মাল নামাতে নামাতে দুপুর। তদারকি রেখে যেতে পারছিলেন না মেরিচাচী, নামানো শেষ হলে রান্নাঘরে চললেন খাবার তৈরি করতে। এই সুযোগে ছেলেরা ফিরে এল পুরানো বাক্সের কাছে।

হেডকোয়ার্টারে নিয়ে পরীক্ষা করতে হবে, কিশোর বলল। তোমরা দুজনে আন। আমি যাই, কাজ আছে। কাউকে প্রতিবাদ করার সুযোগ না দিয়ে ছুটে চলে গেল সে।

ভারি বাক্সটার কাছে দাঁড়িয়ে আনমনে মাথা নাড়ল মুসা। তারপর ফুসফুসে চেপে রাখা বাতাস ছেড়ে কুঁকল বাক্সটা তোলার জন্যে।

কোনমতে বাক্সটা বয়ে এনে তিন গোয়েন্দার ব্যক্তিগত ওয়ার্কশপের কোণে ধপ করে নামিয়ে রাখল দুজনে।

দুই সুড়ঙ্গ দিয়ে ঢুকবে না, মোটা পাইপটার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল মুসা।

হুঁ, মাথা দোলাল রবিন। সব আমাদের মাপের। বড় কিছু হলেই আর ঢোকানো যায় না।

সমস্যাটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে দুজনে, এই সময় দুই সুড়ঙ্গের মুখ দিয়ে বেরোল কিশোর।

হুমম! পাইপের মুখের দিকে একবার, আরেকবার বাক্সটার দিকে তাকাচ্ছে গোয়েন্দাপ্রধান। সহজ তিন দিয়ে ঢুকতে পারে, কি বল?

ট্রেলারে, অর্থাৎ হেডকোয়ার্টারে ঢোকার সব চেয়ে সহজ পথ হল সহজ তিন। ফ্রেম সহ একটা ওক কাঠের দরজা রয়েছে জঞ্জালের ভেতর। মরচে ধরা চাবি লুকানো থাকে একটা খোলে। সেটা দিয়ে দরজার পুরানো তালা খুললেই বেরিয়ে পড়ে সরু গলিপথ। পথটা চলে গেছে ট্রেলারের মূল দরজা অবধি।

চেষ্টা করার আগে, রবিন প্রস্তাব দিল। ট্রেলারের দরজার মাপ নেয়া দরকার।

হ্যাঁ, কিশোর বলল। ও, একটা কথা, সমস্তটাই টিক বানাউয়ের বানানো। গপ্পো, বুঝে ফেলেছি আমি।

বুঝে ফেলেছ! মুসা অবাক। কি করে বুঝলে?

মরিস ডিলম্যানের দোকানে ফোন করেছিলাম। কোন নাবিকের কাছ থেকে বাক্সটা কেনেনি সে। কিনেছে সান্তা বারবারার আরেক সেকেণ্ডহ্যাণ্ড দোকান

থেকে। সেই দোকানদার কিনেছে ছয় মাস আগে এক মহিলার কাছ থেকে।

খাইছে! টিক ব্যাটা তো তাহলে নাবিকও নয়, নাকি?

হলে অবাক হব না। নাবিকের ওরকম পুরানো পোশাক জোগাড় করা মোটেই কঠিন নয়। হয়ত ওসব পরে এসে আমাদের ধোকা দিতে চেয়েছে। কাঁচা কাজ। এত ভারি পোশাক পরার মত শীত নয় এখন।

টিক কল্পনাও করেনি, আমাদের সঙ্গে তার টক্কর লাগবে, রবিন বলল।

না, তা করেনি, স্বীকার করল কিশোর। যাই হোক, একটা কথা ঠিক বলেছে টিক। গতকাল ডিলম্যানের দোকানে গিয়েছিল সে। আরেকটা গল্প শুনিয়েছে। বলেছে, তার বোন বাক্সটা বিক্রি করে দিয়েছে। সে তখন বাড়ি ছিল না। ফিরে এসে জেনেছে। এখন বাক্সটা ফেরত চায়।

গল্প বদলাল কেন? মুসার প্রশ্ন।

হয়ত ভেবেছে, তার নাবিকের গল্প শুনে গলে যাব আমরা, বাক্সটা দিয়ে দেব তাড়াতাড়ি। বাক্সটা কেন চায়, সেকথা গোপন রাখতে চেয়েছে সবার কাছেই। তবে, ডিলম্যানের কাছে বলা তার গল্প একটা জিনিস বোধহয় প্রমাণ করে, যে মহিলা ছয় মাস আগে বাক্সটা বিক্রি করেছে, তাকে চেনে টিক। হয়ত বাক্স বিক্রির কথা জেনেছে ইদানীং, বেশিদিন হয়নি। আগে জানলে আগেই খোঁজ করত ওটার।

