গোরস্থানের আগম্ভক
আমাদের ভাঁড়ারে গোরস্থান নিয়ে যেসব ভৌতিক অভিজ্ঞতা জমা আছে তার আরেকটা শোনাব এখন। এটি বলেছেন আয়ারল্যাণ্ডের এডজিওর্থস টাউনের মি. জি. এইচ. মিলার।
১৮৭৫-এর শীতকাল। পাঁচ মাইল দূরের এক জায়গায় সন্ধ্যাকালীন এক গানের আসর সেরে বাড়ি ফিরছেন মিলার। ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে এগারোটা। পথে তাকে যেতে হবে অ্যাবিশরুলের ধ্বংসাবশেষ আর সমাধিক্ষেত্রের ভিতর দিয়ে। পথের দু-পাশেই সমাধি। চাঁদের আলোয় চারপাশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। এদিকে ঘঘাড়ার জিন আটকানোর বেল্টটা ভেঙে যাওয়ায় প্রাণীটাকে আস্তে-আস্তে হাঁটিয়ে নিচ্ছেন এখন। ধ্বংসাবশেষটা যখন পেরোচ্ছেন তখন লম্বা ওভারকোট গায়ে চাপানো একজন লোককে দেখলেন। সমাধিগুলোর মাঝখান থেকে কিনারার দিকে হেঁটে আসছেন ভদ্রলোক। মিলার আর কয়েক কদম এগুলেই দুজন মুখোমুখি হয়ে যাবেন। কিন্তু তারপরই লোকটা অদৃশ্য হয়ে গেল। আতিপাতি খুঁজেও তার কোনো নাম-নিশানা পেলেন না মিলার।
একটু পরেই একজন লোককে পাশ কাটালেন, যিনি তাঁর অনেক আগেই সন্ধ্যার অনুষ্ঠান থেকে বের হয়েছেন। ভদ্রলোকের ততা আরও এগিয়ে থাকার কথা, অবাক হয়ে ভাবলেন মিলার। কথাটা জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, পুরানো গোরস্থানটা এড়াতে অনেক ঘুরপথে এসেছেন। কারণ তিনি চাননি সন্ন্যাসীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে যাক। তারপর ব্যাখ্যা করে বললেন এই গোরস্থানে মাঝে মাঝেই এক সন্ন্যাসীর ভূতকে দেখা যায়। মিলারের মনে আর সন্দেহ রইল না সন্ন্যাসীর ভূতকেই দেখেছেন তিনি।
<