অনাদির আদি
শ্রীকৃষ্ণনিধি
তার কি আছে কভু গোষ্ঠখেলা।
ব্রহ্মরূপে সে
অটলে বসে
লীলাকারী তার অংশকলা৷
পূর্ণচন্দ্র কৃষ্ণ রসিক শিখরে
শক্তির উদয় যার শরীরে
শক্তিতে সৃজন
মহাসংকর্ষণ
বেদ আগমে যারে বিষ্ণু বলে৷
সত্য সত্য শরণ বেদ আগমে গায়
চিদানন্দ রূপ পূর্ণ ব্রহ্ম হয়
জন্ম-মৃত্যু যার
নাই ভবের ‘পর
তবু তো নয় স্বয়ং নন্দলালা।
দরবেশের দেল-দরিয়া অথাই
অজান খবর সেই জানে ভাই
ভজ দরবেশ
পাবি উপদেশ
লালন কয়, তার উজ্জ্বল হৃদ-কমলা।।

————  

লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১৭৯-৮০; লালন-গীতিকা, পৃ. ৬০ (অন্তরার ৪র্থ চরণে ‘মহাসংকর্ষণ’ স্থলে ‘মহা-আকর্ষণ’ কথান্তর আছে।); বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ১০৬ কথান্তর :

অনাদির আদি
শ্রীকৃষ্ণনিধি
তার কি আছে কভু গোষ্ঠখেলা।
ব্রহ্মরূপে সে
অটলে বসে।
লীলাকারী তার অংশকলা।
সত্য সত্য সরল বৃহদাগমে কয়
সচ্চিদানন্দ রূপ পূর্ণ ব্ৰহ্ম হয়
জন্ম-মৃত্যু যার।
নাই ভবের ‘পর
সে তো নয় স্বয়ং কভু নন্দলালা।
পূর্ণচন্দ্র কৃষ্ণ রসিক সেজন
শক্তিতে উদয় শক্তিতে সৃজন
মহাভাবের সর্বচিত্ত আকর্ষণ
বৃহদাগমে তারে বিষ্ণু বলে।।– বাউল কবি লালন শাহ, পৃ. ৩০১-০২

ভাবসমৃদ্ধ এই গানের ছন্দ-সৌন্দর্য ও সুর-কাঠামো অতুলনীয়। বাংলা ‘ল’ কোমল ধ্বনি দিয়ে অন্ত্যমিল রচনা করা হয়েছে। ছোট ছোট চরণেও মিল রক্ষা করে ধ্বনি-চেতনার ও ছন্দ-লালিত্যের পরিচয় দিয়েছেন।

<

Lalon Fakir ।। লালন ফকির