হুফার, মরগান বললেন, এসব নিয়ে কি এখানেই কথা বলতে হবে? দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। অস্বস্তিতে পড়ে গেছেন, মুখ দেখেই অনুমান করা যায়। ইতিমধ্যেই লোক জমা আরম্ভ হয়েছে। কৌতূহলী চোখে তাকাচ্ছে দুজনের দিকে।

জনতার ভিড়ে সামিল হলো কিশোর আর রবিন।

চিৎকার করে বলছে তখন হুফার, কে জানি ঢুকেছিল আমার ঘরে! আমার কাপড় কেটেছে, চিরে ফালাফালা করেছে সমস্ত ছবি!

গুঞ্জন উঠল সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে।

ও কাজ কে করতে যাবে? মরগানের প্রশ্ন।

সেটাই তো জানতে চাইছি আমিও। তোমার সিকিউরিটি কোথায়? এটা কি ধরনের সম্মেলন হলো?

আর্টিস্টকে শান্ত করার চেষ্টা করলেন মরগান, তোমার অবস্থা বুঝতে পারছি। যদি যেতে চাও…

যেতে চাইব? গলা আরও চড়ল হুফারের। আমি যেতে চাই না। আমি চাই ওই লোকটাকে। আপনি জানেন, কি করে আমার জিনিসগুলো নষ্ট করেছে সে! আমি এখানে টাকা রোজগারের জন্যে এসেছিলাম এবং সেটা করেই ছাড়ব আমি। তার জন্যে যা কিছু করতে হয় করব।

দুপদাপ পা ফেলে চলে যাওয়ার সময় ঘুরল সে। আমাকে প্রয়োজন হলে কনভেনশন ফ্লোরে খোঁজ করবেন।

ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল জনতা। গুঞ্জন করছে। মরগানের পাশে এসে দাঁড়াল কিশোর আর রবিন।

মাথা নাড়ছেন তিনি। দেখলেন কাণ্ডটা? কমিক বুকের আর্টিস্টেরও কত দাপট? শ্রাগ করলেন। হুফারের এখানে আসার উদ্দেশ্য ছবি বিক্রি করা। সেটা করতে না পারলে হোটেলের ভাড়া নিয়েই বিপদে পড়ে যাবে।

মাথা ঝাঁকাল কিশোর। টাকার প্রয়োজন অনেক সময় মানুষকে চুরি করতে বাধ্য করে। আরও কয়েকজনের ব্যাপারে আমার আগ্রহ আছে, প্রশ্ন করতে চাই। সোনালি পোশাক পরা মেয়েটা কে?

হাসলেন মরগান। ও, মিরিনা জরডানের কথা বলছ? মেয়েটা যথেষ্ট চালাক। সম্মেলনে এই প্রথম যোগ দিয়েছে। স্বীকার করতেই হবে, স্টেলারা স্টারগার্লের চমৎকার নকল ওই মেয়েটা। স্টার বানাতে চাইছে ওকে ওর মা।

টেবিলে বসা ওই লোকটা কে? জিজ্ঞেস করল কিশোর।

ওর নাম নীল বোরাম। হিরোয়িক কমিকসের সিনিয়র এডিটর। স্টেলারা স্টারগার্ল ছাপে ওরাই। মিসেস জরডান মেয়ের চেয়ে আরও চালাক, করিতকর্মা। কোন কাজে কাকে ধরতে হবে খুব ভাল জানে। দুই মাসের মধ্যেই কোন কমিক বইয়ের মলাটে যদি মিরিনার হাসি হাসি মুখ জ্বলজ্বল করে, অবাক হব না। কিছুটা হতাশ ভঙ্গিতেই মাথা নাড়লেন মরগান। সব মহলের লোকের সঙ্গে জানাশোনা আর খাতির মহিলার। আমার জন্যে যদি কাজ করত, ভাল হত।

