শনিবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলো কিশোর। বৃষ্টি থামেনি, পড়েই চলেছে। তবে বৃষ্টি তাকে আলভারেজ র‍্যাঞ্চে যাওয়া ঠেকাতে পারতো না, যেতে পারলো না অন্য কারণে। ফোন করে রবিন আর মুসা জানালো, বাড়িতে জরুরী কাজ আছে, দুপুরের আগে আসতে পারবে না।

গেল মনটা খারাপ হয়ে। শেষে আর ঘরে বসে থাকতে না পেরে ভিজে ভিজেই গিয়ে ইয়ার্ডের কাজে সাহায্য করলো বোরিস আর রোভারকে।

দুপুরে খাবার পরে এলো রবিন আর মুসা। বৃষ্টি থামেনি, তবে হালকা হয়ে এসেছে। রেনকোট পরে এসেহে দুজনেই। কিশোরও পরে নিলো। সাইকেল নিয়ে আলভারেজ র‍্যাঞ্চে রওনা হলো তিনজনে। কাউন্টি রোড ধরে চললো। সাথে ম্যাপ নিয়ে নিয়েছে কিশোর, যাতে পাহাড়ের গলিঘুপচি দিয়ে যাওয়ার সময় পথ ভুল না হয়। আলভারেজ হাসিয়েনডার পোড়া ধ্বংসপ পেরিয়ে এসে সহজেই খুঁজে বার করলো প্রতিবেশী রডরিক হেরিয়ানোর বাড়িটা। অ্যাভোকাডোর ফার্ম করা হয়েছে ওখানে।

পুরানো ধাঁচের পুরানো বাড়ি। মস্ত গোলাঘর, তার পেছনে ছোট ছোট দুটো কটেজ। বৃষ্টির মধ্যেই কাঠ ফাড়ছে পিনটু, সেখানে হাজির হলো তিন গোয়েন্দা।

তোমার ভাই আছে ঘরে? কিশোর জিজ্ঞেস করলো।

আছে, এসো, কুড়ালটা হাত থেকে ফেলে দিলো পিনটু।

একটা কটেজে ঢুকলো ওরা। মাত্র দুটো ঘর, আর ছোট্ট রান্নাঘর। ফায়ারপ্লেসে তখন আগুন জ্বালছে রিগো। তিন গোয়েন্দাকে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে হাসলো। এসো এসো।

প্রফেসর সাইনাসের কথা বললো পিনটু আর রিগোকে কিশোর। বললো, তিনি বলেছেন করটেজ সোর্ডেরই খোলস ওটা।

পালাতে গিয়েও মারা পড়েননি পিউটো আলভারেজ, যোগ করলো মুসা।

পড়েননি এটা জোর দিয়ে বলা যায় না, শুধরে দিয়ে বললো রবিন, তবে কথাটা ঠিক না-ও হতে পারে এই আরকি।

কপি করে আনা দলিলগুলো দুই ভাইকে দেখালো কিশোর।

এতে আর নতুন কি বোঝা গেল? হাত ওল্টালো রিগো।

কেন, কিছুই সন্দেহ হচ্ছে না আপনার? ডন পিউটো পালাতে গিয়ে মারা পড়েছে বলে যারা রিপোর্ট করেছে, তাদেরকেই পরদিন থেকে পলাতক ঘোষণা করেছে আর্মি,

এটা সন্দেহজনক নয়? তিন তিনজন লোক একই সাথে পালালো!