তাই তো! আচ্ছা, একটা কথা বল, এত চাইছে কেন বাক্সটা? খালি বাক্স, তেমন কিছু তো নেই।

শুধু আঙটিটা ছাড়া, মুসা বলল। তা-ও, এটাও মনে হয় তেমন দামি নয়।

আর আঙটিটার কথা টিক বানাউ জানত কিনা, সন্দেহ আছে, রবিন যোগ করল।

বাক্সে মূল্যবান কিছু আছে ভেবেছে হয়ত।

কিংবা হতে পারে, কিশোর বলল। লিটল মারমেইড থেকে এসেছে বলেই বাক্সটা দামি। হোক না ভাঙা জাহাজের বাক্স।

তোমার কি মনে হয়? জাহাজটার ব্যাপারে সে আগ্রহী? রবিন বলল। ওটাতেই কিছু আছে?

কি জানি। শোন, আঙটি আর ছুরিটা ছাড়া তো আর কিছু নেই বাক্সটায়। তার পরেও কেন ওটা চাইছে, জানতে হলে, আমার মনে হয় লিটল মারমেইডের ইতিহাস জানা দরকার।

হিসটোরিক্যাল সোসাইটির কিছু জানা থাকতে পারে, রবিন বলল।

মুসার মন খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু আমি যেতে পারব না। মার সঙ্গে বাজারে যেতে হবে। ওখান থেকে ফিরে বাড়িতে কাজ করতে হবে, বাবা বলে দিয়েছে।

আর, আমাকে আবার যেতে হবে মিউজিয়মে, বলল কিশোর। রবিন, তোমাকে একাই যেতে হচ্ছে।

যেতে হলে যাব। আমার অসুবিধে নেই, রবিন জানাল। লাইব্রেরিতে ঢুকে বই পড়া আর গবেষণামূলক কাজে আনন্দই পায় সে।

খানিক পরেই মেরিচাচীর ডাক শোনা গেল। খাবারের জন্যে ডাকছেন।

 

সাইকেলে করে রকি বীচ হিসটোরিক্যাল সোসাইটিতে পৌঁছুঁতে তিনটের ওপরে বেজে গেল। ভেতরে ঢুকতে ধূসর-চুল এক মহিলা মুখ তুলে তাকিয়ে হাসলেন রবিনের দিকে চেয়ে।

কি জানতে চায়, জানাল রবিন।

লিটল মারমেইড? মহিলা বললেন। নিশ্চয় শুনেছি। এক সময় বেশ আলোড়ন তুলেছিল জাহাজটা। গুজব রয়েছে, গুপ্তধন নাকি আছে ওটাতে।

গুপ্তধন?

সোনার মোহর, অলঙ্কার, এসব, হাসলেন মহিলা। লিটল মারমেইডে পাওয়া কিছু জিনিস আছে আমাদের কাছে। দেখবে?

অবশ্যই দেখবে, জানাল রবিন। উত্তেজিত হয়ে উঠল সে। কজা লাগানো একটা ফাইল বক্স বের করলেন মহিলা।

বাক্সটা নিয়ে প্রায় দৌড়ে এসে পড়ার ঘরে ঢুকল রবিন। সে একা, আর কেউ নেই ওখানে। লম্বা টেবিলের সামনে বসে বাক্সটা খুলল।

ভেতরের জিনিস দেখে অবাক হল সে। কাগজ, পুস্তিকা, ছোট বই, খবরের কাগজের কাটিং, ম্যাগাজিনের আর্টিক্যাল গাদাগাদি করে রাখা। অগোছাল, একটা কাগজ তুলতে যাবে, এই সময় ঘাড়ের ওপরে কথা শোনা গেল, পড়তে সারাদিন লেগে যাবে।

চমকে ফিরে তাকিয়ে রবিন দেখল, ছোটখাটো একজন মানুষ। পরনে পুরানো ফ্যাশনের কালো সুট, ওয়েস্টকোট, আর সোনার চেনওয়ালা ঘড়ি। গোলগাল লাল চেহারা, চোখে রিমলেস চশমা।

আমি হিস্টোরিক্যাল সোসাইটির প্রফেসর হারম্যান কেইন, জানালেন তিনি। মিসেস ডেভিড তোমার আগ্রহের কথা বলল। লোকের, বিশেষ করে তোমার মত কমবয়েসীদের কৌতূহল মেটাতে ভালবাসি আমরা। আমাকে প্রশ্ন করতে পার।

হয়ত পড়ার ঝামেলা থেকে বাচবে।

লিটল মারমেইডের কথা কিছু জানেন, স্যার? জিজ্ঞেস করল রবিন।

নিশ্চয় জানি। আমি এখানে এসেছি, বেশিদিন হয়নি। তবে আমার এক সহকর্মী ওই জাহাজটার ওপর একটা পুস্তিকা লিখেছে। সেটা পড়েই জেনেছি। কি কি জানতে চাও তুমি, বল তো?

