গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল ক্লিফ, ভাবল এখুনি ছুটে আসবে সোনি, একা দুটি কথা বলবে ওর সঙ্গে। কিন্তু ওকে নিরাশ করে বাবা মায়ের সঙ্গে বেরিয়ে এল সোনিয়া। একসঙ্গে দক্ষিণে টেইলরদের বাড়ির পথ ধরল, সবার হাতে একটা করে ব্যাগ।
অনিচ্ছার সঙ্গে আবার অফিসের দিকে পা বাড়াল ক্লিফ, মাঝপথে একবার থেমে গ্রে-বাট পাহাড়ের দিকে তাকাল।
চাতালের দেয়ালে ঠেস দিয়ে অলস ভঙ্গিতে বসে আছে ল্যুকের দুভাই, অবিরাম সিগারেট ফুকছে। সকালের রোদ সরাসরি ওদের চোখে পড়ছে, তাই টুপি নামিয়ে চোখ আড়াল করে রেখেছে।
অপর ভাইটি নীচে রাইফেলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে এদিকে।
শহরের পথঘাট বিস্ময়কররকম নির্জন। ব্রনসন নাজেহাল হওয়ায় পালানোর উৎসাহে ভাটা পড়েছে। জেলহাউসের কাছে এখনও একই ভঙ্গিতে পড়ে রয়েছে বাকবোর্ড আর নিহত ঘোড়াটা।
অফিসে পৌঁছল ক্লিফ, ভবনের সামনে বেঞ্চে বসে পাইপ টানছে স্টোন। তার পাশে বসে পড়ল ও, পকেট থেকে কাগজ-তামাক বের করে সিগারেট বানিয়ে ধরাল। কাউকে দেখছি না, সবাই গেল কোথায়? জিজ্ঞেস করল।
হোটেল লবিতে, মিটিং করছে।
কী ব্যাপারে?
আমাদের রাজি করানোর উপায় বের করতে…
…যাতে স্যুকদের ছেড়ে দিই? বলল ক্লিফ, আমরা রাজি না হলে?
রাত নামলেই এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করবে সবাই।
ম্যাট বাধা দেবে।
কীভাবে?
একটা বুদ্ধি ঠিক বের করবে শয়তানটা, বলল ক্লিফ, একটু থামল ও। মিটিংয়ে আমাদের কারও থাকা উচিত ছিল না?
তা ঠিক, যেতে চাও?
উঠে দাঁড়াল ক্লিফ। নানা জনের অনুযোগ অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে বলে যেতে ইচ্ছে করছে না, কিন্তু ন গিয়ে উপায় নেই। হোটেলে পৌঁছে। সোজা লবিতে ঢুকে পড়ল ও।
সত্তর-পঁচাত্তর জন লোক জমায়েত হয়েছে লবিতে, অধিকাংশই পুরুষ। মাথায় পট্টি বাঁধা ডেলহ্যান্টি, ডাক্তার বোনার, ডেল পোমরয়, লেক্স মেসি, ফ্র্যাংক হাইট, সস্ত্রীক আহত এড ব্রনসন-সবাই উপস্থিত। ক্লিফকে দেখেই চেঁচিয়ে উঠল পোময়। কথা না বাড়িয়ে এবার একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছুনো দরকার! ক্লিফের দিকে ইঙ্গিত করল সে। ওই তো ডেপুটি এসে গেছে! কী করবে ঠিক করলে, ক্লিফ? রেগানকে ছেড়ে দিচ্ছ?
মাথা নাড়ল ক্লিফ।
ওকে জিজ্ঞেস করছ কেন? গলা ছেড়ে চিৎকার করল একজন। স্টোন এখানকার শেরিফ, ফ্যারেল স্রেফ তার ডেপুটি। স্টোন যা বলবে তাই তাকে মানতে হবে।
বক্তার দিকে ঘাড় ফেরাল ক্লিফ, জ্যাক কোল, কালরাতের সাত হামলাকারীর একজন।
আজই কোনও একসময় জাজ কেনেডি আসছে, গলা চড়িয়ে বলল ও। কাল সকাল দশটায় আদালত বসছে, ওখানেই সিদ্ধান্ত হরে।
তার আগেই স্টোন যদি ল্যুককে ছেড়ে দেয়?
