ট্র্যাথমোরের দুর্ঘটনা
ক্লাইড থেকে যাত্রা করেছিল জাহাজ স্ট্র্যাথমোর। জাহাজের এক নাবিকের বাবা এক রাতে স্বপ্ন দেখলেন বিশাল সব ঢেউয়ে ডুবে যাচ্ছে স্ট্রাথমোর। আর আরও কিছু লোকের সঙ্গে তাঁর ছেলে দুর্ঘটনাস্থলের কাছের একটা মরুময় দ্বীপে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পেরেছে। ঘটনাটা তাকে এতটাই নাড়া দিল যে স্ট্র্যাথমোরের মালিককে একটা চিঠি লিখে পুরো বিষয়টা জানালেন। শুরুতে তাঁর এই দাবিকে হেসেই উড়িয়ে দিল মালিক ভদ্রলোক। কিন্তু জাহাজের বন্দরে পৌঁছার সময় যখন পার হয়ে গেল তখন অস্বস্তি শুরু হলো তার। একটার পর একটা দিন পেরিয়ে যেতে লাগল। কিন্তু স্ট্রাথমোরের কোনো সংবাদ নেই। জাহাজটা যেন হওয়ায় মিলিয়ে গেছে।
এসময়ই জাহাজের এক নাবিকের বাবার চিঠি আর তাতে লেখা দুর্ঘটনার কথা মনে পড়ল মালিকের। জাহাজটা অদৃশ্য হওয়ার একটা যুক্তিযুক্ত কারণের দিকে অন্তত নির্দেশ করছে এটা, ভাবল সে। সঙ্গে সঙ্গে সাগরে থাকা জাহাজগুলোকে স্বপ্নে বা দূরদৃষ্টিতে দেখা যে দ্বীপের কথা বলা হয়েছে তার খোঁজ করার অনুরোধ করা হলো। সাগরে ভেসে বেড়ানো জাহাজের ক্যাপ্টেনদের নানান ধরনের অভিজ্ঞতাতেই পড়তে হয়। কাজেই অনুরোধটা গুরুত্বের সঙ্গে নিলেন তারা। স্ট্র্যাথমোরের বেঁচে যাওয়া লোকেদের সত্যি পাওয়া গেল,আর তাঁদের পাওয়া গেল মরুময় একটা দ্বীপে।
<