আবার কল্পনা করছ তুমি, মুসা বলল। ও কিভাবে জানবে…?

ঘন্টার শব্দে থেমে গেল সে।

দরজা খুলে দিতে ঘরে ঢুকল এরিনা আর মলি। গিয়ে ওদেরকে এগিয়ে আনলেন কেরিআন্টি। কুশল বিনিময় করলেন। তারপর ওদেরকে বসতে দিয়ে চলে গেলেন শোবার ঘরে। নীল বাক্সটা বের করে এনে তুলে দিলেন এরিনার হাতে। কাঁপা কাঁপা হাতে ঢাকনা খুলল সে। হাঁ করে তাকিয়ে রইল মুক্তাগুলোর দিকে।

অনেকক্ষণ পর কথা ফুটল তার মুখে, অপূর্ব! বড়দিনের উপহারই আমি ধরে নেব এটাকে.দাম নিশ্চয় অনেক, তাই না?

তা তো নিশ্চয়, হেসে বলল কেরিআন্টি। যাআক, বা, যার জিনিস তার হাতে তুলে দিয়ে আমি বাঁচলাম। কি টেনশনেই না ছিলাম।

টেনশন তো হবেই। এটার পেছনে লোক লেগেছে জানেন যে, মুসা বলল। মিসেস কলিনস, রাতে চোর ঢুকেছিল এ-বাড়িতে। জিনা আর রাফি ওকে তাড়িয়েছে।

তাই নাকি? অস্বস্তি দেখা দিল এরিনার চোখে। এই হারের জন্যেই এসেছিল?

তাই তো মনে হয়। আর কিসের জন্যে আসবে? ব্যাপারটা খুলে বলল মুসা। চোর কোনখান দিয়ে ঢুকল, কিভাবে চেয়ার হাতড়াল, তারপর কিভাবে তাড়া খেয়ে পালাল, সব।

 

আমি জানি চোরটা কে? বলে উঠল জিনা। রবার্ট ম্যাকি।

জিনা, না জেনে কারও সম্পর্কে ওভাবে কথা বলা ঠিক না, বেশ একটু কড়া গলায়ই মেয়েকে বললেন মিসেস পারকার।

মা, না জেনে বলছি না, রেগে উঠল জিনা। এইমাত্র দেখে এলাম লোকটাকে, রাস্তায়। ছদ্মবেশে মিসেস কলিনসের পিছু পিছু এসেছে।

তোমার কল্পনা, আগের কথাই বলল আবার মুসা। ও কিভাবে জানবে মিসেস কলিনস কোথায় যাচ্ছেন?

তা বলতে পারব না, হাত ওল্টাল জিনা। তবে আমাদেরকে ওখানে যেতে দেখেছে, এখন আমি শিওর, কাল ওকেই দেখেছিলাম। তারপর নিশ্চয় ও-বাড়ির ওপর চোখ রেখেছে। মিসেস কলিনস বেরোতেই তার পিছু নিয়েছে।

ফ্যাকাসে হয়ে গেল এরিনার মুখ। তাহলে ভুল দেখিনি আমি!

ভুল দেখেননি মানে? আগ্রহী হয়ে উঠল কিশোর।

আমি…ইয়ে, মানে…লম্বা ওভারকোট পরা একটা লোককে দেখেছি, বাড়ি থেকে বেরিয়ে…পিছে পিছে এল, একই বাসে চড়ল, একই স্টপেজে নামল…চেহারা দেখতে পারিনি।

মুহূর্ত দেরি করল না আর মুসা। দৌড় দিল জানালার দিকে। কিশোর গেল পিছে। ব্যালকনিতে বেরিয়ে ভালমত চোখ বোলালো রাস্তায়। কিন্তু লোকটাকে চোখে পড়ল না।

রবিন এসে দাঁড়াল পাশে।

কেউ নেই, তার দিকে ফিরে বলল কিশোর। আবার সিটিং রুমে ফিরে এল তিনজনে।

চলে গেছে লোকটা, মুসা বলল। ইচ্ছে করে পিছু নেয়নি। এদিকেই আসছিল হয়ত কোন কাজে।

এখন তা আর মনে হয় না আমার, মাথা নাড়ল কিশোর। মিসেস কলিনসকেই অনুসরণ করেছে সে। জিনা কাল দেখেছে, আজও দেখেছে। মিসেস কলিনসও দেখেছেন। চোখের ভুল আর বলা যাবে না।

ব্যাটা লুকিয়ে পড়ল নাকি কোথাও? মুসা বলল। বেরিয়ে দেখব?