পকেটে হাত দিলেন মরগান। ওদের সঙ্গে পরিচয় করতে চাইলে আজ রাতের পার্টিতে এসো, খাওয়া-দাওয়াও হবে। বাড়তি কয়েকটা টিকেট আছে। এই যে নাও, এটা তোমার… রবিনকে দিলেন তিনি। কিশোরকে একটা দিয়ে বললেন, এটা তোমার, আর এই এটা তোমাদের আরেক বন্ধুর জন্যে। হাসলেন। তোমাদের ভেজা বন্ধু।

একটু থেমে যোগ করলেন, পার্টিতে ভিড় হবে খুব। অনেক সময় ধরে চলবে, অনেক রাত পর্যন্ত। তবে অসুবিধে নেই। তোমাদের জন্যে ঘর রেখে দেব আমি, ঘুমাতে পারবে।

ঘড়ি দেখলেন তিনি। এবার যেতে হয়। সাংবাদিকদের কাছে ফ্যান গেস্ট অভ অনারদের পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

প্রায় ছুটে চলে গেলেন মরগান।

ফ্যান গেস্ট অভ অনারটা কি বলো তো? জিজ্ঞেস করল রবিন।

মাথা নাড়ল কিশোর। জানি না। বুঝতে পারছি না সাংবাদিক কেন দরকার মরগানের। নিজে নিজেই তো অনেক কিছু করে ফেলেছেন।

এখন আমাদের কাজটা কি?

চলো, ওপরে যাই। তারপর মুসাকে নিয়ে বাড়ি যাব। শুকনো কাপড় দরকার ওর। আর রাতে আমাদেরকেও অন্য পোশাক পরে আসতে হবে। ব্যাংকোয়েট পার্টিতে এই জিনস আর টি-শার্টে চলবে না।

এখনও শুকায়নি মুসার কাপড়, ভেজা রয়েছে। আর কোন উপায় নেই। ওগুলোই পরল সে। গাড়িতে এসে উঠল তিনজনে।

রকি বীচের দিকে চলতে চলতে কিশোর জিজ্ঞেস করল, বলো তো, কাকে বেশি সন্দেহ হয় তোমাদের?

অবশ্যই আইজাক হুফার, রবিন বলল।

কেন?

সামনের সীট থেকে কিশোরের দিকে ফিরে তাকাল রবিন। ওর নিজের ছবি নিজেই পোড়ানোর দৃশ্যটা মন থেকে তাড়াতে পারছি না আমি। মনে হল যেন জোর করে কিছু প্রমাণের চেষ্টা করছে। এবং আমরা জানি, ফ্যান ফান বইতে তার আঁকা ছবিগুলো চুরি গেছে।

এটা একটা পয়েন্ট, একমত হলো কিশোর।

তারপর রয়েছে আরেকটা ব্যাপার, টাকাপয়সার টানাটানি আছে ওর। কারণ ওর ছবিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে দেখে সাংঘাতিক হতাশ হয়ে পড়েছে, আচরণেই বুঝিয়ে দিয়েছে সেটা। অথচ একশো ডলার দিয়ে ছবিটা কিনে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলল! নষ্ট করল কেন অতগুলো টাকা? অদ্ভুত নয় এসব আচরণ?

বেশ, কিশোর বলল। ধরা যাক, হুফারই আমাদের চোর। কিন্তু তার ঘরের জিনিসপত্র তছনছের ব্যাপারটা কিসের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো যায়?

বলতে পারছি না। অনেকগুলো ঘোরপ্যাচ রয়েছে পুরো ব্যাপারটাতে। একবার মনে হচ্ছে হুফারই সব কিছুর হোতা, আবার মনে হচ্ছে তা হতে পারে না। তাহলে তার ঘরে লোক ঢুকে জিনিস নষ্ট করে কেন? তাছাড়া সে চুরি করে থাকলে তার ঘরে চোরাই মালগুলো নেই কেন? প্রমাণ যাতে না থাকে সেজন্যে অবশ্য সরিয়ে রাখতে পারে অন্য কোথাও। আরও একটা কথা ভাবছি, লাল আলখেল্লা পরা জীবন্ত ক্রিমসন ফ্যান্টম আর মুসাকে যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে, ফ্রগ মিউট্যান্ট, একই লোক নয় তো? আর সেই লোকটা কি আইজাক হুফার?

