে গোল্ডের মুখ। আধঘণ্টা আগে যদি নদীর ধারে গিয়ে থাকি, তা হলে এখানে ছিল কে? আমার ভূত?

অবাক মনে হলো জেফরিকে। গোল্ড এখানেই ছিল, আমাদের সাথে। লুক নিশ্চয় ভুল করেছে।

শীতকালে এ ধরনের ভুল হতেই পারে, এরিনা বললেন। কাপড়-চোপড় দিয়ে গা ঢেকে শরীরটাকে পুটলি বানিয়ে রাখে সবাই। দূর থেকে চেনা কঠিন।

তাই হবে! বিড়বিড় করল কিশোর। তারমানে লুক ভুল করেছেন।

সারটনের ফিশহুইলটারও কিছু হয়েছে নাকি? শঙ্কিত মনে হলো গোল্ডকে।

তা তো জানি না। জো গিয়ে ওটা দেখলে বুঝতে পারবে।

ফিশহুইলটাও যদি নষ্ট হয়ে থাকে, চিবিয়ে চিবিয়ে বলল গোল্ড, কার কাজ, আর সন্দেহ থাকবে না আমার। সোজা গিয়ে ওই চামারটার ঘাড় চেপে ধরব, সব বেরিয়ে যাবে।

কার কথা বলছেন?

কার আবার? ওই অর্থপিশাচ লুক স্টার্লিংটার। টাকার জন্য পারে না ও, এমন কাজ নেই।

গটমট করে বেরিয়ে গেল গোেল্ড। পিছনে দড়াম করে লাগিয়ে দিয়ে গেল দরজার পাল্লা।

প্রথমে কিশোরের দিকে তাকালেন জেফরি। তারপর মুসার দিকে। বললেন, গোল্ডের আচরণে মনে হয় না জানি কী ভয়ঙ্কর লোক। কিন্তু আমি জানি, ওর ওই বদমেজাজ আর রুক্ষতার আড়ালের মনটা খুব নরম। আর মোটেও অসৎ নয়। মাঝে মাঝে ওর কথাবার্তায় আমারও রাগ লাগে। তবে ওকে আমি অবিশ্বাস করি না।

দরজা খুলে গেল আবারও। লাকড়ির বোঝা নিয়ে ঘরে ঢুকল মুন কিশোর-মুসাকে দেখে জিজ্ঞেস করল, ডিনামাইটের খোঁজ নিয়েছিলে?

অবাক মনে হলো জেফরি ও এরিনাকে। বিগৃসের চিঠির কথা জানানো হলো ওঁদের।

কিশোর বলল, বিগসকে জিজ্ঞেস করেছি। ডিনামাইট কোম্পানির চিঠির কথা স্বীকার করেছে ও।

ডিনামাইট দিয়ে ও কী করবে? কপাল ডলতে লাগলেন জেফরি। কী যে সব কাণ্ড শুরু হলো গ্লিটারে, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। কাকে সন্দেহ করব, তা-ও বুঝতে পারছি না। কিশোর, কিছু একটা করো তোমরা জলদি! শহরটাকে বাঁচাও!

 

পরদিন সকাল সকাল কেবিন থেকে বেরোল কিশোর ও মুসা। শহরের প্রান্তে একটা পাহাড়ের গোড়ায় জেফরি ও এরিনাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাত নাড়ল কিশোর। জেফরিও হাত নাড়লেন।

এগিয়ে গেল দুজনে। পাহাড়ের গোড়ার এক টুকরো খোলা জায়গা লোহার রেলিঙ দিয়ে ঘেরা। তুষার ভেদ করে মাথা তুলে রেখেছে। অসংখ্য কবরফলক। শহরের গোরস্থান এটা, বুঝতে পারল ওরা।

কেউ মারা গেল নাকি?

জিজ্ঞেস করে জানা গেল, মারা যায়নি, তবে আজ পটল্যাচের দিন। পটল্যাচ হলো আলাস্কার আদিবাসীদের একটা বিশেষ উৎসব। সকালে কবরস্থানে ফুল দিতে আসে মৃতের আত্মীয়রা। বিকাল থেকে শুরু হয় উৎসব-অনুষ্ঠান।

ব্ৰিণ্ডল জ্যাককে দেখা গেল ওখানে। জেফরিকে দেখেই বেরিয়ে গেল গোরস্থান থেকে। কিশোরের মনে পড়ল, সন্দেহভাজনদের সে-ও একজন। অথচ বেমালুম ভুলে গিয়েছিল ওর কথা, আশ্চর্য!

জোসিকে একপাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে জ্যাকের কথা জিজ্ঞেস করল কিশোর।

শহরেই ছিল না ও, জোসি বলল। মিঙ্ক রিভারের ওপারের জঙ্গলে ফাদ পেতে জানোয়ার ধরতে চলে গিয়েছিল। গ্লিটার থেকে বহুদূরে। ওই জায়গা নিয়ে চাচার সঙ্গে ঝগড়া নেই ওর। আজ এসেছে পটল্যাচে যোগ দিতে। পটল্যাচ না থাকলে আসত না।

মুসা বলল, তারমানে জ্যাকও সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ। কমতে কমতে তো শেষ! কাকে সন্দেহ করব এরপর?

সে-কথাই তো ভাবছি, চিন্তিত ভঙ্গিতে জবাব দিল কিশোর। সন্দেহভাজনই যদি কেউ না থাকে, সন্দেহ করব কাকে?