না, দরকার নেই, তাড়াতাড়ি হাত নাড়লেন কেরিআন্টি। লোকটা খারাপ। শেষে কি করে বসে!

শুনুন, এরিনাকে বলল কিশোর, এখন যত তাড়াতাড়ি পারেন, গিয়ে হারটা কোন ব্যাংকের ভল্টে রেখে দিন।

তাই করতে হবে। আমি যেখানে থাকি তার কাছেই একটা ব্যাংক আছে।

তাহলে সোজা ওখানে চলে যান। একা যেতে পারবেন তো? নাকি আমরা। আসব আপনার সাথে? বলা যায় না, আপনাকে একা দেখলে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে পারে ম্যাকি। তোক বেশি দেখলে সাহস, করবে না।

এলে তো ভালই হয়, খুশি হয়ে বলল এরিনা। তবে মিসেস পারকার যদি অনুমতি দেন।

গেলে যাক, আন্টি বললেন। তবে মনে হয় না কোন দরকার আছে। হাসলেন তিনি। ট্রেনে করে যান, তাতে বিপদের সম্ভাবনা থাকবে না। তাছাড়া হারটা যে আপনার কাছে আছে, তা-ও জানছে না কেউ। বিপদ ঘটবে কেন?

বাক্সটা ব্যাগে ভরল এরিনা। মিসেস পারকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে এল। ওদের সঙ্গে চলল তিন গোয়েন্দা, জিনা আর রাফিয়ান। রাস্তায় বেরিয়ে লোকটাকে খুঁজল ওরা। কোথাও দেখা গেল না ম্যাকিকে।

পাতালরেলের একটা স্টেশন রয়েছে কাছেই। সিঁড়ি বেয়ে প্ল্যাটফর্মে নেমে এল ওরা। রাফিয়ানকে এবারও ঝুড়িতে ভরে নেয়া হচ্ছে, তবে এটা আগেরবারের মত। আর ফোকর কাটা নয়। তাতে সুবিধের চেয়ে অসুবিধেই বেশি। এই ঝামেলা পোহাতে আর রাজি নয় কেউ।

ট্রেন আসার অপেক্ষায় নীরবে দাঁড়িয়ে রইল ওরা। উৎকণ্ঠায় ভুগছে এরিনা, কখন ব্যাংকে গিয়ে বাক্সটা রাখবে, তারপর নিশ্চিন্ত। তার আশেপাশে গোল হয়ে ঘিরে রেখেছে ছেলেমেয়েরা, বডিগার্ডের মত। মলির হাত ধরে রেখেছে রবিন। রাফিয়ানের ঝুড়ি মাটিতে নামানো।

ট্রেন এল। হাতে ব্যাগ আঁকড়ে ধরে প্ল্যাটফর্মের একেবারে কিনারে চলে এসেছে এরিনা। হঠাৎ পেছন থেকে ধেয়ে এল একটা লোক, এক থাবায় তার হাত থেকে ব্যাগটা কেড়ে নিয়ে, ধাক্কা মেরে তাকে প্রায় ফেলে দৌড় দিল। দুদিক থেকে এরিনাকে ধরে ফেলল.কিশোর আর মুসা, নইলে আরেকটু হলেই চলে যেত ট্রেনের চাকার নিচে।

যাত্রী নামছে, উঠছে, এই হুড়াহুড়ির মাঝে বেরোনোর পথের দিকে দৌড় দিল লোকটা। বেশির ভাগ মানুষই খেয়াল করল না ঘটনাটা, ট্রেনে উঠতেই ব্যস্ত ওরা। ঝুড়ির মুখ খুলে দিল জিনা। তাড়া করল লোকটাকে রাফিয়ান। পেছনে ছুটল মুসা।

