কিশোর বয়েসী ছেলেরা, যৌবন যাদেরকে হাতছানি দিচ্ছে, বুনো জানোয়ারের সঙ্গে তাদের অনেক মিল। কোন কারণে আজ যদি কাবু হয়ে যায়, কালই দেখা যাবে সব ভুলে গেছে।

আমার ক্ষেত্রে অন্তত সে রকমই হয়েছে। বার্ন স্যাণ্ডারসনের কাছে জলাতঙ্কের কথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম। ভাল করে ঘুমাতে পারলাম না সে রাতে। মনের পর্দায় কেবলই ঘুরে ফিরে আসতে থাকল পাগলা কুকুর আর পাগলা নেকড়ের ছবি। মুখ দিয়ে ফেনা ঝরছে, টলমল পায়ে হাঁটতে গিয়ে বার বার পড়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে জীবন্ত যা কিছু দেখছে তাকেই কামড়াতে আসছে। মনে হলো, আম্মা আর আরলিসকেও কামড়ে দিয়েছে। পাগল হয়ে যাচ্ছে দুজনে। বিছানায় শুয়ে শিউরে শিউরে উঠলাম। প্রচুর দুঃস্বপ্নও দেখলাম সে রাতে।

কিন্তু পরদিন সকালেই সব ভুলে গেলাম। ইয়েলারকে নিয়ে বেরোলাম সে বছর শুয়োরের যে সব বাচ্চা হয়েছে ওগুলোকে ধরে চিহ্ন দিয়ে রাখার জন্যে।

বনেবাদাড়েই তখন ঘুরে বেড়ায় আমাদের শুয়োরগুলো। কারণ ওসব জানোয়ার রাখার মত কোন খোঁয়াড় নেই আমাদের। খাবারও দিতে হয় না। বনে-জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে নিজেরাই নিজেদের খাবার জোগাড় করে নেয়। কেবল প্রচণ্ড শীতে যখন খাবার দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে, তখন কাছাকাছি এলে কয়েক মুঠো শস্য ওগুলোর সামনে ধরে দিই, ব্যস।

বাইরে থাকে ওরা, বাইরে খায়, বাইরেই ঘুমায়। গরমকালে থাকে পানির ডোবাগুলোর কাছাকাছি। কখনও পানির ধারের নরম কাদামাটিতে, কখনও পানিতে। শীতকালে আবহাওয়া খারাপ হয়ে গেলে, প্রচণ্ড তুষারপাত কখন শুরু হবে আগে থেকেই টের পেয়ে যায় ওরা। দল বেঁধে গিয়ে টন টন ডালপাতা আর শুকনো ঘাস জোগাড় করে এনে জড় করে ঘন ঝোপের ভেতরে কিংবা কোন গুহায়। সে সব বিছিয়ে ভারি বিছানা পাতে। তারপর তাতে নাকমুখ গুঁজে পড়ে থাকে যতদিন না তুষারপাত বন্ধ হয়।

পাহাড়ের সমস্ত ঢাল, উপত্যকা, গিরিখাত হলো ওদের চারণভূমি। বুনো ফলমূলের অভাব নেই ওসব অঞ্চলে, ফলে ওদের খাবারেরও ঘাটতি হয় না। সাধারণত নিরামিষভোজী হলেও মাংস ভোজনেও অরুচি দেখা যায় না ওদের। সদ্যজাত গরুর বাছুরকে ধরে নিয়ে যায় তার মায়ের সামনে থেকেই, যদি মা দুর্বল হয়, শিং দুলিয়ে ভয় দেখিয়ে ঠেকাতে না পারে। লম্বা ঘাসের মধ্যে বাচ্চা লুকিয়ে রেখে হরিণ যদি অন্য কোথাও যায় পানি কিংবা খাবার খেতে, আর সেটা শুয়োরের দলের চোখে পড়ে যায়, তাহলে বাচ্চাটার রেহাই নেই। একদিন আমি আর আব্বা একটা ধাড়ি শুয়োরকে ডোবায় নেমে মাছ ধরে খেতেও দেখেছি।