তা হতে পারে না, ড্রাইভিং সিট থেকে বলল মুসা। হুফারের শরীরের গঠন  আর ব্যাঙটার গঠনে তফাত আছে। এক রকম নয়।

এই ক্রিমসন ফ্যান্টমের রহস্যটায় আরও লোক জড়িত রয়েছে, কিশোর বলল। এই যেমন, ডিকসন আর বোরাম। পেছনের সীটে হেলান দিল সে।

একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছ, একজন আরেকজনের ব্যাপারে কেমন পরস্পর বিরোধী কথাবার্তা বলছে? ডুফার ভাবে হুফার একজন জিনিয়াস। ডিকসন ভাবেন পাগল, আর মরগান দুঃখ করেন তার জন্যে। ডিকসন নিজেকে ব্যবসায়ী ভাবেন, অথচ হুফার আর ডুফার বলে লোকটা একটা শয়তান।

হেসে উঠল রবিন। হুফার ভাবে সে কমিকের সংস্কারক, দামি কমিকগুলো বাঁচার চেষ্টা করছে। কিন্তু ডিকসন আর মরগান ভাবছেন, সে কেবল একটা কাজেই পটু, গোলমাল বাধানো। এক সেকেন্ড ভাবল সে। বোরামের ব্যাপারটা কি? আমার তো মনে হয় না কেউ ওকে পছন্দ করে। ডুফার তাকে ঘৃণা করে, কারণ তাকে ঠকিয়েছে এডিটর। হুফারের বিশ্বাস, ক্রিমসন ফ্যান্টমের বারোটা বাজিয়েছে বোরাম। ডিকসনও দেখতে পারেন না। কমিক কেনার জন্যে এত চাপাচাপি করেও তাকে রাজি করাতে পারেনি লোকটা।

যে বইটা সে কেনার এত চেষ্টা করল, সেটাই চুরি হয়েছে, এতে কি কিছু প্রমাণিত হয়? মুসার প্রশ্ন।

হয়, জবাব দিল কিশোর। তাকে সন্দেহ হয়। তোমার ওপর হামলা চালিয়েছে বলেও সন্দেহ করতে পারতাম, যদি শরীরের গঠন মিলে যেত। বোরামকে দেখলে মনে হয় একটা বগা, ভুড়িওয়ালা বগা। আর তোমার ওপর যে হামলা চালিয়েছিল, সে স্বাস্থ্যবান লোক, পেশীবহুল শরীর।

গাড়ির ছাতের দিকে তাকিয়ে ভুরু কোঁচকাল কিশোর। তার সন্দেহের তালিকায় মিরিনা জরডানকেও যোগ করতে চাইছে। কিন্তু মেলাতে পারছে না। ডিকসনের সঙ্গে যখন দরাদরি করছে কিশোর, তখন স্টলের পাশ দিয়ে হেঁটে গিয়ে কি অপরাধ করেছে মিরিনা?

অপরাধ জগতের এটা একটা পুরানো কৌশল। সুন্দরী একটা মেয়েকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দিয়ে লোকের নজর সেদিকে আকৃষ্ট করা, এবং সেই সুযোগে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত করে অপরাধটা ঘটিয়ে ফেলা।

কিন্তু মিরিনাকে এই অপরাধের সঙ্গে জড়াতে ভাল লাগছে না কিশোরের। ও এতে জড়িত না থাকলেই সে খুশি হয়।

কেসটা বড়ই অদ্ভুত, অবশেষে বলল কিশোর।

মাথা ঝাঁকাল কিশোর। ডিকসন একটা কথা ঠিকই বলেছেন, সংগ্রহ-টংগ্রহ যারা করে, ওই মানুষগুলোর মাথায় আসলেই কিছুটা ছিট আছে। নইলে কমিক বুক জোগাড়ের মত একটা ছেলেমানুষীতে এত আগ্রহ কেন?