দেখে মনে হয় ভবঘুরে ধরনের লোক, বুড়ো, রাফিয়ান তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তেই চিৎকার করে উঠল। পরমুহূর্তে তাকে ধরে ফেলল মুসা। কেড়ে নিল ব্যাগটা।

ডান হাতকে যেন বর্ম বানিয়ে মুখ আড়াল করতে চাইছে আতঙ্কিত লোকটা, বাঁ হাত কামড়ে ধরে ঝুলছে রাফিয়ান। এই সময় বেরিয়ে এল ষ্টেশনের একজন কর্মচারী। রাফিয়ানের কলার টেনে তাকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে করতে বলল, সর, সর বলছি! শয়তান কুত্তা! মানুষ দেখলেই কামড়াতে ইচ্ছে করে? মুসার দিকে তাকাল সে। তোমার কুকুর, না? দাঁড়াও, মজা বুঝবে। লোকের ওপর কুত্তা লেলিয়ে দাও…।

বোঝানোর চেষ্টা করল মুসা। শুনলই না লোকটা। হ্যাঁচকা টান মারল রাফিয়ানের কলার ধরে। সুযোগটা কাজে লাগাল ভবঘুরে। চোখের পলকে ছুটে গিয়ে মিশে গেল লোকের ভিড়ে। হারিয়ে গেল।

এই ছেলে, কি বলছি শুনছ? রেগে গিয়ে বলল কর্মচারী।

এই সময় এখানে এসে দাঁড়াল কিশোর, রবিন, জিনা। মেয়ের হাত ধরে এল এরিনা। এখনও কাঁপছে। মলির চোখে পানি।

আমার কুকুর ধরেছেন কেম! ছাড়ুন! রাগে চিৎকার করে উঠল জিনা। চোখের মাথা খেয়েছেন নাকি? দেখলেন না চোর ধরেছিল ও!

হ্যাঁ, ও-লোকটা আমার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালাচ্ছিল, এরিনা বলল। আরেকটু হলেই দিয়েছিল আমাকে ট্রেনের নিচে ফেলে। ছেলেময়েগুলো না, থাকলে কুকুরটা না থাকলে, শিউরে উঠল সে, কথা শেষ করতে পারল না।

মুসার কথা কানে না তুললেও এরিনার কথা বিশ্বাস করা কর্মচারী। খুলে পড়ল নিচের চোয়াল। প্রায় তোতলাতে শুরু করল, তা-তাই নাকি, ম্যাম! আআমি কি করে জানব, বলুন…।

তাগাদা দিল কিলোর, এখানে দাঁড়িয়ে বকবক করে লাভ নেই। জলদি চলুন, আগে গিয়ে ব্যাংকে রাখুন বাটা। তারপর নিরাপদ।

আবার ঝুড়িতে ঢোকানো হল রাফিয়ানকে। ট্রেন চলে গেছে। পরের ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করতে হল ওদের।  ট্রেনে কেউ আর কোন কথা বলল না। গন্তব্যে পৌঁছে বাইরে বেরোলো খুব সাবধানে। কিন্তু কাছেপিঠে সন্দেহজনক কাউকে চোখে পড়ল না।

কুইক! এরিনা বলল। পাশের গ্রীটেই আমার ব্যাংক।

হ্যাঁ হ্যাঁ, চলুন, জিনা বলল। আগে ব্যাংকে রাখুন হারটা। তারপর ম্যাকির ব্যবস্থা করছি।

ম্যাকি! আঁতকে উঠল এরিনা। বুড়োটাই ম্যাকি নাকি?

নিশ্চয়ই। ভবঘুরের হরবেশ নিয়েছে বটে, কিন্তু আমার চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি।

তারমানে, রবিন বলল, বাড়ি থেকে বেরোনোর পরই আমাদের পিছু নিয়েছে সে?

