রাঁধুনির ভূত

একজন যাজক এই কাহিনিটি জানান। তবে কারও নাম প্রকাশ না করার শর্ত ছিল তার। আর আমরা যে সূত্র থেকে লেখাটি পেয়েছি তাতেও কারও নাম ছিল না। এটা এখন শুনব যাজকের জবানীতে।

আমার স্ত্রীর বাবার বাড়িতে বেশ কয়েকজন মহিলা চাকরবাকর ছিল। বিয়ের আগে এদের সব কিছু দেখভালের দায়িত্ব ছিল আমার স্ত্রীর। একবার বাড়ির মহিলা রাঁধুনির অ্যাপেণ্ডিসাইটিসে ব্যথা শুরু হয়। এসময় একটা হাসপাতালের গির্জার যাজকের দায়িত্ব পালন করছি আমি। মহিলাটিকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করে দিই। সেখানে অপারেশন করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। তার বন্ধুরা মহিলাকে কবর দিয়ে দেয়।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কয়েক দিন পরের ঘটনা। আমার স্ত্রী রান্নাঘরের একটা টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছে। এখান থেকে দরজা খোলা থাকলে সামনের বারান্দা দিয়ে যে-ই যাবে নজরে পড়বে তার। তখন সকাল এগারোটার মত বাজে। মাসটা ফেব্রুয়ারির শেষ কি মার্চের শুরু। একটা কেকের ওপর চিনির প্রলেপ দিচ্ছে তখন সে। এসময়ই কাজ থেকে চোখ তুলে খোলা দরজা পথে বারান্দাটার দিকে তাকাল সে। বাড়ির ভৃত্যদের বসবার ঘরের পাশ দিয়ে অন্য একটা কামরার দিকে গেছে বারান্দাটা। এসময়ই পরিষ্কার দেখল কিছুদিন আগে মারা যাওয়া সেই রাঁধুনিটিকে। বারান্দা ধরে ওই কামরাটার দিকে যাচ্ছে। সকালের দিকে সাধারণত যে ধরনের পোশাক পরে তাই পরনে। পরিস্থিতিটা এতটাই স্বাভাবিক মনে হলো যে শুরুতে আমার স্ত্রীও খুব একটা ভয় পেল না। তবে মহিলাটির পিছু নিল সে। বারান্দা থেকে কামরাটায় তার স্কার্টের ঝুলটা অদৃশ্য হতে দেখল। কিন্তু ভিতরে ঢুকে কাউকেই দেখতে পেল না সেখানে।

<

Super User