ছাড়বে না। দৃষ্টিতে কাঠিন্য ফুটে উঠল ফ্যারেলের। আমি যতক্ষণ বেঁচে আছি ওকে ছাড়ার সাধ্য নেই কারও।
সময়টা সংক্ষিপ্ত হতে পারে।
ভিড় ঠেলে কোলের দিকে ছুটে গেল ক্লিফ, উল্টোহাতে বিদ্যুৎগতিতে থাবড়া লাগাল তার গালে। ভয় দেখাচ্ছ? ইচ্ছে করলে তোমাকেও আমি জেলে ভরে রাখতে পারি, জানো?
ক্লিফের কাঁধে হাত রেখে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করল পোমরয়। থামো, ক্লিফ। ঝগড়া করে কী লাভ?
সরোষে ঘাড় ফিরিয়ে পোমরয়ের দিকে তাকাল ফ্যারেল। আচ্ছা? তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলল ও। রেগানকে জ্যান্ত ফিরিয়ে আনার পর সবাই মিলে আমাকে গালাগালি করলে, ওকে দুবার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে, অথচ এখন বলছ ছেড়ে দিতেকের সঙ্গে তোমাদের তফাৎ কোথায়? কিন্তু মনে রেখো, কেউ চাক না চাক রেগানকে আমি আদালতে চালান দেবই। ল্যুক দোষী না নির্দোষ আদালতই স্থির করবে। কিন্তু তোমাদের হাতে যেমন তুলে দিই নি তেমনি বিনাবিচারে ছেড়ে দেয়ারও প্রশ্ন ওঠে না।
আমাদের তাহলে শহর ছেড়ে পালানো ছাড়া উপায় থাকছে না, গম্ভীর কণ্ঠে বলল, কোল, আজই আমরা চলে যাব। রেগানের বিচার করতে জুরী খুঁজে পাবে না তুমি।
বিরক্তিভরে সমবেত জনতার দিকে তাকাল ক্লিফ। এমনিতেও আশা কম। এ শহরে কারও জুরী হবার মতো সাহস আছে বলে আমার মনে হয় না। কথাটা শেষ করেই ঝট করে ঘুরে দাঁড়াল ক্লিফ, বেরিয়ে এল বাইরে। বারান্দায় আড়ি পেতে ওদের কথা শুনছিল-ম্যাট আর জেস রেগান। ফ্যারেলের দিকে তাকিয়ে বিজয়ীর হাসি হাসল ওরা। বারান্দার খুঁটিতে একটা নোটিস সেঁটে দিয়েছে, মাথা দুলিয়ে সেদিকে ইঙ্গিত করল ম্যাট। নোটিসটা পড়ল ক্লিফ।
নোটিস
রাতে অথবা দিনে শহর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেই
ডিনামাইট ফাটানোর
নির্দেশ দেব।
ম্যাট রেগান।
এখনও সময় আছে হার স্বীকার কর, ডেপুটি, বলল ম্যাট। ছেড়ে দাও ওকে। আদতে ও হয়তো নির্দোষ, কাজটা হেলম্যানেরও হতে পারে।
হেলম্যান নয়, ল্যুকই পালিয়ে গিয়েছিল।
আর দোষী হলেই বা কি? মেয়েটাকে তো আর মেরে ফেলে নি?