আমার তাই মনে হয়, কিশোর বলল। পথের ধারে একটা খবরের কাগজের দোকান আছে না, তার আড়ালেই বোধহয় লুকিয়েছিল। পোশাক-আশাক খুব একটা বদল করতে হয়নি। যাটটা মুচড়ে নষ্ট করেছে। হাতে, মুখে আর কোটে ধুলো লাগিয়েছে, যাতে মনে হয় নোংরা ভবঘুরে। সে ভেবেছিল মিসেস কলিনস একলা আসবেন, তাঁকে ফাঁকি দিতে অসুবিধে হবে না।

ধরেই তো ফেলেছিলাম, মুসা বলল। স্টেশনের ওই বলদ কর্মচারীটার জনেই পারলাম না। নইলে এতক্ষণে হাজতে ঢুকে যেত ম্যাকির বাচ্চা।

তা ঠিক, একমত হয়ে মাথা দোলাল রবিন।

ওই যে ব্যাংক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল এরিনা। তোমরা মলিকে দেখ। আমি গিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে ব্যবস্থা করে ফেলছি। লবিতে থেকো।

খানিক পরে নিশ্চিন্ত হয়ে বেরিয়ে এল এরিনা।

সব ভাল যার শেষ ভাল, নাটকীয় ভঙ্গিতে বলল জিনা। হাসল। যাক, বাঁচা গেল।

হ্যাঁ, মাথা ঝাঁকাল মুসা। হার পেলাম, দলিল পেলাম, মালিককেও খুঁজে বের করলাম। থ্রি চিয়ার্স ফর তিন গোয়েন্দা…।

আমি আর রাফি বাদ নাকি! কোমরে হাত দিয়ে, চোখ পাকিয়ে জিনা বলল। হেসে উঠল সবাই।

.

ওরা মনে করেছিল, এখানেই এই ঘটনার ইতি। কিন্তু পরদিন সকালে অযাচিত ভাবে এল এরিনার ফোন। মা তখন বাড়ি নেই, ফোন ধরল জিনা।

হ্যালো? শোনা গেল এরিনার উত্তেজিত কণ্ঠ, কে, জিনা?…সর্বনাশ… সর্বনাশ হয়ে গেছে…

কি হয়েছে? উদ্বিগ্ন হয়ে উঠল জিনা।

আজ সকালে একটা উড়ো চিঠি এসে হাজির। দরজার তলা দিয়ে ঢুকিয়ে রেখে গেছে। আমাকে হুমকি দিয়ে লিখেছেবুঝতে পারছি না কি করব!

মেরুদণ্ডে শিরশিরে অনুভূতি হল জিনার। শান্ত হোন, বলল সে, যদিও নিজেও শান্ত থাকতে পারছে না। কি লিখেছে?

লিখেছে…লিখেছে, হারটা যদি না দিই, মলিকে কিডন্যাপ করবে!

কী-করবে!

কিডন্যাপ! জিনা, আমি মনস্থির করে ফেলেছি। মলির চেয়ে হারটা বেশি। নয়। যা বলহে করব, দিয়ে দেব ওটা।

দাঁড়ান, ফোনে প্রায় চেঁচিয়ে উঠল জিনা, এক মিনিট ধরুন! কিশোরকে বলছি…

পাশের ঘরে ছিল তিন গোয়েন্দা। ডাক শুনে এসে ঢুকল। দ্রুত ওদেরকে সব কথা জানাল জিনা।

ব্যাটা তো মহা পাজী! নিশ্চয়…

ম্যাকি, কিশোরের কথাটা শেষ করে দিল জিনা। কিশোর, কি করব? পুলিশকে জানাব?