তবে বুড়ো শুয়োরগুলোই মাংসখেকো হয়ে ওঠে, বিশেষ করে তীব্র শীত কিংবা অন্য কোন প্রাকৃতিক কারণে যখন দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তখন। আব্বা বলে, বনের ভেতর মরে পড়ে থাকা গরু কিংবা হরিণের মড়া খেয়েই মাংস খাওয়ার হাতেখড়ি হয় ওগুলোর। সব সময় তো আর মড়া পাওয়া যায় না। তখন জ্যান্ত প্রাণীর দিকে নজর দেয়। ছোটবেলায় একবার নাকি আব্বাকেই আক্রমণ করে বসেছিল শুয়োরেরা। সময় মত তার আব্বা অর্থাৎ আমার দাদা দেখে না ফেললে সেদিনই শেষ হয়ে যেত আব্বা।

এরকম ছেড়ে রাখা শুয়োরকে তাই ঠিক পোষা বলা যায় না। আর এগুলোর ব্যাপারে একটা ভীতি আছে আমার। কাজেই সে বছর যখন শুয়োরকে চিহ্ন দেয়ার জন্যে বেরোতে চাইলাম আমি, বাধা দিল আম্মা। জানে, কাজটা করতেই হবে, নইলে অনেক শুয়োর হাতছাড়া হয়ে যাবে আমাদের, মাংসের সমস্যায় পড়তে হবে, তবু আমাকে যেতে দিতে চাইল না। শুয়োর সবারই প্রয়োজন। যে যত বেশি ধরে চিহ্ন দিয়ে রাখতে পারবে সে ততটার মালিক।

বললাম, খামাকা ভয় পাচ্ছ। আমি তো আর একা যাচ্ছি না। ইয়েলার আছে। শুয়োর সামলাতে ওর জুড়ি নেই, বার্ন স্যাণ্ডারসন কি বলে গেল শুনলে না।

তাতে কি? একটা কুকুর তো আর একপাল শুয়োরকে ঠেকাতে পারবে না। সামান্য একটু ভুল হলেও আর বাঁচবি না। কেটে ফালা ফালা করে ফেলবে।

আম্মা ঠিকই বলেছে। এই কাজের অভিজ্ঞতা আমার আছে। আব্বার সঙ্গে গিয়ে শুয়োর ধরে চিহ্ন দিয়েছি। শুয়োরকে না ঘটালে সে-ও কিছু করে না। বড় জোর ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে দুচারবার হুমকি-ধামকি দেয়, কখনও বা তা-ও করে না, সরে যায় সামনে থেকে। কিন্তু কিছু করলে, রাগিয়ে দিলে কিংবা ভয় দেখালে, ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তখন সে টেক্সাসের সবচেয়ে মারাত্মক জানোয়ার। পাল থেকে একটা বাচ্চাকে ধরে আনলেই হলো। বাচ্চাটা চেঁচাবে। দলের সমস্ত শুয়োর দাঁত ঘষতে ঘষতে তেড়ে আসবে। দাঁত তো নয় যেন ক্ষুরের ফলা। পালাতে না পারলে শেষ। দুনিয়ার কোন শক্তিই আর বাঁচাতে পারবে না।

বাধ্য হয়েই এরকম হতে হয়েছে ওদের। নইলে নেকড়ে, চিতাবাঘ, ভালুক আর বনবেড়ালে ভরা বিপজ্জনক বনের মধ্যে টিকে থাকতে পারত না।