আমি জানি, লিটল মারমেইড একটা স্কয়ার-রিগার জাতের বড়সড় জাহাজ, রবিন বলল। আঠারশো চুরানব্বইয়ে ডুবেছিল রকি বীচের কাছে। গুজব আছে, গুপ্তধন পাওয়া যাবে জাহাজটাতে। ঠিক?

হাসলেন প্রফেসর। আগের দিনে যত জাহাজ ডুবেছে, খোঁজ করলে জানবে, সবগুলোতেই গুপ্তধন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, মানে গুজব রয়েছে। তবে সময়টা ঠিকই জান। রবিনের পাশের চেয়ারে বসলেন তিনি। তিন মাস্তুলের জাহাজ লিটল মারমেইড। স্কটল্যাণ্ডের গ্লাসগো থেকে ঈস্ট ইণ্ডিজে গিয়ে মশলা আর টিনের ব্যবসা করত। ব্যবসার জন্যেই এসেছিল স্যান ফ্রান্সিসকোয়। তারপর দক্ষিণে কেপ হর্নের দিকে রওনা হয়, সেখান থেকে স্কটল্যাণ্ডে ফিরে যেত। যাওয়া আর হল না, ঝড়ের কবলে পড়ল। আঠারশো চুরানব্বইর ডিসেম্বরে রাতের বেলা তীরের কাছাকাছি প্রবালপ্রাচীরে ধাক্কা খেল ওটা।

ভয়ানক ঝড় বইছিল। বেঁচেছিল হাতে গোনা কয়েকজন। নাবিকেরা জাহাজ থেকে নেমে নৌকায় করে তীরে ওঠার চেষ্টা করেছিল, পারেনি। বেঁচেছে তারাই, যারা জাহাজ থেকে নামেনি, কিংবা নামতে পারেনি। ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডুবে যায়নি জাহাজটা, টিকেছিল ভোর পর্যন্ত। ডোবার আগে পর্যন্ত ওটাতে ছিল ক্যাপ্টেন।

গুপ্তধন ছিল না?

আমার সন্দেহ আছে। অল্প পানিতে ডুবেছে জাহাজটা। ডুবুরিরা বহুবার খুঁজেছে ওটাতে। একশো বছরের মধ্যে অনেকবার। এখনও মাঝেসাঝে কেউ কেউ গিয়ে খোঁজ করে। সে আমলের কয়েকটা মুদ্রা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি ওটাতে। মাথা নাড়লেন প্রফেসর। না, ইয়াং ম্যান, লিটল মারমেইডে গুপ্তধন নেই। তবে গুজবটা সম্ভবত ছড়িয়েছে তার পরের আরেকটা দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

আরেকটা! তাড়াতাড়ি ঘুরে বসল রবিন, প্রফেসরের দিকে মুখ করে।

রকি বীচের কাছেই বাস করছিল লিটল মারমেইডের বেঁচে যাওয়া একজন স্কটিশ নাবিক বাওরাড ডাই। আঠারশো ছিয়ানব্বই সালে চারজন লোকের হাতে খুন হয় সে। পসি করে খোঁজা হয় ওই চারজনকে। তারাও মারা পড়ে পসিদের হাতে, মুখ খোলার আগেই। ফলে জানা যায়নি, ডাইকে কেন খুন করেছিল ওরা। চারজনের একজন, লিটল মারমেইডের ক্যাপ্টেন। সে কারণেই লোকের সন্দেহ, কোন জিনিসের পেছনে লেগেছিল ক্যাপ্টেন, যা জাহাজ থেকে সরিয়ে ফেলেছিল ডাই। তারপর থেকে কতজন যে কতবার গিয়ে জাহাজটাতে খুঁজেছে। আশপাশের তীরভূমি, ডাইয়ের বাড়ি আর চারপাশের প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে। কিছুই পায়নি।

অনেক নাবিকের মত, বাওরাড ডাইও জার্নাল রাখত। পরে, তার বংশধররাই সেই জার্নালটা আমাদের সোসাইটিকে দান করেছে, পুস্তিকাটা লেখার সময় কাজে লাগবে বলে। ওই জার্নাল, আঠারশো ছিয়ানব্বই সালে তৎকালীন শেরিফও পড়েছিল। বাইরের লোকে তো বটেই, ডাইয়ের বংশধরেরাও সন্দেহ করে, গুপ্তধন আছে। তারাও অনেক খোঁজাখুঁজি করেছে। পায়নি। জার্নালটাতে গুপ্তধনের কোন উল্লেখ নেই।

ভ্রূকুটি করল রবিন। আপনার কি মনে হয়, স্যার? ঈস্ট ইণ্ডিজ থেকে আনা কোন দামি জিনিস?