ক্লিফের অ্যাকশন পুরোপুরি পিলে চমকানো। চোখের পলকে ম্যাটের পেটে একটা ঘুসি বসিয়ে দিল ও। দুর্ভাঁজ হয়ে গেল রেগান, সঙ্গে সঙ্গে ওর নাক বরাবর উঠে এল ক্লিফের হাঁটু। মুখ থুবড়ে পড়ল ম্যাট, গলগল করে রক্ত বেরিয়ে আসছে নাক থেকে।
ম্যাট ধরাশায়ী হওয়ার আগেই পিস্তল বের করে ফেলল ক্লিফ। অস্ত্র উঁচিয়ে হুঙ্কার ছাড়ল, সাবধান! পিস্তলের বাঁট আঁকড়ে ধরে জমাট বেঁধে গেল জেস। ম্যাটকে পেটানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল, ভাবল ক্লিফ, টগবগে ক্রোধ প্রশমিত করার রাস্তা বন্ধ হলো। এখন আর পিস্তল খাপে ভরা যাবে না, প্রথম সুযোগে ওকে খুন করবে জেস। আর অস্ত্র হাতে ম্যাটের সঙ্গে মারপিট সম্ভব নয়।
কোনওমতে উঠে বসল ম্যাট, প্রবল বেগে মাথা নাড়ছে, অঝোর ধারায় রক্ত ঝরছে নাক থেকে। সভা ভেঙে হুড়মুড় করে বেরিয়ে এল সবাই, ভিড় জমাল চারপাশে। হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল ডেল পোমরয়। আরে, ওটা কী! খুঁটির সঙ্গে সঁটা নোটিসটা সবাইকে শুনিয়ে পড়ল সে।
ভিড় ঠেলে তার দিকে এগিয়ে গেল ম্যাট রেগান। ল্যুক জেলে না থাকলে এখুনি বোমা ফাটানোর নির্দেশ দিতাম আমি! কর্কশ কণ্ঠে বলল সে। প্রাণ ভরে দেখতাম শহরটার মরণ!
ঠেলাঠেলি করে ক্লিফের কাছে এল পোমরয়। কাজটা ভাল হয় নি, বলল সে। এই পরিস্থিতিতে একটু সামলে চলতে হয়, ওরা খেপে গেলে কী অবস্থা হবে, বলো তো?
জবাব না দিয়ে ঘুরে দাঁড়াল ক্লিফ, দুপদাপ করে রাস্তায় নামল, পা বাড়াল অফিসের দিকে। পেছনে চিৎকার জুড়ে দিল জনতা। আশ্চর্য মানুষগুলোপ্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে। এই এক কথা বলছে…পরমুহূর্তে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর বাজছে তাদের কণ্ঠে।
আচ্ছা কী করলে সবদিক রক্ষা হয়? হ্যাঁ, একটা কাজ করা যায়
সম্ভাবনাটা খতিয়ে বিচার করল ফ্যারেল। সোনিকে নিয়ে শহর ছেড়ে ও নিজেই চলে যেতে পারে। তারপর শহরবাসীরাই সিদ্ধান্ত নেবে করণীয় সম্পর্কে…কিন্তু তার অর্থ তো হার মেনে নেয়ামুক্তি দেয়া রেগানকে।
শেষ পর্যন্ত তো খালাস পাবে লোকটা; ম্যাটরা যতক্ষণ ডিনামাইটসহ পাহাড়ে থাকছে, জুরীদের সাহস হবে না ওর বিরুদ্ধে রায় দেয়ারযদি জুরী খুঁজে পাওয়া যায়।
জেলহাউসের সামনের বেঞ্চে এখনও বসে আছে স্টোন। দরজা খোলা, ভেতর থেকে চিৎকার করে কী যেন চাইছে ল্যুক রেগান, কান ঝালাপালা হবার যোগাড়। একটানে দরজাটা আটকে দিল ক্লিফ, চাপা পড়ে গেল আসামীর চিৎকার।
গলা খাঁকারি দিল স্টোন। কাল রাতে আমায় জেলে না পেয়ে কি ভেবেছিলে, পালিয়েছি?
পালাও নি?
