এখানো আমার মন বাস করে আনন্দ-কাননে;
বিদেশী অনেক মহাজন থেকে ধার দেনা করে
বাড়াতে চেয়েছে দীন খাঁচার জৌলুশ; আনন্দের
বীজ খুঁজে বেড়িয়েছি ঘাটে ঘাটে। আপন জমিন
বিশদ পতিত রেখে দেখি শেষে বীজতলা নেই।
ফতুর চাষীর মতো ব’সে থাকি খরার দুপুরে
হাঁটুর বিবরে মুখ রেখে আমি বিষণ্ন খাতক।
তবে আশা পূর্ণ হবে কবে ভেবে দিন যাবে?

এবার করব কৃষি মন দিয়ে এ ভবসংসারে;
পূর্বপুরুষের উপেক্ষিত গোলা থেকে আহরণ
করে বীজ বুনে যাব ভাঁজময় কপালের মতো
রুক্ষ মাঠে। আনন্দ-সাগরে ভেসে করব আবাদ।
শস্য পেয়ে রাশি রাশি অতঃপর নিজস্ব জমিনে
দাঁড়িয়ে অগ্রজদের সগৌরবে জানাব সালাম।
২৪/৭/৯৫

Shamsur Rahman।। শামসুর রাহমান