হুঁ, মাথা দোলালো রিগো, আমার সন্দেহই তাহলে ঠিক। এখন তোমাদের বলি, তলোয়ারটা সাগরে পড়ে হারিয়ে গেছে, কথাটা বিশ্বাস হয়নি আমার। বুঝতে পারছি, ওরা তলোয়ারটা কেড়ে নিয়ে ডনকে খুন করে সাগরে ফেলে দিয়েছে। রিপোর্ট করেছে, পালাতে গিয়ে মারা পড়েছেন ডন। তারপর তলোয়ার নিয়ে পালিয়েছে তিনজনে।

হয়তো, কিশোর বললো। কিন্তু খোলসটার ব্যাপারে কি বলবেন? মূর্তির ভেতরে কে লুকিয়েছে ওটা? একমাত্র ডনের কথাই মনে আসে আমার। আমেরিকানদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যে একাজ করেছেন হয়তো তিনি। কোনো কারণে খোলসটা ওখানে লুকিয়ে তলোয়ার আর খাপটা আলাদা জায়গায় নিয়ে গেছেন।

তলোয়ারটা ডনের কাছে নিয়ে গেছে যে, সে-ও তো লুকাতে পারে, যুক্তি দেখালো রিগো।

এই আরেকটা রহস্য! দামী একটা তলোয়ার জেনেশুনে ওভাবে শক্রর গুহায় নিয়ে যাওয়া হলো কেন? ধরে নিলাম অস্ত্র দরকার ছিলো ডনের, একটা বন্দুক নিয়ে গিয়ে দিলেই তো আরও ভালো হতো। বন্দুকের বিরুদ্ধে তো বন্দুকই দরকার, তলোয়ার কেন? তা-ও আবার পাথর বসানো?

শ্রাগ করলো রিগো। পাথর ছিলোই তা কিন্তু শিওর না।

আমি কি ভাবছি, শুনুন। ডন পিউটোকে অ্যারেস্টই করেছিলো আমেরিকানরা কর্টেজ সোর্ডের জন্যে। হ্যাঁ, রবিন, প্রফেসর সাইনাস কি বলেছেন আমি জানি, রবিন মুখ খুলতে যাচ্ছিলো দেখে তাকে থামিয়ে দিলো কিশোর। ডন সেটা বুঝতে পেরে মূর্তির ভেতরে লুকিয়ে ফেলেন তলোয়ারটা, ধরা পড়ার আগেই। বন্দিশালা থেকে যখন পালালেন তিনি, তার পিছু নিলো সার্জেন্ট ডগলাস আর তার দুই করপোরাল। রিপোর্ট করে দিলো যে পালাতে গিয়ে গুলি খেয়ে তলোয়ারসহ সাগরে পড়ে গেছেন ডন। ডন বুঝতে পারলেন ওদের উদ্দেশ্য, পিছু যে নিয়েছে হয়তো টের পেয়ে গিয়েছিলেন। তলোয়ারটাকে নতুন আরেক জায়গায় লুকালেন তিনি। খোলসটা মূর্তির মধ্যেই রেখে দিলেন ওদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে।

তারপর ডনের কি হলো? প্রশ্ন করলো রিগো।

আমি জানি না।

কিছু না জেনেই একটা গল্প বানিয়ে বলে দিলে তুমি, কিশোর পাশা, ধীরে ধীরে মাথা নাড়তে লাগলো রিগো। ধরলাম তোমার কথা সত্যি, মানে ডনের পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা, আর তলোয়ারটাও তিনি লুকিয়েছেন। কোথায়? আর কিভাবে সেটা খুঁজে বের করবে?