ঠিক, শুকনো গলায় বলল রবিন। চালাক হলে তো ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র জোগাড়ের মত বড়মানুষীই করত। কম্পিউটার নিয়ে পাগল হত। হাসিটা চওড়া হল তার। কিংবা পুরানো গাড়ি নিয়ে।

মুসা কিছু বলল না। তবে কিশোর টিটকারিটা হজম করল না। খোঁচা দিয়ে বলল, হ্যাঁ, কিছু কিছু মানুষের মেয়ে দেখলে পাগল হয়ে যাওয়ারও একটা বাতিক আছে।

কেসের ব্যাপারে আলোচনার আপাতত এখানেই ইতি ঘটল।

রকি বীচে পৌছে ইয়ার্ডের কাছে কিশোরকে নামিয়ে দিল মুসা।

ভেতরে ঢুকে অফিসের বারান্দায় চাচা-চাচীকে বসে থাকতে দেখল কিশোর। তাদেরকে জানাল, রাতে বাড়ি ফিরবে না। হোটেলে থাকবে। কাজ আছে। রাশেদ পাশা কিছুই বললেন না। মেরিচাচী জানতে চাইলেন, কাজটা কি। জানাল কিশোর, অবশ্যই অনেক কিছু গোপন করে, ঢেকেঢুকে। তারপর চলে এল নিজের ঘরে। পোশাক পাল্টানোর জন্যে।

আধ ঘণ্টা পরেই ইয়ার্ডে এসে পৌঁছল অন্য দুই গোয়েন্দা। পোশাক পাল্টে এসেছে। বাইরে রাত কাটাতে হবে, তাই ব্যাগে করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে এসেছে। মুসার ইমপালাতে করেই চলল ওরা, কোস্ট হাইওয়ে ধরে। মুসাকে সান্তা মনিকা হয়ে যেতে বলল কিশোর।

কেন? জানতে চাইল মুসা।

ম্যাড ডিকসনের স্টলে লেখা রয়েছে, তার দোকানটা সান্তা মনিকায়, দেখনি? কিশোর বলল, ফোন বুক দেখে ঠিকানা জেনে নিয়েছি। পথেই পড়বে, বেশি ঘুরতে হবে না আমাদের। দেখেই যাই কি ধরনের বই বিক্রি হয় ওখানে।

ম্যাড ডিকসনের কমিক এমপারিয়ামটা রয়েছে পিকো বুলভারে। বাণিজ্যিক এলাকার একধারে একটা সাধারণ দোকান। দুপাশে আরও দুটো দোকান, দুটোরই করুণ চেহারা, ব্যবসা ভাল না বোঝাই যায়। একটাতে বেতের তৈরি আসবাব বিক্রি হয়, আরেকটাতে নানা ধরনের ভ্যাকিউয়াম ক্লিনার।

ডিকসনের দোকানটায় রঙের ছড়াছড়ি। ডিসপ্লে উইনডোগুলোর কাছে সঁটানো রয়েছে রঙ-বেরঙের ছবি, সবই কোন না কোন কমিকের বিচিত্র হিরোর। দরজার কাছে লাগানো রয়েছে স্টেলারা স্টারগার্লের বিশাল এক ছবি। দেখতে হুবহু মিরিনা জরডানের মত। কিংবা বলা যায় মিরিনাই দেখতে স্টেলারার মত।

বাহ, সবুজ একটা ভ্যানের পাশে গাড়ি রাখতে রাখতে বলল মূসা, দেখো, কে এসেছেন!