শুয়োর ধরে চিহ্ন দিতে আমার খুব ভাল লাগে। এর মধ্যে এক ধরনের রোমাঞ্চ, এক ধরনের মজা আছে। আব্বার সঙ্গে এতদিন করেছি এই কাজ, অতটা ভয় ছিল না। মনে হত, যা-ই ঘটুক আব্বাই বাঁচাবে। কিন্তু এখন যেতে হবে একা। সঙ্গে অবশ্য থাকছে। তার ওপর কতটা ভরসা করতে পারব জানি না।

আম্মার বাধা মানলাম না। তাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ইয়েলারকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। প্রথম দলটার দেখা পেয়ে গেলাম বার্ডসং ক্ৰীকের একটা ঝর্নার কাছে। প্রায় শুকনো একটা খাড়িতে। মাদী-মদ্দা আর বাচ্চা নিয়ে মোট একুশটা। তার মধ্যে দুটো বিশাল দাঁতাল শুয়োর।

পানি খেতে আর কাদাপানিতে গড়াগড়ি করতে এসেছে ওগুলো।

আমাদের চোখ পড়ল ওগুলোর ওপর, ওরাও আমাদের গন্ধ পেয়ে গেল। নাক উঁচু করে বাতাসে গন্ধ শুকতে শুকতে ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে শুয়োরের ভাষায় যেন জিজ্ঞেস করল ধাড়িগুলো, কি চাই? আমাদের জবাবের অপেক্ষা করল না। পানি থেকে উঠে ঢাল বেয়ে ছুটল ঝোপঝাড়ের মধ্যে দিয়ে।

চেঁচিয়ে উঠলাম, ইয়েলার, ধর ব্যাটাদের, ধর!

না বললেও চলত। বলার আগেই ছুট লাগিয়েছে সে। একটা অল্প বয়েসী শুয়োরের পেছনের পা কামড়ে ধরল গিয়ে। বাকিগুলো জানতেই পারল না কিছু।

তীক্ষ্ণ চিৎকার করল শুয়োরটা। চোখের পলকে ঘুরে দাঁড়াল বয়স্ক শুয়োরগুলো। তেড়ে এল ইয়েলারকে। ঘাড়ের রোম দাঁড়িয়ে গেছে। দাঁতে দাঁত ঘষার শব্দ হচ্ছে। কামড় ছাড়ল না ইয়েলার। আমার মনে হলো, বাঁচতে পারবেনা ও, ঠিক ধরে ফেলবে ওকে। শেষ মুহূর্তে কামড় ছেড়ে ঘুরে দাঁড়াল ইয়েলার। দৌড় দিল আমার দিকে। পিছু ছাড়ল না শুয়োরের পাল। আসতেই থাকল। দূরত্ব একবার বাড়ে, একবার কমে।

শেষ পর্যন্ত যখন বুঝল ধরতে পারবে না, থেমে গেল শুয়োরগুলো। গায়ে গা ঠেকিয়ে শক্ত একটা চক্র তৈরি করল। মুখ রয়েছে চক্রের বাইরের দিকে। ভেতরের খালি জায়গায় রয়েছে বাচ্চাগুলো। চিতাবাঘ কিংবা ভালুকে আক্রমণ করলে এভাবেই ব্যুহ তৈরি করে ঠেকায় শুয়োরেরা। কিছুতেই ভেতরে ঢুকে বাচ্চা ধরে নিয়ে যেতে দেয় না।

কিন্তু অামরা, অর্থাৎ আমি আর ইয়েলার ভালুক বা চিতাবাঘ নই। ওই সব জানোয়ারের চেয়ে মাথায় অনেক বেশি বুদ্ধি আমাদের। চক্র ভেদ করার চেষ্টা করতে গিয়ে ওগুলোর দাঁতের শিকার হলাম না। করার দরকারও নেই। আমি ওগুলোকে নিয়ে যেতে চাই সুবিধেজনক কোন জায়গায়। সেটা ইয়েলারও জানে।

