কিছুক্ষণ থেকেই ইঞ্জিনের শব্দ কানে আসছিলো কিশোরের। বিমানটা আসছে ভেবে বার বার আকাশের দিকে তাকিয়েছে। কিছুই চোখে পড়েনি। কারনেসকেও চঞ্চল হয়ে উঠতে দেখেছে। কয়েকবার করে পাথরের ওপর থেকে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়েছে।

আরও বাড়লো শব্দ। সাগরের দিকে চোখ পড়তেই দেখতে পেলো ওটাকে। পুব আকাশে তখন ভোরের আলোর আভাস। আকাশ দিয়ে নয়, জলপথে ছুটে আসছে বিমানটা। ট্যাক্সিইং করে।

এইবার আর স্থির থাকতে পারলো না কারনেস। একজনকে পাঠালো জাহাজে, কিসের শব্দ দেখে আসার জন্যে। দরকার হলে যেন মাস্তুলে চড়ে দেখে, সেকথাও বলে দিলো।

দাঁড় বাওয়ার জন্যে আরেকজন নাবিককে সঙ্গে করে রওনা হলো লোকটা। লংবোট নামিয়ে তাতে চেপে বসলো। কয়েক মিনিটেই পৌঁছে গেল জাহাজে। মাস্তুলে ওঠা আর লাগলো না তার। জাহাজের ডেক থেকেই দেখতে পেলো বিমানটাকে। চেঁচামেচি শুরু করে দিলো। আঞ্চলিক ভাষায় চেঁচিয়ে জানালো কারনেসকে কি দেখতে পেয়েছে।

নৌকা নিয়ে আসার নির্দেশ দিলো কারনেস। ফিরে এলো লংবোট। তাড়াতাড়ি দলবল নিয়ে গিয়ে তাতে চাপলো কারনেস। জাহাজে গিয়ে উঠলো। দূরবীন দিয়ে ভাল করে দেখলো বিমানটাকে। পেছনের ক্যানুতে বসা লোকগুলোকেও দেখলো। প্রমাদ গুণলো সে। বুঝতে পারলো সামনাসামনি লড়াইয়ে পারবে না ওদের সঙ্গে। তাড়াতাড়ি জাহাজ ছাড়ার নির্দেশ দিলো সে।

লেগুনের মুখের কাছে যাওয়ার আগেই পৌঁছে গেল বিমানটা। নারকেল গাছ থেকে নামলো না কিশোর আর সাগরের হাসি। ওখানে বসে বসেই সমস্ত ঘটনা দেখতে লাগলো।

তার পরের ঘটনা সংক্ষিপ্ত। গুলি করতে করতে জাহাজের দিকে এগিয়ে এলো বিমান। কারনেস এতই ভয় পেয়ে গেছে, গুলি চালানোর কথাও যেন ভুলে গেল। তার লোকেরা গিয়ে ঢুকেছে জাহাজের খোলে। আদিবাসীদের যুদ্ধের সাজই ঘাবড়ে দিয়েছে ওদেরকে। তাছাড়া জেনে গেছে অনেকগুলো আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বিমানে। শুধু কারনেসের একটা রাইফেল আর একটা পিস্তল দিয়ে ঠেকানো যাবে না ওদেরকে। তাছাড়া লোকবলও বেশি বিমানের। ফলে যা করার তাই করেছে ওরা। লুকিয়েছে গিয়ে।

জাহাজের কাছে চলে এলো বিমান। দড়ি খুলে ক্যানুটাকে নিয়ে গিয়ে জাহাজের গায়ে ভেড়ালো আদিবাসীরা। উঠে গেল জাহাজে।

মিনিট কয়েক পরেই দেখা গেল, ডেকে তুলে আনা হয়েছে কারনেসের গলাকাটা ডাকাতদের। হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হলো।

কিন্তু পালের গোদাটা গেল কোথায়? খুঁজছে কিশোরের চোখ। দেখতে পেলো। জাহাজের পাশের একটা দড়ি ধরে ঝুলে রয়েছে, পেছন দিকটায়। পানির একেবারে কাছাকাছি। তবে বেশিক্ষণ বাঁচতে পারলো না। আদিবাসীদের চোখে পড়ে গেল।

ধর! ধর! কলরব উঠলো। দড়ি থেকে হাত ছেড়ে দিলো কারনেস। পড়লো পানিতে। সাঁতরাতে শুরু করলো তীরের দিকে।

এই সময় পাখনাটা ভেসে উঠতে দেখলো কিশোর। লেগুনের পানি কেটে দ্রুত ছুটে চলেছে ত্রিকোণ পাখনাটা, পালের মতো উঁচু হয়ে আছে। হাঙর! ছুটে যাচ্ছে কারনেসের দিকে। যেন ওরই জন্যে অপেক্ষা করছিলো এতোক্ষণ ওটা। তাহলে কিশোররা যখন পানিতে নেমেছিলো তখন ছিল কোথায়? নিশ্চয় গুহার ভেতরে, ভাবলো কিশোর, এর আর কোন ব্যাখ্যা থাকতে পারে না।

চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রয়েছে কিশোর।

জাহাজে যারা রয়েছে তারাও দেখতে পেয়েছে। একসঙ্গে হৈ চৈ করে উঠলো ওরা। অনেক পরে দেখতে পেলো কারনেস! আতঙ্কে বিকট চিৎকার করে উঠলো। তাড়াতাড়ি হাত পা ছুড়ে তীরে পৌঁছার চেষ্টা করলো। কিন্তু দেরি হয়ে গেছে। তীর অনেক দূর।

তার কাছে চলে এসেছে হাঙরের পাখনা। ডুবে গেল। পরক্ষণেই ঝটকা দিয়ে নিচে ডুবে গেল কারনেসের মাথা। আবার ভাসলো। চিৎকার করে উঠলো। আবার ডুবলো। ভাসলো। চিৎকার। ডুবলো।

অপেক্ষা করে রয়েছে দর্শকেরা। কিন্তু আর ভাসতে দেখা গেল না তাকে।

উচিত সাজা হয়েছে! পাশের গাছ থেকে বললো সাগরের হাসি। কিশোর কিছু বলতে পারলো না। তাকিয়ে রয়েছে পানির দিকে। কারনেসের মত লোকেরও এই পরিণতি মেনে নিতে পারছে না সে। ভীষণ খারাপ লাগছে।

হৈ হৈ করে উঠল জাহাজে দাঁড়ানো আদিবাসীরা। চেঁচিয়ে বলছে, ঠিক হয়েছে। উচিত সাজা হয়েছে! শয়তানটাকে খেয়েছে ম্যাকো!

বন্দিদেরকে লংবোটে নামাতে শুরু করলো ওরা। ওদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারলো না কিশোর। সব কজনকে নামিয়ে নিজেরাও নেমে এলো ক্যানু আর লংবোটে। একজন বাদে। সে চলে গেল নিচে।

একটু পরেই বুঝতে পারলো, কেন জাহাজটা থেকে সবাইকে নামিয়ে আনা হয়েছে। শেষ লোকটাও বেরিয়ে এসে তাড়াহুড়া করে নৌকায় নামলো। সরে আসতে লাগলো দুটো নৌকাই। ক্যানু থেকে চেঁচিয়ে কিছু বললো ঝিনুক। বিমানটাও সরে আসতে লাগলো জাহাজের কাছ থেকে।

কারণটা বুঝতে পারলো এতক্ষণে কিশোর। ধোয়া দেখা গেল। জাহাজে। আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। গাছের মাথায় থেকেই চিৎকার করে বললো সে, ওমরভাই! জলদি! আগুন নেভাতে বলুন!

কিন্তু ইঞ্জিনের শব্দের জন্যেই বোধহয়, লোকের হট্টগোলের জন্যেও হতে পারে, তার চিৎকার কানে গেল না কারও। আগুন নেভাতে গেল না কেউ।

পিছলে গাছ থেকে নামতে গিয়ে দুই উরু ছিলে গেল কিশোরের। কেয়ারই করলো না। গোড়ায় নেমেই দিলো, দৌড়। সৈকতের কিনারে পৌঁছতে পৌঁছতেই আগুন ছড়িয়ে পড়লো অনেকখানি। ডেকের নিচে বোঝাই করা নারকেলের ছোবড়ায় নিশ্চয় আগুন লাগানো হয়েছে।

কিনারে এলে ডজকে যখন বোঝাতে সমর্থ হলো কিশোর, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। সমস্ত জাহাজে জড়িয়ে গেছে আগুন। ওটাতে এখন গিয়ে ঢোকা আর আত্মহত্যা করা সমান কথা।

অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে সেদিকে ডজ। তার চোখের সামনে পুড়লো জাহাজটা, ডুবে গেল, কিছুই করলো না সে। একেবারে চুপ। পাথরের মূর্তি হয়ে গেছে যেন। চেয়ে চেয়ে দেখলো তার অত সাধের মুক্তোগুলো নিয়ে তলিয়ে গেল জাহাজটা।

কিশোরের কানে বাজতে লাগল ডজের কথাঃ যেখান থেকে এসেছে সেখানেই ফিরে গেল মুক্তো, রাখতে আর পারলাম না।

পাশে এসে দাঁড়ালো সাগরের হাসি। এইমাত্র গাছ থেকে নেমে এলো।

নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্যাম্পের কাছে নারকেল গাছের ছায়ায় বসে কিশোরকে জানালো ওমর আর মুসা, কেন আসতে দেরি হয়েছে ওদের।