হয়তো। অভিযোগ অস্বীকার করতে চাইছে যেন স্টোন। জনতা তোমাদের পরাস্ত করবে ধরে নিয়েছিলাম আমি।
সাহায্য করতে এলে না কেন? কৈফিয়ত তলবের সুরে বলল ক্লিফ।
রেগে গেল স্টোন। তোমাকে তার কৈফিয়ত দিতে হবে! ভুলে যেয়ো না, তুমি আমার ডেপুটি, চাইলে যে কোনও সময় তোমাকে বরখাস্ত করতে পারি!
বেশ তো, করো! শীতল কণ্ঠে বলল ক্লিফ।
দেখো, আমায় খেপিয়ো না! তাহলে সত্যিই বরখাস্ত করতে বাধ্য হব। কালই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি রেগানকে আটক রাখার জন্যে কাউকে হত্যা করা যাবে না। নিজের প্রাণ খোয়ানোর তো প্রশ্নই ওঠে না। আর এটাই যুক্তিসঙ্গত কথা।
রেগানকে দেখলেই বোঝা যায়, লোকটা জন্মপাপী, ওকে ছেড়ে দিলে মহা সর্বনাশ হয়ে যাবে।
ওকে ছেড়ে দিয়ে তারপর প্যসি নিয়ে একসঙ্গে সবগুলোর পিছু নিলেই তো হয়…
তা হয়, বলল ক্লিফ। কিন্তু প্যসিকে ফাঁকি দেয়ার জন্যে ওরা ছয়জন ছুদিকে চলে যাবে, বুঝলে! তখন? বুঝলাম দুএকজনকে ধরলে, তারপর? এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না?
রাস্তার দিকে তাকাল, ফ্যারেল। হোটেলের দিক থেকে একদল লোক আসছে। হঠাৎ আরেকটা জিনিস নজরে এল ওর, ঝট করে উঠে দাঁড়াল। হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে আসছে সোনিয়া।
দ্রুত এগোল ফ্যারেল। ওকে থামানোর চেষ্টা করল জনতা। সবার বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে চলল ও। স্টোনের কাছে যাও, বলল, সে-ই তো শেরিফ।
হাঁটার গতি বাড়াল ক্লিফ, প্রায় ছুটছে, আকুলতা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সোনিয়ার দিকে।
সোনিয়ার সামনে পৌঁছে থমকে দাঁড়াল ও। দুজন মুখোমুখি, নিশ্চপ।
দুঃখ ভারাক্রান্ত সোনিয়ার চেহারা; নিশ্চয়ই প্রচুর কান্নাকাটি করেছে, ফুলে আছে চোখজোড়া। বিবর্ণ ঠোঁট দুটো মৃদু কাঁপছে।
সোনিয়ার কাঁধে হাত রাখল ক্লিফ। ঘুরে হাঁটতে শুরু কলল দুজন, একসঙ্গে সব কোলাহল পেছনে ফেলে শহরের বাইরে চলে এল।
কেমন আছ, সোনি? জিজ্ঞেস করল ক্লিফ।
হাসতে গিয়ে ব্যর্থ হলো মেয়েটা। আরও সামনে এগোল ওরা, একটা কটনউডের ছায়ায় পৌঁছুল। বসো, সোনি। তোমাকে দেখতে যাবার অনেক চেষ্টা করেছি আমি, কিন্তু তোমার মা…
আমি জানি, ক্লিফ।
হয়তো আমার ভুল হয়েছে, কিন্তু যা করেছি ভালো ভেবেই করেছি।
তাও জানি। সেকথা বলব বলেই তো এলাম। লোকটাকে মেরে ফেলার কথা আমি মন থেকে বলি নি।
সব এখনও আগের মতোই আছে, সোনি, বলল ক্লিফ। একদম ভেবো। ঝামেলাটা মিটে যাক, বিয়েটা সেরে চলে যাব আমরা এখান থেকে।
যদি না মেটে?