দেখি, দাও আমার কাছে, জিনার হাত থেকে রিসিভার নিয়ে কানে ঠেকাল কিশোর। মিসেস কলিনস, শুনছেন? হারটা এখুনি দেবেন না। পুলিশকে জানাচ্ছি আমরা। আপনাদের অসুবিধে হবে না। নিশ্চয় ব্যবস্থা করবে পুলিশ।

না না, কিশোর, তাড়াতাড়ি বলল এরিনা, লোকটা পুলিশকে জানাতে মানা করেছে। মলিকে পাহারা দিতে আসবে পুলিশ, ছদ্মবেশে এলেও ঠিক চিনে ফেলবে ম্যাকি। পুলিশ তো আর সারাজীবন পাহারা দেবে না। ওরা চলে গেলেই আবার বিপদে পড়বে আমার মেয়ে।

দ্রুত ভাবনা চলেছে কিশোরের মাথায়। কি করবে? আরেকবার বোঝানোর চেষ্টা করল এরিনাকে, ভালমত ভেবে দেখুন। লোকটা হুমকি দিল, আর অমনি হার দিয়ে দেবেন?

কি করব, বল? লোকটা বেপরোয়া, কাল স্টেশনেই বুঝেছি। তার কথা না শুনলে যা বলছে তা করবেই। কাউকে জানাতে বারণ করেছে, তা-ও তো তোমাদের জানিয়ে ফেললাম। খুব ভয় লাগছে আমার… এক মুহূর্ত থামল এরিনা, তারপর বলল, আমি মনস্থির করে ফেলেছি। ব্যাংকে গিয়ে হারটা নিয়ে লোকট যেখানে দেখা করতে বলেছে সেখানে চলে যাব। হারের দরকার নেই আমার। মেয়ে ভাল থাকলেই ভাল।

মহিলাকে কিছুতেই বোক্কতে না পেরে কিশোর বলল, দেখুন, বলে যখন ফেলেছেন আমাদেরকে, এরকম একটা অন্যায় কিছুতেই ঘটতে দিতে পারি না। আপনি জানতে না চান, জানাবেন না, কিন্তু আমরা পুলিশকে বলবই।

না না, দোহাই তোমাদের! বিষণ্ণ কণ্ঠে বলল এরিনা, ওকাজ কোরো না। পুলিশ বিশ্বাস করবে না তোমাদের কথা। শুধু একটা উড়ো চিঠি, আর কোন প্রমাণ নেই লোকটার বিরুদ্ধে। হেসেই উড়িয়ে দেবে পুলিশ, মাঝখান থেকে বিপদে পড়বে আমার মলি। বুঝি, আমার ভালই চাইছ তোমরা। থ্যাঙ্ক ইউ।

এরিনা রিসিভার রেখে দেবে বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি বলল কিশোর, মিসেস কলিনস, শুনুন। বেশ, পুলিশকে নাহয় জানালাম না। কিন্তু ঠিঠিতে কি লিখেছে আমাদেরকে খুলে বলতে তো আপত্তি নেই। কোথায় দেখা করতে বলা হয়েছে আপনাকে?

ওসব কিছু বলব না তোমাদেরকে। জানিয়েই ভুল করে ফেলেছি, ফোঁস করে নিঃশাস ফেলল এরিনা। থ্যাঙ্ক ইউ। রাখি। ডাই।

কেটে গেল লাইন।

এক এক করে সবার মুখের দিকে তাকাল কিশোর। চিন্তিত। বলল, কিছু একটা করতেই হবে আমাদের। ভয় দেখিয়ে হার নিয়ে যাবে ম্যাকি, আর আমরা চুপ করে বসে থাকব, হতেই পারে না। চল, ব্যাংকের বাইরে গিয়ে লুকিয়ে থাকি।

এরিনার ওপর নজর রাখব। তারপর আর পিছু নিয়ে দেখব কোথায় যায়।

কিভাবে? প্রশ্ন তুলল রবিন। এরিনা নিশ্চয় এতক্ষণে ব্যাংকে রওনা হয়ে গেছে। তার ফ্ল্যাট থেকে ব্যাংকটা কাহে, এখান থেকে অনেক দূরে। গিয়ে ধরতে পারব না।

হয়ত পারব, বলতে বলতে পকেট থেকে নোটবুক বের করল কিশোর। পাতা উটে বের করল টনির ফোন নাম্বার-কাগজের টুকরোটা থেকে পরে লিখে নিয়েছিল নোটবুকে। দ্রুত গিয়ে রিসিভার তুলে ডায়াল শুরু করল সে।

<

Super User