ডনের চিঠিটা দেখাও তো কিশোর, রবিন বললো।

চিঠির কপি বের করে রিগোর হাতে দিলো কিশোর। এটার অনুবাদ করুন। রবিন, লিখে নাও।

চিঠিটা একবার দেখেই রিগো বললো, এই চিঠি আমি দেখেছি। আমার দাদা এটা বহুবার পড়েছে, হারানো তলোয়ারের সূত্র খুঁজেছে, কিছুই পায়নি। ঠিক আছে, আমি অনুবাদ করছি, লিখে নাও। কনডর ক্যাসল, তেরো সেপ্টেম্বর, আঠারোশো ছেচল্লিশ। মাই ডিয়ার স্যানটিনো, আশা করি কুশলেই আছো, আর তোমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে খাঁটি মেকসিকানের মতো। ইয়াংকিরা এসে ঢুকেছে আমাদের হতভাগ্য শহরে, আর আমি গ্রেপ্তার হয়েছি। কেন ধরা হয়েছে আমাকে, বলেনি ওরা তবে আন্দাজ করতে পারছি, বুঝলে? সাগরের কাছে ক্যাবরিলো হাউসে আমাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে, কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না আমার সঙ্গে। আমাদের পরিবারের সাই, এবং সবকিছু ভালো আছে, নিরাপদে আছে। জানি, শীঘ্রি, জয় আমাদের সুনিশ্চিত।

নোটবুকে লিখে নিয়েছে রবিন। দ্রুত একবার পড়লো। বললো, কেন ধরা হয়েছে আন্দাজ করতে পেরেছেন তিনি। তলোয়ারটার জন্যেই কি?

এবং সব কিছু বলে উঠলো মুসী। তারমানে কি স্যানটিনোকে বোঝাতে চেয়েছেন তলোয়ারটা নিরাপদে আছে?

দেখি, নোটবুকের জন্যে হাত বাড়ালো কিশোর। বললো, হয়তো। তবে একটা ব্যাপারে শিওর হয়ে গেলাম এখন, মিথ্যে কথা বলেছে সার্জেন্ট ডগলাস।

কি করে শিওর হলে? রিগো জানতে চাইলো।

রিপোর্টে বলেছে ডগলাস, যে তলোয়ার সহ পালাতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরেছেন ডন। তলোয়ারটা তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিলো একজন বন্ধু বা ওরকম কেউ। কিন্তু ডনের সঙ্গে কাউকে দেখাই করতে দেয়া হতো না, তাহলে কি করে দিলো তলোয়ার? তারমানে হাতে তলোয়ার পৌঁছেনি। বানিয়ে বলেছে ডগলাস, যাতে সবাই ভাবে তলোয়ারটা হারিয়ে গেছে। কেউ আর ওটার খোঁজ না করে। তাহলে নিশ্চিন্তে খুঁজতে পারবে সে।

চিঠির দিকে তাকিয়ে বললো, তোমার কথায় যুক্তি আছে, কিন্তু…

থেমে গেল একটা শব্দে। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। তার মাঝেই হলো আওয়াজটা, লাকড়ির ওপর লাকড়ি পড়ার। পরক্ষণেই শোনা গেল পায়ের শব্দ।

এই, দাঁড়াও। চেঁচিয়ে উঠলো একটা কণ্ঠ।

ঘর থেকে ছুটে বেরোলো তিন গোয়েন্দা, রিগো আর পিনটু। দেখলো গোলাঘরের ওপাশ দিয়ে একটা ঘোড়া দৌড়ে যাচ্ছে। সাদা চুল, ছোটখাটো একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন চত্বরে।

জানালায় আড়ি পেতে নছিলো, রিগোকে জানালেন তিনি। তোমার সঙ্গে কথা বলতে আসছিলাম, এই সময় দেখি আমার সাড়া পেয়েই লাফ দিয়ে নামতে গিয়ে পড়লো লাকড়ির ওপর। ঘোড়াটা রেখে দিয়েছিলো গোলার পেছনে।

লোকটা কে, চিনেছেন? পিনটু জিজ্ঞেস করলো।

মাথা নাড়লেন বৃদ্ধ। চোখে তো ভালো দেখতে পাই না, চিনতে পারিনি।

ভিজে যাচ্ছেন, ডন, বৃদ্ধকে খুব সম্মান দেখিয়ে বললো রিগো। ভেতরে চলে আসুন।

কটেজের ভেতরে এনে ফায়ারপ্লেসের কাছে বসালো সে। পরিচয় করিয়ে দিলো তিন গোয়েন্দার সঙ্গে। তাদের দিকে তাকিয়ে হেসে মাথাটা সামান্য নোয়ালেন ডন রডরিক হেরিয়ানো।

লোকটা কতোক্ষণ ছিলো, স্যার, বলতে পারবেন? কিশোর জিজ্ঞেস করলো।

কি জানি। আমি তো এইমাত্র এলাম।

কে হতে পারে? কিশোরের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো রবিন। আড়ি পেতে ছিলো কেন?