 

সেদিন বিকেলে শহরবাসীদের সঙ্গে অ্যাসেম্বলি হলে গিয়ে পটল্যাচে অংশ নিল দুই গোয়েন্দা। স্থানীয় ভাষায় গান গাইছে কয়েকজন অ্যাথাবাস্কান। একঘেয়ে ভঙ্গিতে হাত ওঠাচ্ছে আর নামাচ্ছে। কিছু লোক গানের তালে তালে নেচে চলেছে।

এক সময় শেষ হলো নাচ। শহরের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষটি শহরবাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিলেন। দিনটার বিশেষত্ব নিয়ে আলোচনা করলেন। তারপর নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা দুজন অ্যাথাবাস্কান মহিলা এগিয়ে এল। একজনের হাতে একটা বড় কড়াই, আরেকজনের হাতে ছোট ছোট অনেকগুলো বাটি ও একটা হাতা। ঘরের প্রতিটি মানুষের কাছে যেতে লাগল ওরা। বাটিতে করে ধূমায়িত ঘন ঝোল খেতে দিল।

কী খাচ্ছে? নিচুস্বরে জোসিকে জিজ্ঞেস করল মুসা।

মুচকি হাসল জোসি। সুপ। সবাইকেই খেতে হবে। এটাই নিয়ম।

কীসের সুপ? ভালুকের মাংস?

আরে নাহ্। দুর্ভিক্ষ না লাগলে ভালুক কে খায়, জোসির হাসিটা চওড়া হলো। মুজের মাথা।

আস্ত মাথা হাঁড়িতে ফেলে সিদ্ধ করেছে?

হ্যাঁ, করেছে। চোখ, কান, দাঁত কিছুই ফেলেনি।

চামড়া?

সিদ্ধ হওয়ার পরে ফেলেছে।

এই সুপ খেতে হবে ভেবে নিজের অজান্তেই মুখটা বিকৃত হয়ে গেল কিশোরের। এমন জানলে অনুষ্ঠানেই আসত না।

ওর মুখের অবস্থা দেখে হাসল জোসি। অত মুখ বাঁকাচ্ছ কেন? খেতে খারাপ লাগে না।

প্রথমে মুসার কাছে এসে দাঁড়াল দুই মহিলা। বাটিতে করে ঝোল খেতে দিল। ঢোক গিলল ও। ঠোটে লাগিয়ে চুমুক দিল। ওর দিকে তাকিয়ে ভুরু নাচাল কিশোর। নীরবে জানতে চাইল, কেমন।

ভাল বলতে পারব না, তবে যতটা খারাপ ভেবেছিলাম ততটা লাগল না, মুসা জবাব দিল। আর অতিরিক্ত লবণ।

বাটি হাতে নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল কিশোর। কোন ফাঁকে ফেলে দেবে সেই সুযোগ খুঁজছে। পারল না।

কোনমতে ঘন তরল পদার্থটা গিলে নিয়ে বাটিটা ফিরিয়ে দিল মুসা। ঘরের চারপাশে তাকাল। সবাই সুপ খেতে ব্যস্ত। চোখ আটকে গেল দরজার দিকে। কিশোর, ফিসফিস করে বলল ও, লুককে বেরিয়ে যেতে দেখলাম। চোখে চোরা চাহনি। দেখব নাকি কোথায় যান?

চলো।

জোসির দিকে তাকাল কিশোর। জোসি, আমরা বাইরে যাচ্ছি। কাজ আছে। বলে জোসি কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিজের হাতের বাটিটা ওর হাতে ধরিয়ে দিল।

খেলে না? সুপটা কি এতই খারাপ? নাকি বাথরুমে যাচ্ছ?  হেসে জিজ্ঞেস করল জোসি।

কিশোর হাসল, না, বাথরুমে যাচ্ছি না। পরে বলব। মুসার হাত ধরে টান দিল। এসো।

লুককে অনুসরণ করে শহরের পশ্চিম প্রান্তে চলে এল দুজনে। তাকে একটা কেবিনে ঢুকতে দেখল।

কেবিনটায় কেউ আছে বলে মনে হলো না। নিশ্চয় পটল্যাচ অনুষ্ঠানে চলে গেছে। চারপাশে তাকাল কিশোর। একটা উঁচু টিলা চোখে পড়ল। ওখানে উঠে বসলে কেবিনের ভিতরটা দেখতে পারব। চলো।

টিলাটাকে ছোটখাট একটা পাহাড় বলা চলে। প্রচুর গাছপালা জন্মে আছে। ওগুলোর ভিতর দিয়ে ওপরে উঠতে লাগল দুজনে। চূড়ায় উঠে আবার কেবিনটা চোখে পড়ল। লুককে দেখা যাচ্ছে জানালা দিয়ে।

কী করছেন লুক? বিড়বিড় করল কিশোর।

চোখের পাতা সরু করে তাকাল মুসা। কেবিনের পিছনের ঘরে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন লুক। চারপাশে তাকাচ্ছেন। হঠাৎ হাত বাড়িয়ে টান দিয়ে হুক থেকে দুটো স্লে–পেড়ে বা বগলের নীচে চেপে ধরলেন। পার্কা থেকে কী যেন বের করে ছুঁড়ে দিলেন মেঝেতে।

জুতো চুরি করছেন! বলল অবাক কিশোর। কী কাণ্ড!

মেঝেতে কী ফেললেন? মুসার প্রশ্ন।

ভালমত দেখার জন্য আরেকটু এগোতে গেল কিশোর। উত্তেজনায় খেয়ালই রইল না, খাড়া দেয়ালের কিনারে রয়েছে ও। হাত ফসকাল। ডিগবাজি খেয়ে উল্টে পড়ে গেল।

<

Super User