কেন, কালই রেগানের বিচার হচ্ছে।
কিন্তু সে তো খালাস পেয়ে যাবে। এই অবস্থায় কেউ ওর বিরুদ্ধে আঙুলটিও নাড়বে না।
সেক্ষেত্রে আমি নিজে… থেমে গেল ক্লিফ। পরিস্থিতির জটিল রূপ উপলব্ধি করতে পারছে ও। ফিউজে আগুন জ্বালানোর আগে রেগান ভাইদের পরাস্ত করা অসম্ভব। মনকে চোখ ঠেরে লাভ কী?
সোনিয়ার দিকে তাকাল ও। মেয়েটার সেই চঞ্চল দৃষ্টির কথা মনে পড়ল। রেগান সোনির অসম্মান করেছে, তাকে কী করে ক্ষমা করবে ও? কাল আদালতে কী সিদ্ধান্ত হবে কে জানে। রেগানের নিরপেক্ষ বিচার করার মতো জুরী কি মিলরে? জুরীরা হয়তো বেকসুর খালাস দিয়ে দেবে ল্যুককে…
তাহলে…দাঁতে দাঁত চাপল ক্লিফ, একাই ছভাইয়ের পিছু নেবে ও, খুন করে আসবে ল্যুককে। পারবে? ল্যুক রেগানকে হত্যা করার পর কোন্ দৃষ্টিতে নিজের বিচার করবে ও? কাজটা বেআইনি হয়ে যাবে না? বিচারে খালাস পাওয়ার পর তাকে হত্যা করার যুক্তি কোথায়? আইনের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলেই আইন ভাঙবে, এই ঠুনকো ওর নীতিবোধ?
এবার যেতে হয়, বলল সোনিয়া, মা চিন্তা করবে।
আচ্ছা, হাত ধরে সোনিয়াকে দাঁড় করাল ক্লিফ। সহসা, ওর বাহু আঁকড়ে ধরল মেয়েটা, কান্নায় ভেঙে পড়ল। নীরবে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করল ক্লিফ।
আবার শহরের দিকে পা বাড়াল ওরা। কিছুতেই পাহাড়ের দিকে, না তাকিয়ে থাকতে পারছে না ক্লিফ।
সত্যিই ওরা ডিনামাইট ফাটাবে? জিজ্ঞেস করল সোনিয়া।
আশঙ্কা আছে।
বিচারের জন্যে লোকটাকে সান্তা রোসায় নিয়ে গেলে কেমন হয়?
মাথা দোলাল ফ্যারেল। কথাটা আগেই ভেবেছে। একা একা ওকে নিয়ে অতদূর যাওয়া যাবে না। কেউ যাতে আমাদের সঙ্গে না যায় ম্যাট তার ব্যবস্থা করবে।
ওরা আজীবন বসে থাকতে পারবে ওখানে?
তা পারবে না। আসলে কি জানো, ডিনামাইট ফাটানোর ওদের ইচ্ছে নেই। কেননা ওরা জানে, শহরের কিছু হলে ওদের মরতে হবে। তবু বলা যায় না, ল্যুকের জন্যে সে ঝুঁকি নিতেও পারে।
শহরে ফিরে এল ওরা।
আমি একাই যেতে পারব, ক্লিফ, বলল সোনিয়া। মায়ের খিটখিটে স্বভাবের কথা তো জানোই।
হাসল ক্লিফ, হ্যাঁ। আবার কবে দেখা হবে?
কাল আদালতে, আমাকে তো সাক্ষী দিতে যেতে হবে, তাই না?
মাথা দোলাল ফ্যারেল। পারবে?
জানি না, চেষ্টা করব।
সোনিয়ার হাতে মৃদু চাপ দিল ক্লিফ। টেইলরদের বাড়ির দিকে রওনা হলো মেয়েটা, ওর গমনপথের দিকে চেয়ে রইল ও সোনি ঘরে ঢোকা পর্যন্ত অপেক্ষা করল, তারপর অফিসের পথ ধরল।
<