আমি কি করে বলি? কর্টেজ সোর্ডটার কথা শুনে ফেললো কিনা কে জানে!

শুনলে কি ক্ষতি হবে? মুসার প্রশ্ন।

সরাসরি জবাব দিলো না কিশোর। কললো, আমার মনে হয়, মিস্টার ডয়েল চান তলোয়ারটা আমরা খুঁজে বের করি। কাল শুঁটকি খুব আগ্রহ দেখাচ্ছিলো আমাদের সম্পর্কে। আমরা কি করছি বোঝার চেষ্টা করছে নিশ্চয়।

শুনলেও কিছু এসে যায় না, বিশেষ গুরুত্ব দিলো না রিগো। এমন কিছু শোনেনি। তলোয়ারটা কোথায় আছে সেকথা তো আর বলিনি আমরা।

আমি শিওর,আগের কথার খেই ধরে শুরু করলো আবার কিশোর, ডন পিউটো। জানতেন তিন সৈন্য তার পিছু নিয়েছে। তিনি সেটা লুকিয়ে ফেললেন। নিশ্চয়ই ছেলের জন্যে কোনো সূত্র রেখে গেছেন তিনি। চিঠিটাতে না থাকলে অন্য কোথাও। তবে চিঠিতেও কিছু না কিছু আছেই। বন্দি ছিলেন তিনি, বিপদের মধ্যে ছিলেন, সরাসরি কিছু লেখা সম্ভব ছিলো না। জানতেন, ওই চিঠিই ছেলেকে কিছু জানানোর শেষ সুযোগ।

আরেকবার করে চিঠিটা পড়লো ওরা। তিন গোয়েন্দা পড়লো অনুবাদ করা লেখাটা, আর দুই ভাই পড়লে কপিটা।

আমি কিছুই পেলাম না, হাল ছেড়ে দিলো মুসা। মাথা নাড়লো রিগো, আমিও না। এটা সাধারণ একটা চিঠি, কিশোর। সাংকেতিক কোনো কিছুই নেই।

এবং সব কিছু ভালো আছে, নিরাপদে আছে কথাটা ছাড়া, বললো পিনটু।

কিশোর? রবিন বললো হঠাৎ, তারিখের ওপরে হেডিং লেখা হয়েছে কনডর ক্যাসল, খেয়াল করেছো? রিগোকে জিজ্ঞেস করলো সে। আপনি জানেন এটা কি?

না, ধীরে ধীর বললো রিগো, হবে কোনো দুর্গ-টুর্গ। অনেকেই ওরকম লিখে থাকে। যেখানে থেকে লিখছে সেটার নাম।

কিন্তু, রবিন বললো, ডন চিঠিটা লিখেছিলেন ক্যাবরিলো হাউস থেকে।

আপনাদের সিয়েনডাটার নাম কখনও কি কনডর ক্যাসল ছিলো? কিশোর জিজ্ঞেস করল।

না, জবাব দিলো রিগো। এটার নাম সব সময়ই হাসিয়েনডা আলভারেজ।

তাহলে ওপরে ডর ক্যাসল লিখলেন কেন? ভুরু নাচালো মুসা। বিশেষ কোনো জায়গা না তো যেটা স্যানটিনো চিনতো?