কিশোর বলতে লাগলো, সে কি করে মরতে মরতে বেঁচেছে।

খাইছে! শুনতে শুনতে বলে উঠলো মুসা। সাগরের হাসি না থাকলে তো…

হ্যাঁ, না থাকলে এতক্ষণে হাওরের পেটে চলে যেতাম। একটা মুহূর্ত চুপ করে রইলো কিশোর। কিন্তু এত কিছু করেও লাভ হলো না। যার জন্যে এসেছিলাম তা আর নিয়ে যেতে পারব না। আগুনে পুড়ে নিশ্চয় চুণাপাথর হয়ে গেছে সব মুক্তো।

দুঃখ করে লাভ নেই, যেন নিজেকেই সান্ত্বনা দিলো ওমর। মুক্তো তোলার জন্যে দরকার হলে আবার আসা যাবে, টাকাপয়সা জোগাড় করে। তবে যে অ্যাডভেঞ্চারটা হল, তাতেই আমি খুশি। এই একটিবার অন্তত আমার টাকা খোয়ানোর জন্যে একলা ডজকে দায়ী করতে পারছি না। হাসলো সে। নিষ্প্রাণ দেখালো হাসিটা।

কিসের কথা বলছেন? ভুরু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো সাগরের হাসি। একটু দূরে বসে ওদের কথা শুনছিলো।

মুক্তো। যেগুলো তুলেছিলাম, ওমর বললো। কিশোর বলছে, টিনটা পেয়ে গিয়েছিলো কারনেস। জাহাজে নিয়ে গিয়ে রেখেছিলো। পুড়ে সব নষ্ট হয়েছে। আর পাওয়া যাবে না।

না, হয়নি, সাগরের হাসি বললো।

হয়নি! একসাথে বলে উঠলো ডজ, ওমর আর দুই গোয়েন্দা।

না, হয়নি। আমি নিয়ে এসেছি।

নিয়ে এসেছ! ডজ বললো।

কিভাবে? জানতে চাইলো ওমর।

জাহাজে উঠলাম, বললো সাগরের হাসি। পালের নিচে লুকিয়ে রইলাম। কারনেস দলবল নিয়ে দ্বীপে গেল। একটু পরে ওদের চিৎকার শুনলাম, মুক্তোর টিনটা পেয়ে গেছে। ওটা নিয়ে ফিরে এলো জাহাজে। ডেকের একটা জানালা দিয়ে দেখলাম টিনটা কোথায় রাখছে কারনেস। ও ঘর থেকে বেরিয়ে এলে এক সুযোগে জানালা দিয়ে ঢুকে চট করে নিয়ে চলে এলাম ওটা।

কোথায় রেখেছ? উত্তেজনায় কাঁপছে ডজ।

লেগুনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি, শান্তকণ্ঠে বললো সাগরের হাসি।

চিৎকার করে উঠলো ডজ। শুনলে! কি বললো শুনলে! পানিতে ফেলে দিয়েছে। চুল খামচে ধরলো সে। এজন্যেই বুঝলে, এজন্যেই ফিরে এসেছিলো কারনেস। জাহাজ ছাড়লে কেবিনে গিয়ে টিনটা খুঁজে পায়নি। তার হয়তো সন্দেহ হয়েছে, দ্বীপে আরও কেউ আছে। যে টিনটা চুরি করেছে। সেটা নেয়ার জন্যেই ফিরেছিলো সে।

সবাই উঠে দাঁড়ালো। তাদের ভাবভঙ্গিতে অবাক হলো সাগরের হাসি। তাকাতে লাগলো একেক জনের মুখের দিকে। মুক্তো নিয়ে এরকম করে বিদেশী মানুষ, ব্যাপারটা খুব বিস্মিত করে তাকে।

হ্যাঁ, এই মুক্তোর জন্যেই ফিরে এসেছিলো কারনেস, বিড়বিড় করলো কিশোর।

আমারও তাই মনে হচ্ছে, সাগরের হাসিও একমত হলো।

তখন আমাকে বলনি কেন? বলার সময় পেলাম কোথায়? আর আর…

ব্যাপারটাকে অত গুরুত্ব দাওনি, এই তো?

