হিণ্ডহেডের সেই বাড়ি

ইংল্যাণ্ডের সারের হিহেডের এক হাউসকিপার এবারের কাহিনিটি বলেন। বেশ সুন্দরী, স্বাস্থ্যবতী এক মহিলা তিনি। তখন ভদ্রমহিলা থাকেন পশ্চিমের উপকূলীয় এলাকায়। এসময়ই হঠাৎ একদিন দেখলেন, মনে হলো যেন স্বপ্নে, পরের বছর হিহেডের যে বাড়িটাতে উঠলেন সেটিকে। অথচ তখন পর্যন্ত জীবনে কখনও সারে আসেননি, তিনি। তাঁর জানাও ছিল না কখন সারেতে আসবেন। এমনকী তার চোখের সামনে ভেসে ওঠা জায়গাটা যে সারেতে এটাও জানা ছিল না।

তিনি দেখলেন কেবল একটা লঞি বা কাপড় পরিষ্কারের দোকান। ওটার ভিতরে দাঁড়িয়ে আছেন। কী অদ্ভুত আর বিশাল লাগছিল ওটাকে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেন। একটা বাড়ি এবং চারপাশের জিনিস পরিষ্কার নজরে এল। তারপরই আস্তেআস্তে সব মিলিয়ে গেল। কেন এসব দেখলেন কিছুই বুঝতে পারলেন না। তাঁর শুধু মনে হলো সাবেকি ধাঁচের ছোট্ট একটা বাড়ির কাছে অস্বাভাবিক বড় একটা লঞি দেখেছেন। আর এই জায়গাটায় জীবনে কখনওই আসেননি।

ছয় মাস পেরিয়ে গেল। মহিলা ও তাঁর স্বামী পশ্চিমের এলাকা ছাড়বেন স্থির করলেন। হাউসকিপার আর বাগানবিদের চাকরি খুঁজতে লাগলেন দুজনে। তারপরই একটা বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করেন। নিয়োগ পাওয়ার পর যখন হিণ্ডহেডে এলেন তখন শীতকাল। আর এখানে এসেই মহিলাটি অবাক হয়ে দেখলেন এটা তো ছয় মাস আগে দেখা সেই জায়গাটি। এই লণ্ডিটা দেখে ভুল হওয়ার কোনো কারণ নেই। এমন বিশাল লঞ্জি সারের আর কোথাও নেই। আর লরি ভিতর থেকে যে বাড়িটা দেখেছেন সেটাই তাঁর গৃহস্বামীর বাড়ি, যেটার তত্ত্বাবধায়ক হয়ে এসেছেন। এমনকি লঞ্জি থেকে চারপাশের সব কিছু যেমন দেখেছেন এখানেও হুবহু তাই দেখলেন। অবাক হয়ে ভাবলেন, ছয় মাস আগেই কীভাবে তাঁর নতুন বাড়ি, লণ্ড্রি এসব দেখে ফেললেন?

<

Super User