গুজব তো তাই বলে। জলদস্যুর সম্পদ। কেন? ও-ব্যাপারে তুমি কিছু জান নাকি?

ইয়ে, না, স্যার, আমতা আমতা করল রবিন। নিছক আগ্রহ। আই সী। হাসলেন প্রফেসর কেইন। কেন আগ্রহ, জানতে পারি?

আমরা….আমরা, স্যার….ওই স্কুলের ব্যাপার আরকি। বড়দিনের ছুটি তো। স্কুলের ম্যাগাজিনে গবেষণামূলক একটা লেখা লিখতে চাই।

ভাল, খুশি হলেন প্রফেসর। খুব ভাল। স্যার, জার্নাল আর পুস্তিকাটা দেখতে পারি? রিমলেস গ্লাসের ওপাশে হাসি ফুটল প্রফেসরের চোখের তারায়। স্কুলের ম্যাগাজিনের জন্যে, না? নিশ্চয়। দেখ, কিছু আবিষ্কার করতে পার কিনা। তাহলে পুস্তিকার নতুন সংস্করণে তোমার নামও উঠে যাবে।

হাসিমুখে বেরিয়ে গেলেন প্রফেসর। ফিরে এলেন কয়েক মিনিট পর। সঙ্গে এসেছেন মিসেস ডেভিড। হাতে একটা পাতলা পাণ্ডুলিপি-লিটল মারমেইডের ওপর লেখা স্তিকার, আর অয়েলস্কিনে বাঁধানো একটা নোটবুক নিয়ে পড়তে আরম্ভ করল রবিন।

সন্ধ্যার একটু আগে সাইকেল চালিয়ে ফিরে এল স্যালভিজ ইয়ার্ডে। পেছন দিকে বেড়ার পঞ্চাশ ফুট দূরে সাইকেল থেকে নামল। উনিশশো ছয় সালে স্যান ফ্রান্সিসকোতে এক মহাঅগ্নিকাণ্ডের ছবি আঁকা রয়েছে বেড়ার গায়ে। দাউ দাউ করে বাড়ি জ্বলছে। সেদিকে তাকিয়ে বিষণ্ণ ভঙ্গিতে বসে আছে একটা কুকুর। এগিয়ে এসে কুকুরের একমাত্র চোখে টিপ দিল সে। বেরিয়ে পড়ল একটা ছোট ফোকর। তার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে লেভার চাপতেই সরে গেল বেড়ার তিনটে তক্তা। তিন গোয়েন্দার এই গোপন প্রবেশ পথের নাম লাল কুকুর চার। সাইকেল নিয়ে ভেতরে ঢুকল রবিন।

জঞ্জালের তলা দিয়ে গেছে পথ। হামাগুড়ি দিয়ে সেই পথ ধরে গেলে ট্রেলারে ঢোকা যায়। হেডকোয়ার্টারে ঢোকার আগে ওয়ার্কশপটা দেখার সিদ্ধান্ত নিল সে। কিছুদূর এগিয়ে দেখল মেইন গেট দিয়ে সাইকেল চালিয়ে ইয়ার্ডে ঢুকছে মুসা আমান।

সারাটা বিকেল খাঁটিয়ে মেরেছে আমাকে! রবিনকে দেখে প্রায় গুঙিয়ে উঠল মুসা। ছুটি, হ্যাঁহ! এরচে স্কুলই ভাল ছিল।

আউটডোর ওয়ার্কশপে এসে ঢুকল দুজনে। ওখানে পাওয়া গেল কিশোরকে। ওয়ার্কবেঞ্চের ওপর একটা বাতি রেখে বাক্সটা পরীক্ষা করছে। হিসটোরিক্যাল সোসাইটিতে কি জেনেছে রবিন, বলার জন্যে মুখ খুলতেই হাত নেড়ে তাকে থামিয়ে দিল গোয়েন্দাপ্রধান। এক মিনিট। উত্তেজিত কণ্ঠ। আবার দেখলাম বাক্সটা। কি পেয়েছি, দেখ।

অয়েলস্কিনে মোড়া একটা নোটবুক দেখাল কিশোর। সোসাইটিতে যে-রকম দেখে এসেছে রবিন, সে-রকম, তবে আরও পাতলা। হাত বাড়াল সে।

কথা বলে উঠল একটা খসখসে কণ্ঠ, ওয়ার্কশপে ঢোকার দরজায় দাঁড়িয়ে। ওটা আমাকে দাও!।

ছেলেদের দিকে জ্বলন্ত চোখে তাকিয়ে আছে পানির পোকা টিক বানাউ।

<

Super User