গাড়ির গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ডিকসন। দরজার দিকে নজর। দুটো ছেলে কমিক বইয়ের দুটো ভারি বাক্স নিয়ে বেরোচ্ছে। বোঝার ভারে কুঁজো হয়ে গেছে।

গাড়ি থেকে বেরিয়ে ডাকল কিশোর, মিস্টার ডিকসন?

আরে, তোমরা, এলোমেলো চুলে আঙুল চালালেন ম্যাড। হাতে একগাদা কমিক।

স্টলে বিক্রির জন্যে নিয়ে যাচ্ছেন বুঝি, কিশোর বলল আলাপ জমানো ভঙ্গিতে। শূন্য জায়গা ভরবেন, চোরে যেগুলো খালি করে দিয়েছে?

হ্যাঁ, হাতের কমিকগুলোর দিকে তাকিয়ে জবাব সিন ডিকসন। তারপর মুখ তুলে হাসলেন। শুনলাম, বাতাসে ওড়ার কায়দা শিখে ফেলেছ? তিন তলা থেকে চত্বরে না পড়ে গিয়ে পড়েছ সুইমিং পুলে? মাথা দুলিয়ে বললেন, তোমরা গোয়েন্দাগিরির সঙ্গে সঙ্গে এসবও প্র্যাকটিস করো নাকি?

ডিকসনের হাতের দিকে তাকাল কিশোর। সবচেয়ে ওপরে কমিকের ছবি দেখল। ফ্যান ফান নাম্বার ওয়ানের আরেকটা কপি। প্রাইস স্টিকারটায় দৃষ্টি আটকে গেল তার। দাম লেখা রয়েছে দুশো পঞ্চাশ ডলার।

ঠিক এরকম একটা কমিকই চুরি হয়েছে দেখেছি, কিশোর বলল। এটার দাম তো অনেক কম। নীল বোরামের কাছে অনেক বেশি চেয়েছিলেন?

ওটা একটা বিশেষ বই ছিল… বলতে গিয়ে থেমে গেলেন ডিকসন। কিশোরের চোখের দিকে তাকালেন। আমাকে এসব প্রশ্ন কেন? বরং ওই চোরটাকে ধরার চেষ্টা করা উচিত তোমাদের।

তা-ই তো করছি। তদন্ত চালাচ্ছি আমরা। জানেন বোধহয়, তদন্ত করতে গেলে অনেক প্রশ্ন করতে হয়।

ভুল লোককে করছ। আমার লোক তোমাদেরকে রেস্টুরেন্টে হুফারের সঙ্গে দেখেছে। শোনো, ওই লোকটাকে পাত্তা দিও না। ওর কথাও শুনো না। হুফার আর ডুফারের মত মানুষের সঙ্গে কারও মেশাই উচিত না। বাজে স্বভাব। ওদের মতই কমিক সংগ্রহ দিয়ে জীবন শুরু করেছিলাম আমিও। কিন্তু আস্তে আস্তে পেশা হিসেবে নিয়ে নিলাম কাজটাকে, ব্যবসা শুরু করলাম। ভালই করছি এখন। ওদের মত শয়তানি করে কাটাচ্ছি না।

ভ্রূকুটি করলেন ম্যাড। এমন সব কাণ্ড করে ওরা, এমন সব ফালতু কারণে রাগ পুষে রাখে, যেগুলোর কোন মানেই হয় না। একবারও ভেবে দেখে না কমিক ডিলার আর কমিকের দোকানদাররাই ওদের বাঁচিয়ে রেখেছে। যেমন হুফার, তেমনি ডুফার। আমাদের মত ব্যবসায়ীদের কষ্ট দিতে পারলেই যেন ওদের যত আনন্দ।

আনমনে নিচের ঠোঁটে চিমটি কাটল কিশোর। ম্যাডকে কষ্ট দেয়ার জন্যে কি চুরি করতেও পিছপা হবে না ওরা?

<

Super User