সঙ্গে করে আনা ম্যাপটা খুললো কিশোর। বাই দেখার জন্যে ঝুঁকে এলো তার কাঁধের ওপর দিয়ে। কিছুক্ষণ দেখে জোরে একটা নিঃশ্বাস ফেলে আবার হেলান দিলো কিশোর। নো কনডর ক্যাসল! তারপর হঠাৎ কি মনে পড়াতে আবার তাকালো ম্যাপের দিকে। দাঁড়ান দাঁড়ান, এটা আধুনিক ম্যাপ! পুরানো হলে, মানে আঠারোশো ছেচল্লিশ সালের…

আমার কাছে একটা প্রানো মাপ আছে, বললেন ডন হেরিয়ানো।

ওটা আনার জন্যে বেরিয়ে গেলেন তিনি। অস্থির হয়ে তার জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলো সবাই। হলদে হয়ে আসা পুরানো একটা ম্যাপ নিয়ে এলেন হেরিয়ানো। ১৮৪৪ সালে তৈরি করা হয়েছিলো, অর্ধেকটা স্প্যানিশে লেখা, অর্ধেকটা ইংরেজিতে। ভালোমতো ম্যাপটা দেখলো রিগো আর কিশোর।

কিছুই নেই, নিরাশই মনে হলো রিগোকে।

না, একমত হলো কিশোর।

পরাজিত হয়েই যেন রেগে গেল রিগো। বোকামি হচ্ছে! বুঝলে, পাগলামি! আমি আগেই বলেছি ফ্যান্টাসি দিয়ে আমাদের র‍্যাঞ্চ বাঁচানো যাবে না…

আস্তে করে বললেন হেরিয়ানো, এছাড়া আর কি-ই বা করার আছে তোমার, রিগো? একটা খারাপ খবর জানাতে এসেছি তোমাকে, আমি টাকাটা ধার করে নিয়ে দিয়েছিলাম তোমাকে। আমার টাকা নয়। বললে তুমি নিতে না, তাই দেয়ার সময় বলিনি। এখন আর না বলে পারছি না। ওই লোক টাকা ফেরত দেয়ার জন্যে চাপ দিচ্ছে আমাকে। টাকা দিতে না পারলে মিস্টার ডয়েলের কাছে জায়গা তোমাকে বিক্রি করতেই হবে।

হিঁসিয়ে উঠলো মুসা, শুঁটকিটার গলায় এজন্যেই এতো জোর ছিলো কাল!

অনেক করেছেন আমার জন্যে, ডন, বিষণ্ণ কণ্ঠে বললো রিগো। কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো আপনাকে…

কি আর করতে পারলামশোনো, তুমি যেও না এখান থেকে। আমার কটেজেই থেকে যাও। খুব খুশি হবো।

আপাতত তো আছিই। জায়গা বিক্রি করে দিলে পরে কি করবো সে তখন দেখা যাবে।

উলেন হেরিয়ানো। বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলেন ঘর থেকে। চত্বরে কাদা হয়ে গেছে। বৃষ্টি থামেনি। মাথা নিচু করে হাঁটছেন বৃদ্ধ। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে রিগোও বেরিয়ে গেল। একটু পরেই লাকড়ি ফাড়ার শব্দ কানে এলো ছেলেদের।

সব গেল! দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো পিনটুর বুক চিরে।

না, কিছুই যায়নি! দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা করলো কিশোর। করটেজ সোর্ড আমরা খুঁজে রে করবোই।

হ্যাঁ, করবো। প্রতিধ্বনি করলো যেন রবিন।

নিশ্চয় করবো! সুর মেলালো মুসা। আমরা… আমরা খাইছে, কিশোর, কিভাবে কাজটা করবো আমরা?

কাল, কিশোর জবাব দিলো, যতো পুরানো ম্যাপ পাওয়া যাবে সবগুলো দেখবো আমরা। কনভর ক্যাসল একটা সূত্রই। কি বোঝাতে চেয়েছেন ডন, জানার চেষ্টা করবো। রকি বীচে পুরানো ম্যাপের অভাব নেই।

আমি তোমাদের সঙ্গে আছি! উত্তেজিত হয়ে প্রায় চেঁচিয়ে উঠলো পিনটু। মেলাও হাত!

হাসি ফুটলো চারজনের মুখেই।

<

Super User