কোথায় ফেলেছ ওটা? জানতে চাইলো ডজ।

দ্বিধা করলো সাগরের হাসি। আসুন, দেখাচ্ছি।

আবার উত্তেজনা দেখা দিলো অভিযাত্রীদের মাঝে। আদিবাসীদের অনুরোধ করলো ডজ, ক্যানুটা দিতে। সেটাতে করে চলে এলো লেগুনের সেইখানটায় যেখানে নোঙর করে ছিলো হোয়াইট শার্ক। সবাই নিচে তাকাতে শুরু করলো। ওপর থেকেই দেখতে চায় লেগুনের তলায় কোথায় পড়ে আছে মুক্তোর টিনটা। পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লো সাগরের হাসি। ডুব দিলো।

হাঙরটা যদি আসে? কিশোরের প্রশ্ন।

এলে ওটার কপালে দুঃখ আছে। মেয়েটার জন্যে ভাবছো তো। ভেবো না।

দাঁড় বেয়ে ওদের সঙ্গে এসেছে ছয়জন আদিবাসী। তাদের মুখের দিকে তাকালো কিশোর। মনে পড়লো রাটুনায় অকটোপাস শিকারের কথা। বুঝতে পারলো, হাঙরটার কাপালে দুঃখ আছে কেন বলছে ডজ। সাগরের হাসির সামান্যতম বিপদের সম্ভাবনা দেখলেই ছুরি হাতে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে ওরা।

ভেসে উঠলো মেয়েটা। ঝাড়া দিয়ে চুল থেকে পানি ফেললো। দেখেছি, বললো সে। মিনিট দুয়েক ক্যানুর ধার খামচে ধরে দম নিলো সে। তারপর লম্বা খাস টেনে গভীর পানিতে ফুসফুসটাকে বেশিক্ষণ ডুবে থাকার উপযুক্ত করে, আবার ডুব দিলো।

সবাই তাকিয়ে রয়েছে নিচের দিকে। টানটান উত্তেজনার মাঝে কাটতে লাগলো দীর্ঘ মুহূর্তগুলো। অবশেষে শেষ হল উত্তেজনা। ভাসলো আবার সাগরের হাসি। ডান হাতটা তুলে ধরলো। টিনটা বাড়িয়ে দিলো নৌকার দিকে।

প্রায় ছোঁ মেরে তার হাত থেকে টিনটা নিয়ে নিলো ডজ। খুলে ফেললো ডালা। ঝকঝক করে উঠলো মুক্তোগুলো। আছে! সবই আছে! উত্তেজনায় খসখসে হয়ে গেছে তার কণ্ঠ।

পুরো ব্যাপারটাই অবাস্তব লাগছে! ওমর বললো। এই অভিযানের পর কোন ঘটনাকেই আর অসম্ভব মনে হবে না আমার কাছে!

নৌকায় উঠলো সাগরের হাসি। হাঙরটা আসেনি। দেখাও যায়নি ওটাকে। হয়ত কারনেসকে দিয়ে ভূরিভোজের পর সাগরে বেরিয়ে গেছে। কিংবা আবার গিয়ে গুহায় ঢুকেছে ঘুমানোর জন্যে।

তীরে ফিরে এলো ক্যানু। টিনটা শক্ত করে ধরে রেখেছে ডজ। আর কোন ভাবেই এটাকে হাতছাড়া করতে চায় না।

আর থেকে কি হবে, ওমর বললো। রওনা হওয়া দরকার। রাতের আগেই ফিরে যেতে চাই রাটুনায়।

বিমানে এসে উঠলো অভিযাত্রীরা। সাগরের হাসি আর ঝিনুকও উঠলো ওদের সঙ্গে। দুটো নৌকাকে বাঁধা হলো এখন বিমানের লেজের সঙ্গে। এত বোঝা টেনে নিতে অসুবিধে তেমন হবে না ওটার, তবে গতি কমে যাবে। কমুক। ভাবলো ওমর। তার পরেও ঠিক সময়ে ফিরে যেতে পারবে রাটুনায়, যদি আর। ঝড়টড় না ওঠে। আকাশের দিকে তাকালো। ঘন নীল রঙ। মেঘের চিহ্নও নেই। সহসা আর হারিকেনের সম্ভাবনা নেই।

ইঞ্জিন স্টার্ট দিলো ওমর। চলতে শুরু করলো বিমান।

মিনিট পনের পরে উঠে দাঁড়িয়ে পেছনে ফিরে তাকালো কিশোর। নারকেলের পাতা দুলতে দেখলো বাতাসে। ধীরে ধীরে দিগন্তে মিলিয়ে গেল ওগুলো। ততক্ষণ চেয়েই থাকলো সে। অদ্ভুত এক বিষন্নতায় ভরে গেছে মন। ভাবছে আর কোনদিন দেখতে পাবে না দ্বীপটা।

আবার আসব, বিড়বিড় করলো কিশোর। আবার ফিরে আসব এ দ্বীপে!

তার কথাটা শুনে ফেললো ডজ। হাসলো। হ্যাঁ, এইই হয়। আশ্চর্য এক আকর্ষণ এসব দ্বীপের। কাছে টানে। কিছুতেই যেন এর মায়া কাটাতে পারে না মানুষ। বার বার ফিরে আসতে চায়।

***

<

Super User