আবার ফিরে গেল সে। একেবারে ওগুলোর মুখোমুখি। তবে অবশ্যই দাঁতের নাগালের বাইরে রইল। সেখানে দাঁড়িয়ে গলা ফাটিয়ে ঘেউ ঘেউ করে ওগুলোকে রাগাতে লাগল। মাঝে মাঝে সামনে লাফিয়ে গেল আক্রমণের ভঙ্গিতে। ব্যুহ ভেঙে তেড়ে এল দু-একটা ধাড়ি। কিন্তু সরে গেল ইয়েলার। তাকে ছুঁতেও পারল না ওরা। ধরতে না পেরে ফিরে যেতেই আবার এগোল সে। শেষে বিরক্ত হয়ে আবার তাকে দল বেঁধে তাড়া করল বয়স্কগুলো। ছুটল ইয়েলার। নিজের মাত্র কয়েক ইঞ্চি পেছনে রাখল ওগুলোকে।

পেছন দিক ও দুপাশ থেকে তার কাছাকাছি হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে শুয়োরের দল। দাঁত লাগিয়ে চিরে দিতে চাইছে কুকুরটার পেটের নরম চামড়া। কোনমতে একবার লাগাতে পারলেই হয়। নাড়িভুড়ি বের করে দেবে। তখন তাকে শেষ করাটা কিছুই না ওদের জন্যে।

সাংঘাতিক বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে ইয়েলার। মারাত্মক ঝুঁকি নিচ্ছে। কিন্তু ভাব দেখে মনে হচ্ছে না ভয় পাচ্ছে সে। বরং যেন মজাই পাচ্ছে। পাহাড় থেকে নামিয়ে আনছে শুয়োরগুলোকে। এমন কোথাও, যেখানে ওগুলোকে ধরতে সুবিধে হয় আমার।

নিয়ে আয় ইয়েলার, নিয়ে আয়! চেঁচিয়ে বলে আমিও ছুটতে শুরু করলাম বড় একটা ওক গাছের দিকে। এক চিলতে খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা গাছটা বেছে নিয়েছি, কারণ অনেক বড় একটা ডাল এক দিকে বেরিয়ে রয়েছে ওটাতে। মাটি থেকে বেশি উঁচুতে নয়, আবার এতটা নিচেও নয় যে শুয়োরে নাগাল পাবে।

তাড়াতাড়ি গাছে উঠে কোমরে পেঁচিয়ে রাখা দড়ি খুলে নিলাম। একটা মাথা ডালের সঙ্গে বেঁধে আরেক মাথায় ফাঁস তৈরি করলাম। তারপর ইয়েলারকে ডেকে বললাম শুয়োরগুলোকে এদিকে নিয়ে আসার জন্যে।

যা বললাম ঠিক তাই করল সে। শুয়োরগুলোকে টেনে নিয়ে এল গাছের কাছে। আমার উদ্দেশ্য বুঝে গেছে। খুব ভাল ট্রেনিং রয়েছে তার, আরেকবার প্রমাণ করল। একটা বাচ্চা চলে এল ঠিক আমার ডালটার নিচে। গলায় ফাঁস পরিয়ে টেনে তুলাম ওটাকে। দু-হাটু দিয়ে চেপে ধরে ছুরি বের করে প্রথমে ডান কানের ওপর থেকে তিন কোণা করে খানিকটা কেটে নিলাম। তারপর বা কানের নিচের দিক থেকে কাটলাম খানিকটা। এই ডিজাইনটা আমাদের চিহ্ন। একেকজনের একেক ধরনের চিহ্ন থাকে। আমাদেরটা তিন কোণা। ডান কানে থাকবে ওপর দিকে, বা কানে নিচের দিকে। সব সেটলারদের মধ্যেই একটা অলিখিত চুক্তি আছে। কড়াকড়ি ভাবে সেটা মেনে চলে সবাই। একজনের চিহ্ন দিয়ে রাখা শুয়োর আরেকজন মারবে না।

কান কাটলে যতটা রক্ত বেরোয় ততটা ব্যথা পায় না শুয়োর। তত চিৎকারও করে না। কিন্তু এই শুয়োরটা এমন জোরে চেঁচিয়ে উঠল যেন তাকে জবাই করে ফেলা হচ্ছে। ওকে দোষ দিই না। আমাকে চেপে ধরে আমার কান কেউ কাটলে এর চেয়ে জোরে চেঁচাতাম কোন সন্দেহ নেই। জীবন্ত প্রাণীদেহে এই কাটাকাটির ব্যাপারটা আমার ভাল লাগে না। কিন্তু আর কোন উপায়ও নেই।

শুয়োরটার চিৎকার আর রক্তের গন্ধে পাগল হয়ে গেল যেন নিচের শুয়োরগুলো। ভীষণ রাগে ঘোৎ ঘোঁৎ করে দাঁতে দাঁত ঘষতে ঘষতে গাছের গোঁড়া ঘিরে ঘুরতে লাগল। আমাকে ধরার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ওগুলোর কণ্ঠস্বর আর কুতকুতে চোখের দৃষ্টিতে ঝরছে তীব্র ঘৃণা। রক্ত হিম করে দিতে যথেষ্ট। ভাগ্যিস শুয়োরেরা গাছে উঠতে পারে না। কোন ভাবে এখন আমি গাছ থেকে পড়ে গেলে কি ঘটবে ভেবে শিউরে উঠলাম। তবে সে জন্যে লজ্জা পেলাম না। আব্বা বলে, ভয় হলো মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতি। বড়রাও ভয় পায়। কাজেই ভয় পেলেই যে নিজেকে ছোট ভাবতে হবে তার কোন কারণ নেই। তবে ইচ্ছে করলে ভয়কে দূরে সরিয়ে রাখা যায়। সে জন্যে প্রচুর প্র্যাকটিস দরকার।

কাজেই ভয়টা দূরেই সরিয়ে রাখলাম। তাছাড়া এই মুহূর্তে ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। আমি রয়েছি গাছের মোটা ডালে। এখানে উঠতে পারবে না শুয়োরের পাল। ডাল ভেঙে পড়ারও কারণ নেই। আক্রান্ত হওয়ার চিন্তাটা দূরে সরিয়ে কাজে মন দিলাম। প্রথমটাকে নিচে ফেলে দিয়ে আরেকটাকে টেনে তুললাম।

ইতিমধ্যে বুঝে ফেলেছে ইয়েলার ঠিক কোন শুয়োরগুলোকে চিহ্ন দিতে চাই আমি। ওগুলোকেই টেনে টেনে আনতে লাগল ডালের নিচে। আমিও একটার পর একটা ধরে তুলে কান কেটে চললাম।

ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে গেল। কান কাটা মাদী আর বাচ্চাগুলোকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে মদ্দা আর বয়স্কগুলো। অনেক পরিশ্রম করেছে ইয়েলার। মূল কাজটা সে-ই করেছে। তাকে বললাম খানিক দূরে গিয়ে বসে জিরিয়ে নিতে।

শুয়োরগুলো কখন যাবে তার কোন ঠিক নেই। এখন ওগুলোর যাওয়ার অপেক্ষায় চুপ করে বসে থাকা ছাড়া আর কিছু করার নেই আমাদের।

যখন দেখল কুত্তাটা দূরে গিয়ে বসে আছে, বিরক্ত করছে না, আমিও চুপচাপ, আস্তে আস্তে ঘৃণা আর সন্দেহ দূর হয়ে যেতে লাগল ওগুলোর চোখ থেকে। আরও ঘন্টাখানেক গাছের নিচে ঘোরাফেরা করল, তারপর রওনা হয়ে গেল ঝোপের দিকে।

আরও কিছুক্ষণ বসে রইলাম। তারপর যখন বুঝলাম, সত্যিই চলে গেছে, তখন নামলাম গাছ থেকে।

<

Super User